Cancer: সামান্য বেকিং সোডা ভেঙেচুরে দেয় ক্যানসার কোষ...! শরীর থেকে অদৃশ্য হয় কর্কট রোগ? আপনি কি সত্যিটা জানেন? গবেষণায় যা উঠে এল...

*ইন্টারনেট খুললেই আজকাল নানা ঘরোয়া প্রতীকার চোখে পড়ে। নানা ঘরোয়া প্রতিকার বিস্ময়কর কাজ করতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে 'বেকিং সোডা'র ব্যবহার। বেকিং সোডা ক্যানসার নিরাময় করতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। যারা এই প্রতিবেদন পড়েছেন তাদের কারও ক্ষেত্রে প্রতীকার পাওয়ার আশা রয়েছে, কারও ক্ষেত্রে সন্দেহ রয়েছে। আর এর মধ্যে সত্যিটা কী? রান্নাঘরের সাধারণ বেকিং সোডা কি সত্যিই মারাত্মক ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে?

*কেন বেকিং সোডাঃ এই ধারণা পুরোপুরি ভুয়ো খবর নয়। ক্যানসারযুক্ত টিউমর তাদের চারপাশে একটি অ্যাসিডিক পরিবেশ তৈরি করে। বিজ্ঞানীরা একে বলছেন 'টিউমার মাইক্রোএনভায়রনমেন্ট'।

*অ্যাসিডিটির ফলে ক্যানসার কোষ বৃদ্ধি পায় এবং অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে। যেহেতু বেকিং সোডা (সোডিয়াম বাইকার্বোনেট) ক্ষারীয়, তাই একটি বিশ্বাস প্রচলিত রয়েছে এটি সেই অম্লতা হ্রাস করে, টিউমার বৃদ্ধি কমিয়ে দেয় এবং কেমোথেরাপির মতো চিকিৎসাকে আরও কার্যকর করে তোলে।

*কিছু ল্যাব এবং প্রাণীর উপর গবেষণাও এই ধারণাটিকে শক্তিশালী করেছে। এই নিয়ন্ত্রিত অবস্থার অধীনে, বেকিং সোডা অ্যাসিডিটি হ্রাস করে এবং অন্যান্য চিকিৎসাগুলি আরও ভালভাবে কাজ করে বলে মনে হয়েছিল। তবে ল্যাবে এই পরীক্ষা সফল হওয়া মানেই এটি মানুষের মধ্যেও কাজ করবে, তা মোটেই নয়।

*সম্প্রতি গবেষণা বলছে, বিশেষত ডিম্বাশয়ের ক্যানসারের নমুনাগুলিতে দেখা গিয়েছে বেকিং সোডা কিছু অনন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যখন "ওলাপারিব" নামক একটি ড্রাগের সংমিশ্রণে ব্যবহার করা হয়, তখন বেকিং সোডা ক্যানসার কোষগুলির বৃদ্ধি এবং বিস্তার কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

*তদুপরি, এর প্রভাবে, প্রতিরোধক কোষগুলি আরও সক্রিয়ভাবে টিউমারগুলিকে আক্রমণ করতে শুরু করে। ক্যানসার কোষগুলিতে উপস্থিত ক্ষতিকারক 'অক্সিডেটিভ স্ট্রেস'ও হ্রাস পায়।

*যদিও এই ফলাফলগুলি ইতিবাচক বলে মনে হতে পারে, এগুলি সমস্ত ল্যাব প্লেট বা প্রাণীদের উপর গবেষণা করা হয়। এগুলো মানুষের ওপর পূর্ণাঙ্গ পরীক্ষা নয়। গবেষণায় প্রমাণিত হয়নি যে বেকিং সোডা একাই ক্যানসার নিরাময় বা চিকিৎসা করতে পারে। সুতরাং, যদিও এটি বিদ্যমান ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য কিছু সমর্থন সরবরাহ করতে পারে, এটি তাদের প্রতিস্থাপন করেনি।

*অনেকেই বাড়িতে প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে বেকিং সোডা ব্যবহার করতে চান। তবে এ ধরনের কার্যকলাপ থেকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করছেন চিকিৎসকরা। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বেকিং সোডা গ্রহণ করলে কিডনির সমস্যা, পেটে ব্যথা, শরীরে লবণের মাত্রায় বিপজ্জনক পরিবর্তনের মতো গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দিতে পারে।