Bangla News: ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, রক্ত খাওয়া তো আছেই, মশার আছে বিরাট উপকারিতাও! চমকে উঠবেন জানলে
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Bangla News: মশা পৃথিবীর খাদ্য-শৃঙ্খলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রায় ৩৪০০ প্রজাতির মশা কোনো ক্ষতি করে না। কিছু মাকড়সা, টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ এদের মুখ্য খাদ্য এই মশা।
advertisement
1/7

প্রতি বছর প্রায় ১০ লাখ মানুষের মশাবাহিত রোগে মৃত্যু হয়। যার দরুন মশা পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাণঘাতী প্রাণীতে পরিণত হয়েছে। ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গিজ্বর, চিকুনগুনিয়া ও জিকা'র মতো মশাবাহিত রোগ পৃথিবীর প্রায় ১০০টি দেশে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।
advertisement
2/7
গবেষণায় দেখা যায়, প্রাণীদেহ থেকে বের হওয়া কার্বনডাই অক্সাইড, গন্ধ ও তাপমাত্রা মশাকে মানুষ নাকি অন্য কোনো প্রাণী, তা শনাক্তে সহায়তা করে। শুধুমাত্র স্ত্রী মশাই প্রাণীদেহ থেকে রক্ত খেয়ে থাকে। আর এ রক্ত বংশবিস্তারের জন্য ডিম তৈরিতে প্রোটিনের উৎস হিসেবে ব্যবহার করে। পুরুষ মশারা মানুষকে কামড়ায় না, শুধু উদ্ভিজ্জ উৎস থেকে রস সংগ্রহ করে। কিন্ত এই মশার কি কোনো উপকারিতা আছে?
advertisement
3/7
মশা পৃথিবীর খাদ্য-শৃঙ্খলে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। প্রায় ৩৪০০ প্রজাতির মশা কোনো ক্ষতি করে না। কিছু মাকড়সা, টিকটিকি, গিরগিটি, ব্যাঙ এদের মুখ্য খাদ্য এই মশা। এছাড়া মশার ডিম মাছেরা খাবার হিসেবে ব্যবহার করে। তাই মাছের খাদ্য চাহিদা মেটাতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে মশা। যখন মশা উড়ন্ত অবস্থায় থাকে তখন ড্রাগন-ফ্লাই, ছোট ছোট পাখি ও কীটপতঙ্গ মশাকে খেয়ে জীবনধারণ করে।
advertisement
4/7
ফ্লোরিডা ইউনিভার্সিটির পতঙ্গ-বিজ্ঞানী লউনিবোস বলেন, ‘মশারা ফুলের মধু খায়, যা পরাগায়নের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। মশাদের যদি পরিপূর্ণ বিলুপ্তি হয়, তাহলে এসবের সাথে সাথে আরও বহু খাদ্য-শৃঙ্খলের উপর প্রভাব পড়বে।’
advertisement
5/7
যদিও অনেক গবেষক বলছেন, পরাগায়ন ও খাদ্য হিসেবে মশার উপযোগিতা অন্য কোনো পতঙ্গ সহজেই পূরণ করতে পারবে। কিন্তু তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘যে পতঙ্গটি মশার প্রতিস্থাপক হবে, সেটি মশার চেয়েও ভয়ঙ্কর এবং দ্রুতগতিতে রোগ বিস্তার করবে।’
advertisement
6/7
এছাড়াও মশা না থাকলে পাখির সংখ্যা ব্যাপক হারে কমবে বলে ধারণা করা হয়। অনেক কীট-তাত্ত্বিকদের মতে, মশার কারণে গ্রীষ্মমন্ডলীয় জঙ্গল এলাকায় মানুষ বসবাস করতে পারে না। সেসব অঞ্চলে মশা না থাকলে মানুষ আরও অনেক বেশি গাছপালা কেটে বন উজাড় করে বসতি স্থাপন করত।
advertisement
7/7
এদিকে অনেক বেশি পরিমাণ মশার বসবাস উত্তর ও দক্ষিণ মেরুতে। প্রতি বছর যে পরিমাণ পরিযায়ী পাখিরা এখানে আসে তাদের মূল খাদ্য হচ্ছে মশা। তাই যদি মশা-ই না থাকে, তাহলে প্রায় ৫০ শতাংশ পরিযায়ী পাখি আর দুই মেরুতে আসবে না। ফলে সেখানকার পরিবেশ বদলাতে শুরু করবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
Bangla News: ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গি, রক্ত খাওয়া তো আছেই, মশার আছে বিরাট উপকারিতাও! চমকে উঠবেন জানলে