Detect Cancer: ভারতে ঝড়ের গতিতে বাড়ছে ক্যানসারে মৃত্যু! এগুলিই শরীরে মারণ ক্যানসার থাবা বসানোর প্রধান কারণ! চিকিৎসকরা যা বলছেন...

*ভারতে ক্যানসার অন্যতম প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। একসময় এটি খুবই বিরল ছিল। কিন্তু এখন এই রোগগুলি দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) অনুসারে, আমাদের দেশে প্রতি বছর প্রায় ৯ লক্ষ মানুষ ক্যানসারে মারা যায়। ক্রমবর্ধমান রোগের কারণ, প্রতিরোধ পদ্ধতি এবং চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে ডাক্তাররা যা বলেছেন তা কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখে নেওয়া যাক।

*ক্যানসারের অনেক কারণ রয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, ধূমপান ক্যানসারের একটি প্রধান কারণ। এছাড়াও, বসে থাকা জীবনধারা, অর্থাৎ শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই দৈনন্দিন রুটিনও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। রোদে বেশি সময় কাটালে ত্বকের ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়।

*অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ওজন এবং অ্যালকোহলও ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়। ধূমপান এবং তামাকজাত দ্রব্যের কারণে আমাদের দেশে অনেক মানুষ মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হয়।চিকিৎসকরা ক্যানসারকে চারটি প্রধান প্রকারে ভাগ করেছেন। প্রথমটি হল কার্সিনোমা, এটি ত্বক, ফুসফুস এবং স্তনের মতো অঙ্গগুলিকে প্রভাবিত করে।

*দ্বিতীয়টি সারকোমা, এটি হাড় বা সংযোগকারী টিস্যুতে শুরু হয়। তৃতীয়টি লিউকেমিয়া, একে ব্লাড ক্যানসার বলা হয়। চতুর্থটি লিম্ফোমা, এটি লিম্ফ্যাটিক সিস্টেমে শুরু হয়। এই ক্যানসার প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা খুবই সহজ।

*ক্যানসার প্রতিরোধ করার জন্য, আপনার জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন আনা উচিত। ধূমপান ত্যাগ করা উচিত। আপনার স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখা উচিত। আপনার একটি সুষম খাদ্য খাওয়া উচিত যাতে ফল এবং শাকসবজি বেশি থাকে। আপনার নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত। আপনার ত্বককে রোদ থেকে রক্ষা করা উচিত। শুরুতেই ক্যানসার সনাক্ত করাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা উচিত। এই ব্যবস্থাগুলি ক্যানসারের ঝুঁকি অনেকাংশে কমিয়ে দেয়।

*অনেকে ক্যানসার শব্দটি শুনলেই মৃত্যুকে ভয় পান। যদি এটি প্রাথমিক পর্যায়ে সনাক্ত করা যায়, তবে এটি সম্পূর্ণরূপে নিরাময় করা যেতে পারে। ক্যানসার প্রথম পর্যায় থেকে উন্নত পর্যায়ে অগ্রসর হতে ছয় মাস থেকে এক বছর সময় নেয়। এজন্যই যদি আপনি কোনও লক্ষণ লক্ষ্য করেন তবে আপনার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। ক্যানসারের জন্য অনেক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে।

*টিউমার এক জায়গায় থাকলে প্রাথমিক পর্যায়ে অস্ত্রোপচার কার্যকর। রেডিয়েশন থেরাপি ক্যানসার কোষ ধ্বংস করে। কেমোথেরাপি, টার্গেটেড থেরাপি এবং ইমিউনোথেরাপির মতো আধুনিক চিকিৎসা ক্যানসারকে সুস্থ কোষের ক্ষতি করতে বাধা দেয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে সময়মতো ডাক্তারের সঙ্গে দেখা করলে মৃত্যুর হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

*ক্যানসার প্রতিরোধেও সরকার অনেক উদ্যোগ নিচ্ছে। স্ক্রিনিং ক্যাম্প আয়োজন, চিকিৎসার খরচ কমানো এবং রোগীদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মতো পদক্ষেপ নিচ্ছে। আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমার মতো প্রকল্পের মাধ্যমে ক্যান্সারের চিকিৎসা জনগণের কাছে সহজলভ্য হয়ে উঠেছে। জনগণের মধ্যে সচেতনতা তৈরি এবং ধূমপান ত্যাগের প্রচারণাও পরিচালনা করছে।