Pregnancy: জটিলতাহীন প্রসবের জন্য হবু মায়েদের ডায়েটে থাকুক এই সব ফল
- Published by:Ankita Tripathi
- news18 bangla
Last Updated:
গাইনোকলজিস্ট ড: অমৃতা সাহা এমনই কিছু ফলের সন্ধান দিলেন৷ এই ফলগুলি খেলে ডেলিভারি সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই কমে৷
advertisement
1/9

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় সব মেয়ের মনেই ভিড় করে আসে মূলত দুটি চিন্তা। প্রথমত সন্তান সুস্থ আছে তো? আর দ্বিতীয়ত ডেলিভারির সময় কি হবে? সব ঠিকঠাক ভাবে হবে তো?
advertisement
2/9
কিন্তু জানেন কি অন্ত:স্বত্তা অবস্থায় কয়েকটি ফল খেলে সুস্থ প্রসবের সম্ভবনা বেড়ে যায়৷ গাইনোকলজিস্ট ড: অমৃতা সাহা এমনই কিছু ফলের সন্ধান দিলেন৷ এই ফলগুলি খেলে ডেলিভারি সংক্রান্ত সমস্যা অনেকটাই কমে৷
advertisement
3/9
ডাঃ অমৃতা সাহার মতে, প্রত্যেক গর্ভবতী মহিলার গর্ভাবস্থায় সুষম খাদ্য প্রয়োজন। এর পাশাপাশি শরীরে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল থাকতে হবে। কারণ গর্ভাবস্থায় মায়ের শরীরের পুষ্টির চাহিদা বেড়ে যায়। একজন গর্ভবতী মহিলার গড়ে ৪৫০-৫০০ ক্যালোরি বেশি খাবার প্রয়োজন। যেহেতু, গর্ভে বেড়ে ওঠা শিশু কেবল মায়ের শরীর থেকেই খাবার পায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই নিজের ও শিশুর স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে ভাল খাওয়া দরকার। বিশেষজ্ঞদের মতে, পুষ্টির ঘাটতিও সুস্থ প্রসবের সম্ভাবনা কমিয়ে দিতে পারে।
advertisement
4/9
কমলালেবু- কমলালেবু খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। স্বাভাবিক এবং সুস্থ প্রসবের জন্যই এই ফল খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কমলালেবুতে দুটি অতিপ্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে, প্রথমটি হল এতে ৯০ শতাংশ জল রয়েছে, যা শরীরের তরল চাহিদা মেটাতে কাজ করে। এর পাশাপাশি কমলালেবুতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন সি পাওয়া যায়। এমন অবস্থায় কমলা খেলে শিশুর ত্বক নরম ও সুন্দর হয়। এছাড়া গর্ভাবস্থায় অনেক সংক্রমণ এড়াতেও কাজ করে কমলালেবু৷
advertisement
5/9
কিউই- গর্ভাবস্থায় কিউইকে উপকারী বলে মনে করা হয়। কারণ কিউইতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন ই, ভিটামিন এ, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম, ফলিক অ্যাসিড এবং ডায়েটারি ফাইবার রয়েছে। কিউই শ্বসনতন্ত্রেরও উপকার করে। এটি গর্ভবতী মাকে সর্দি-কাশি থেকে রক্ষা করে।
advertisement
6/9
কলা- গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়া খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কলা খেলে দেহের এনার্জি বাড়ে৷ প্রসবের সময় ক্লান্তি এবং শরীরে ব্যথা হওয়া খুবই সাধারণ ব্যাপার। এমন পরিস্থিতিতে আপনি যদি কলা খান, তবে এটি আপনাকে আরও শক্তি দিয়ে ক্লান্তি কমাতে কাজ করে। এটি প্রাতঃরাশের জন্য সেরা বিকল্প। এটি সেবন করলে সুস্থ প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
advertisement
7/9
আপেল-গর্ভাবস্থায় আপেল খাওয়া সবচেয়ে নিরাপদ বলে মনে করা হয়। এটি আপনার সন্তানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং শক্তি বাড়ায়। এটি আপনার শিশুকে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কাশি, হাঁপানি এবং অ্যাকজিমার ঝুঁকি থেকেও রক্ষা করে। আপেল পুষ্টিগুণে ভরপুর। এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন ডি-এর পাশাপাশি জিঙ্ক রয়েছে। আপেল খেলেও তাই সুস্থ প্রসবের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
advertisement
8/9
এপ্রিকট-ফলিক অ্যাসিড, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি এপ্রিকটগুলিতে প্রচুর পরিমাণে যভিটামিন এবং খনিজপদার্থ রয়েছে। শুকনো এপ্রিকটে প্রচুর পরিমাণে আয়রন এবং ফাইবার থাকে, যা লোহিত রক্তকণিকার সংশ্লেষণ বাড়াতে সাহায্য করে। এপ্রিকট হজম প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করে, তাই গর্ভাবস্থায় এই ফল খাওয়া ভীষণ উপকারী বলে মনে করা হয়।
advertisement
9/9
আম- গর্ভাবস্থায় আম খাওয়া শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। এই সময়ে, আম খেলে শরীরে বেড়ে ওঠা ভ্রূণের বিকাশ ভাল হয়। আমে উপস্থিত ফলিক অ্যাসিড গর্ভবতী মহিলাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভাল। আম খেলে শরীরে ভিটামিন ‘বি৬’ এর অভাব পূরণ হয়। এছাড়াও ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ আম খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়, যা সুস্থ প্রসবের সম্ভাবনা বাড়ায়।