Bruise Blue Marks: আপনি কি ত্বকের 'এই' রঙিন দাগ কখনও লক্ষ্য করেছেন? সাবধান, সামান্য ভুল প্রাণঘাতী হতে পারে! নিংড়ে নেয় জীবনীশক্তি

*সম্প্রতি নতুন কিছু রোগ মানুষকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে। লক্ষণগুলি কিছুটা অদ্ভুত মনে হতে পারে। বিশেষত, কিছু লোকের ত্বকে রক্ত জমাট বাঁধা থাকে, ফলে নীল দাগ পড়ে। যদি এগুলি দীর্ঘ সময়ের জন্য চলতে থাকে তবে এগুলি নির্দিষ্ট রোগের লক্ষণ বলে মনে করা হয়। এগুলি কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার ইঙ্গিত দেয়। সংগৃহীত ছবি।

*ভিটামিন K: ভিটামিন K-এর ঘাটতি রক্ত জমাট বাঁধতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি এই পুষ্টিগুলি শরীরে সঠিক পরিমাণে উপস্থিত না থাকে তবে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াটি ধীর হয়ে যায়। এই ভিটামিনের ঘাটতির তীব্রতার উপর নির্ভর করে অনেক সময় রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যা দেখা দেয়। ফলস্বরূপ, ক্ষত দীর্ঘ সময়ের জন্য স্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সংগৃহীত ছবি।

*ক্ষত থেকে রক্তপাত: অস্ত্রোপচারের স্থান, নাক থেকে রক্তপাত এবং মলে রক্ত বা বমি ভিটামিন K-এর অভাবের লক্ষণ। যদি এটি দীর্ঘ সময় ধরে চলতে থাকে তবে এটি অস্টিওপোরোসিস হতে পারে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*রক্তপাতের সমস্যা: ত্বকে রক্তের দাগ রক্তপাতজনিত ব্যাধিগুলির লক্ষণ। হিমোফিলিয়ার মতো সমস্যাগুলি রক্ত জমাট বাঁধার ক্ষমতাকে প্রভাবিত করে। এই রোগ উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত। আঘাত বা অস্ত্রোপচারের পরেও এটি রক্তপাত অব্যাহত রাখে। এটি ফোলা এবং ব্যথা হতে পারে। প্লাটলেটে সমস্যা থাকলেও এই উপসর্গ দেখা দিতে পারে। সংগৃহীত ছবি।

*ভিটামিন C-এর অভাব: শরীরের সমস্ত সিস্টেমের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভিটামিন সি অপরিহার্য। এই পুষ্টির ঘাটতি ত্বককে খোসা ছাড়ানো দেখায়। ভিটামিন C-এর অভাবে স্কার্ভি হতে পারে। রক্তনালীগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে এবং রক্ত প্রবাহকে প্রভাবিত করে। ফলে ত্বকে কালশিটে দাগের মতো দেখায়। এছাড়াও জয়েন্ট ও হাড়ে ব্যথা, মাড়ি থেকে রক্ত পড়া (জিনজিভাইটিস), ক্ষত ধীরে ধীরে সেরে যায়। শুষ্ক ত্বক এবং চুল ভিটামিন C-এর অভাবের লক্ষণ। সংগৃহীত ছবি।

*রক্ত পাতলা করার ওষুধ: যারা নিয়মিত নির্দিষ্ট ধরণের ওষুধ ব্যবহার করেন তাদের মধ্যেও এই ধরণের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই ঝুঁকি বিশেষত তাদের মধ্যে বেশি যারা রক্ত-পাতলা ওষুধ যেমন অ্যাসপিরিন, ওয়ারফারিন এবং কিছু অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ড্রাগ ব্যবহার করেন। এটি কোনও ছোটখাটো আঘাত না হলেও ত্বকে আঘাতের মতো দেখায়। সংগৃহীত ছবি।

*বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জীবনযাত্রায় কিছু পরিবর্তন এনে এ ধরনের রোগের ঝুঁকি কমানো যায়। জাঙ্ক ফুড, ফাস্টফুড এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার এড়িয়ে চলুন। বাড়ির রান্না করা খাবার খাওয়া উচিত।

*খাদ্যতালিকায় ভিটামিন, মিনারেল, ফাইবার ও প্রোটিন জাতীয় খাবার রাখতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শে ভিটামিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। (Disclaimer: এই নিবন্ধটি ইন্টারনেটে উপলব্ধ প্রতিবেদন এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে। নিউজ 18 বাংলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই)। সংগৃহীত ছবি।