Baldness Super Tips: দামি দামি সেরাম-শ্যাম্পু ছাড়ুন...! রান্নাঘরের এই 'ম্যাজিক' জল দুর্ধর্ষ টোটকা! 'এইভাবে' লাগালেই 'টাকে' কামাল! গজাবে চুল, গ্যারান্টি!

চুল থাকলে তার কদর করে আর কজন। কিন্তু টাক পড়তে শুরু করলেই মাথায় হাত পরে যায় প্রায় সকলেরই। আসলে চুলগুলো যখন মাথা থেকে একটু একটু করে ভ্যানিশ হতে শুরু করে, তখন সবারই মুখে অন্ধকার নেমে আসে।

আসলে চুল পড়া, চুল পাতলা হয়ে যাওয়া বা টাক পড়ে যাওয়ার মতো হাল হলে বাকি চুলটুকু যাতে থাকে তার জন্য কী কী না করেন মানুষ। কেউ দামি দামি ওষুধ থেকে সেরাম-শ্যাম্পু লাগাতে শুরু করে দেন। কেউ আবার খেতে শুরু করেন নানা কিছু।

কিন্তু রাসায়নিক সম্বলিত সেসব দামি ক্রিম বা বিভিন্ন ধরনের ওষুধ কিছুই কিন্তু এই ধরনের পরিস্থিতিতে তেমন ভাবে সাহায্য করে না। অথচ টাক পড়া এমনই একটি সমস্যা, যার ভয় একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর থেকেই সবাইকেই তাড়িত করে।

অথচ আমরা অনেকেই কিন্তু জানি না যে আমাদের রান্নাঘরে এমন একটি জিনিস রয়েছে, যেটি আমরা বছরের পর বছর ধরে সিঙ্কে ফ্লাশ করে ফেলছি, কিন্তু এই জিনিসটি যে টাক পড়া মাথার চুলকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে সে খবরই রাখি না। শুনলে অবাক হবেন যে এই অলৌকিক জিনিসটি হল চালের জল।

চুলের সুস্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের জন্য চালের জল ব্যবহার নতুন কোনও প্রতিকার কিন্তু নয়। এই টোটকাটি চীন এবং জাপান-সহ এশিয়ার অনেক দেশে শতাব্দী প্রাচীন। এই ঘরোয়া সমাধান জাপানের প্রাচীন হিয়ান যুগের, যখন সেখানকার মহিলাদের খুব সুন্দর চুল ছিল।

সে যুগে নারীদের পরে লম্বা করে মেঝে পর্যন্ত ঝুলিয়ে রাখা হত। চালের জলের ব্যবহারের ফলে ক্ষতিগ্রস্থ চুলের এক সঙ্গে লেগে থাকা কিউটিকলগুলি খুলে যায় এবং চুল রুক্ষ হয়ে যায়। এই খোলা কিউটিকল রাসায়নিক পদার্থে ভরে যায় এবং চুল ক্ষতিগ্রস্ত হতেই থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ভাতে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ স্টার্চ থাকে। এই স্টার্চ চুলের জন্য উপকারী।

ভাতের জলে ভিটামিন, অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং মিনারেল থাকে, যা আপনার চুলকে মজবুত করে। এগুলো চুলের ফলিকলকে শক্তিশালী করে।

চালের জল কীভাবে ব্যবহার করবেন - আপনি তিনটি উপায়ে চালের জল ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যখন চাল ধোবেন তখন তার জল সংগ্রহ করুন। এই জল দিয়ে চুল ধুতে পারেন।

আপনি রাইস ওয়াইনও ব্যবহার করতে পারেন। রাইস ওয়াইন মানে ফার্মেন্টেড রাইস ওয়াটার। কেউ কেউ এমনকি ২ দিন চাল ভিজিয়ে রাখে। এরপরে সেই জল চুলের জন্য ব্যবহার করা হয়।

একটি পদ্ধতি হল ধানের তুষ। অর্থাৎ খোলা পাত্রে ভাত রান্না করার সময় ভাত সেদ্ধ হওয়ার পর অবশিষ্ট জল চুলে লাগান।

চুলের টনিক কীভাবে তৈরি করবেন:এই ৩টি উপায়ে প্রাপ্ত চালের জল সরাসরি চুলে লাগাতে পারেন। শ্যাম্পু দিয়ে চুল ধোয়ার পর এই চালের জল চুলে লাগিয়ে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট চুলে রেখে দিন। এরপর পরিষ্কার জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

আরেকটি উপায় হল ভাত সিদ্ধ হওয়ার পর ঘি দিয়ে চুল ধুলে তা ঘন হয়ে যায়। এটি আপনার চুল এবং মাথার ত্বকে লাগান। এতে আপনি উপকৃত হবেন।

চুলের টনিক তৈরি করতে চাইলে চালের গুঁড়ো, কফির গুঁড়ো, আমলা গুঁড়ো এবং ভ্রিংরাজ গুঁড়ো এক চামচ করে নিন। এই সব এক গ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। এই সমস্ত জিনিস আপনার চুলের স্বাস্থ্যের জন্য দুর্দান্ত।

আপনি এই উপাদানগুলিকে সারারাত জলে রাখুন। সকালে এই জলটি ভাল করে মেশান এরপর এটি ছেঁকে নিন। এই জল স্প্রে বোতলে সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এটি রাতে চুলে লাগিয়ে হালকা হাতে ম্যাসাজ করুন। এতে আপনার চুলের বৃদ্ধি বাড়বে।