ঝকঝক করবে মুখ...! গরমে এই ছোট্ট কাজটি করুন, ৭ দিনেই দেখুন ম্যাজিক তফাৎ, ঠিকরে পড়বে 'গ্লো', গ্যারান্টি!

মুখ হল সেই অঙ্গ যা সবার আগে চোখে পরে। তাই মুখ যদি দাগ-ছোপে ভরে যায় অনেকেরই চিন্তার অন্ত থাকে না। অথচ আজকের ব্যস্ত জীবনে, মহিলারা ত্বকের যত্ন নেওয়ার জন্য কী না করেন।

কেউ কেউ অনেক নামী-দামি পণ্যও ব্যবহার করেন। কিন্তু দেখা যায় অনেক সময় এমন হয় যে এই সমস্ত জিনিস ব্যবহারের পরেও মুখ ফ্যাকাসে থেকে যায়। এমন পরিস্থিতিতে রাতেও ত্বকের কিছু বিশেষ যত্ন নেওয়া জরুরি।

এই প্রতিবেদনে আমরা আপনাকে এমন কিছু টিপস দিতে চলেছি যা ঘুমানোর আগে অনুসরণ করলে আপনার মুখ ম্যাজিকের মতো উজ্জ্বল হবে মাত্র তিন চার দিনেই। আর এই সামান্য কাজেই হতে পারে চমৎকার ফুটফুটে ফর্সা মুখ।

আপনি আপনার ত্বকের যত্নের রুটিনে এই নিম্নলিখিত টিপসগুলি চটপট অন্তর্ভুক্ত করুন:রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই মুখ পরিষ্কার করে নিন। কারণ দিনের ব্যস্ততা এবং দূষণের কারণে মুখে ময়লা জমে যায়। সবার আগে এই ময়লা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, অন্যথায় ত্বক সম্পর্কিত সমস্যা শুরু হতে পারে এখন থেকেই। তাই রাতে ঘুমানোর আগে প্রথমে মুখ ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। যদি মুখে মেকআপ করে থাকেন, তাহলে রাতে ঘুমানোর আগে সেইসব সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিন।

এই জিনিসগুলি দিয়ে মুখ পরিষ্কার করুন:আপনার মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করার জন্য, আপনি টোনার ব্যবহার করতে পারেন এবং ফেস ওয়াশের সাহায্যেও আপনার মুখ পরিষ্কার করতে পারেন। যদি আপনি মেকআপ করে থাকেন তাহলে মুখ পরিষ্কার করার জন্য গোলাপ জল ব্যবহার করতে পারেন।

আপনার মুখ ময়েশ্চারাইজ করুন:রাতে এই কাজটি খুব জরুরি। আপনার মুখ ভাল ভাবে পরিষ্কার করার পর, আপনার ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করুন। গরম হোক বা শীতকাল এই কাজটি বারো মাস জরুরি। ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করলে ত্বক হাইড্রেটেড থাকে এবং ত্বক শুষ্ক হয় না। ত্বকের যত্ন নিতে হলে ভাল ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা উচিত।

তবে এখানেই আপনাকে বলে দেওয়া যাক এমন একটি সিক্রেট ঘরোয়া টোটকা যা চরম কার্যকরী হয় মুখের যত্নে। আপনার খাদ্যতালিকায় নিঃসন্দেহে ঘি অন্তর্ভুক্ত। পরোটা, নান বা রুটি যাই হোক না কেন, ঘি না মাখালে স্বাদ অসম্পূর্ণ থাকে।

হেলথলাইনের মতে, "ঘিতে উপস্থিত ভিটামিন এ এবং ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড প্রাকৃতিকভাবে ত্বককে হাইড্রেট করে এবং গভীরভাবে ময়শ্চারাইজ করে, যা ত্বককে মসৃণ ও নরম করতে সাহায্য করে এবং ত্বকের শুষ্কতার সমস্যা দূর করে।"

কিন্তু জানেন কী অনেকেই মুখে লাগানোর জন্যও ঘি ব্যবহার করেন। তাহলে মুখে ঘি লাগানো কি সত্যিই উপকারী? আসলে, মুখে ঘি লাগালে ত্বকের অনেক সমস্যার সমাধান হতে পারে।

আসলে ঘিতে ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে সমৃদ্ধ, এতে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে এবং প্রদাহ-বিরোধী বৈশিষ্ট্যও রয়েছে। এছাড়াও, ঘি-তে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ক্ষতি করে এমন ফ্রি র‍্যাডিকেল দূর করে। এমন পরিস্থিতিতে মুখে ঘি লাগানো যেতেই পারে যদি জানেন সঠিক উপায়।

মুখে ঘি লাগানোর পদ্ধতি:মুখে ঘি লাগালে ত্বক আর্দ্র থাকে এবং শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর হয়। এটি ত্বকে বার্ধক্য বিরোধী বৈশিষ্ট্যও প্রদান করে। এছাড়াও, ঘি ব্যবহারের ফলে ত্বক উজ্জ্বল ও ঝলমলে দেখায়।

মুখে ঘি লাগাতে, হাতের তালুতে ২ ফোঁটা ঘি লাগিয়ে মুখে ঘষুন। আঙুল দিয়ে চোখের নীচে ঘি লাগান, যা ডার্ক সার্কেল কমাতে সাহায্য করবে।

যদি আপনার ত্বক অত্যন্ত শুষ্ক হয়, তাহলে ঘি সারারাত মুখে লাগিয়ে রাখতে পারেন এবং যদি আপনার ত্বক স্বাভাবিক বা তৈলাক্ত হয়, তাহলে এটি আপনার মুখে ১০ থেকে ১৫ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন।

ত্বকে ঘি লাগানোর পাশাপাশি, এটি ফেসপ্যাক তৈরিতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। ২ চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ ঘি যোগ করুন এবং এতে কয়েক ফোঁটা দুধ মিশিয়ে নিন।

ভাল করে মিশিয়ে এই ফেসপ্যাকটি মুখে ১৫ থেকে ২০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন এবং তারপর ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের কালো দাগ কমে যাবে এবং ত্বক উজ্জ্বল দেখাবে।

একটি প্লেটে দেশি ঘি রেখে তাতে কিছু জল যোগ করুন এবং আঙুল দিয়ে বৃত্তাকার গতিতে নাড়ুন। প্লেটে ঘি এভাবে কিছুক্ষণ নাড়লে ঘি ঘন হবে এবং একটি তুলতুলে পেস্ট তৈরি হতে শুরু করবে।

এই পেস্টটি ক্রিমের মতো মুখে লাগানো যেতে পারে। এটি ত্বককে নরম করে এবং সুন্দর দেখায়। মুখের পাশাপাশি ঠোঁটেও ঘি লাগানো যেতে পারে। এতে ঠোঁট ফাটার সমস্যা দূর হয়।

দ্রষ্টব্য: এচাহারাও আপনার ত্বকের জন্য কোন ধরণের ময়েশ্চারাইজার সঠিক হবে তা জানতে আপনি একজন ডাক্তার বা সৌন্দর্য বিশেষজ্ঞের সাহায্য নিতে পারেন।