এই '৬' খাবার...! খাবেন না.. ! 'গোপনে' ক্যানসার ডেকে আনবে শরীরে, সাবধান!

বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ ক্যানসার, তবে জীবনযাত্রার পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা যেতে পারে। শরীরে ক্যানসার কোষের বিকাশ অনেক কারণেই ঘটে।

অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস সেই কারণগুলির মধ্যে একটি। শারীরিক কার্যকলাপের অভাব, ধূমপান, স্থূলতা এবং অ্যালকোহল এমন কিছু কারণ ক্যানসারের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা পালন করে। অনেক গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে আমাদের খাদ্যাভ্যাস ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়াতে বা কমাতে পারে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলছেন, ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই আপনার খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে হবে। কারণ বিভিন্ন গবেষক গবেষণায় দেখেছেন যে প্রতিদিন খাওয়া কিছু 'খাবার' আমাদের অজান্তেই ধীরে ধীরে শরীরে ক্যানসার সৃষ্টি করে।

সম্প্রতি, গুরুগ্রামের আরভি হেলথকেয়ার সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট ডাঃ প্রিয়াঙ্কা শেহরাওয়াত এই সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন এবং বলেছেন যে কীভাবে আমাদের কয়েকটি খাবার খাওয়ার অভ্যাস আমাদের ক্যানসারের কাছাকাছি নিয়ে যাচ্ছে। তার ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে, ডাক্তার বলেছেন যে আপনি যত বেশি বাইরে থেকে খাবার অর্ডার করবেন, ক্যানসার আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি তত বেশি।

ক্যানসার প্রতিরোধ করতে হলে প্রথমেই আপনার খাদ্যাভ্যাস উন্নত করতে হবে। কারণ বিভিন্ন গবেষক তাদের গবেষণায় দেখেছেন যে আমরা প্রতিদিন যা কিছু খাবার খাই তা ধীরে ধীরে শরীরে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

কিছু খাবার টাইপ ২ ডায়াবেটিস এবং স্থূলতার ঝুঁকি বাড়ায়, আবার কিছু খাবার ক্যানসারের সঙ্গে যুক্ত। আপনার স্বাস্থ্য বজায় রাখতে, আপনার এই ৬টি খাবার অবশ্যই এড়িয়ে চলা উচিত।

অ্যালকোহল: গবেষণায় দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত অ্যালকোহল সেবন ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়। দেখা গিয়েছে যে যাঁরা প্রচুর পরিমাণে অ্যালকোহল পান করেন তাঁদের মাথা, ঘাড়, গলা, লিভার, স্তন এবং কোলন ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই, মদ্যপান ত্যাগ করার চেষ্টা করুন।

ভাজা খাবার: অতিরিক্ত ভাজা খাবার খেলে শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি বাড়তে পারে। যখন আলু বা মাংসের মতো খাবার উচ্চ তাপমাত্রায় ভাজা হয়, তখন অ্যাক্রিলামাইড নামক একটি যৌগ তৈরি হয়।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে এই যৌগটি ক্যানসার সৃষ্টি করতে পারে এবং ডিএনএর ক্ষতি করতে পারে। উপরন্তু, ভাজা খাবার শরীরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস এবং প্রদাহ বাড়ায়, যা ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

কৃত্রিম মিষ্টি: কিছু প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে সুক্র্যালোজের মতো কৃত্রিম মিষ্টির ঘন ঘন ব্যবহার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। কারণ বেশিরভাগ কৃত্রিম মিষ্টি রাসায়নিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তৈরি করা হয়।

মাইক্রোওয়েভে পপকর্ন: মাইক্রোওয়েভে গরম করা পপকর্নের স্বাদ দারুন। কিন্তু গরম করলে তা বিষাক্ত হয়ে ওঠে। এছাড়াও, প্লাস্টিকের ব্যাগে পপকর্ন সংরক্ষণ করলে ক্যানসার হতে পারে।

চিনিযুক্ত পানীয়: নিয়মিত সফ্ট ড্রিঙ্ক বা কোমল পানীয় এবং সোডা সেবন স্থূলতা বাড়ায়, যা ভবিষ্যতে ক্যানসারের কারণ হতে পারে।

সাদা আটা: ময়দার আটার সঙ্গে ক্লোরিন গ্যাস মেশানো হয় যাতে এটি ব্লিচ হয়। এতে কার্বোহাইড্রেট বেশি থাকে। এর ফলে ক্যানসার হতে পারে। তাই, ব্লিচ না করা পণ্য ব্যবহার করুন।

দাবিত্যাগ: এই প্রতিবেদনে প্রদত্ত তথ্য সাধারণ তথ্য। এটি সবার ক্ষেত্রে একইভাবে প্রযোজ্য নাও হতে পারে। ফলাফল ব্যক্তিদের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করবে। এটি বিবেচনায় নেওয়ার আগে, প্রাসঙ্গিক বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিন।