Vegetable: বছরভর রোজই খায় সকলে, কিন্তু এবারে গরমে 'বাদ' দিন 'এই' ৯ সবজি! নচেৎ ওষুধ পিছু ছাড়বে না

*প্রতি ঋতুতে আলাদা আলাদা সবজি, ফল মেলে বাজারে। প্রাপ্যতা অনুযায়ী ডায়েটে বিভিন্ন ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত হয়। পুষ্টিবিদরা ডায়েটে এমনই শাকসবজি এবং ফল অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন, যা কেবল সেই নির্দিষ্ট মরসুমে পাওয়া যায়।

*তবে নির্দিষ্ট কিছু ঋতুতে কিছু ফল ও সবজি একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। বিশেষ করে প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপ বাড়ায় এমন যে কোনও খাবারই এড়িয়ে চলুন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক কোন কোন সবজি রয়েছে এই তালিকায়, যেগুলি গরমে খাওয়া একেবারেই ঠিক নয়।

*আলু: গরমের মূল জাতীয় শাকসবজি না খাওয়াই ভাল। যদি একান্তই খেতে হয় তবে তার মাপ হতে হবে কম। আলু সাধারণত শরীরের তাপ বাড়ায়। এজন্য গরমের মাসগুলিতে খুবই কম পরিমাণে আলু ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

*পেঁয়াজ ও রসুন: সাধারণত অনেক খাবারই পেঁয়াজ ও রসুন ছাড়া সুস্বাদু হয় না। পেঁয়াজ, রসুন খাবারের স্বাদ বাড়ায়। কিন্তু দুটোই আমাদের শরীরে তাপ উৎপন্ন করতে পারে। সুতরাং প্রচণ্ড গরমে রান্নায় পেঁয়াজ এবং রসুনের ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে হবে।

*পালং শাক: সবুজ শাক, বিশেষ করে পালং শাকে অনেক পুষ্টি উপাদান থাকে। এই পালং শাকে অক্সালিক অ্যাসিড বেশি থাকে। এটি শরীরের ক্যালসিয়াম শোষণেও হস্তক্ষেপ করে। এটি কিডনিতে পাথর গঠনের কারণ হতে পারে। যাদের আগে থেকেই কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের পালং শাক খাওয়া উচিত নয়।

*বাঁধাকপি: ক্রুসিফেরাস সবজি যেমন বাঁধাকপি, কলার্ড গ্রিনস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এগুলি ক্যানসার প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। তবে এসব সবজি সবার জন্য উপযোগী নয়। এই সবজি ফোলাভাব এবং হজমজনিত সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। সেই জন্য গ্রীষ্মে যখন ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি বেশি থাকে, তখন বাঁধাকপি এবং কলার্ড গ্রিনস এড়ানো ভাল।

*মাশরুম: মাশরুম সাধারণত সুপারফুড হিসাবে পরিচিত। মাশরুমে সব ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে। কিন্তু এরা শরীরে তাপ উৎপন্ন করার ক্ষমতা রাখে। এজন্য আপনার গ্রীষ্মে এগুলি এড়ানো উচিত বা খুব অল্প পরিমাণে খাওয়া উচিত।

*বিটরুট: শীতকালে বিটরুট বেশি পাওয়া যায়। সাধারণত এগুলো শীতকালে আমাদের শরীরে পর্যাপ্ত তাপ সরবরাহ করে। কিন্তু এগুলিতে উপস্থিত যৌগগুলির কারণে এটি গ্রীষ্মে উত্তপ্ত হয়ে যায়। গরমে বেশি পরিমাণে বিটরুট খেলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে।

*আদা: রান্নায় বহুল ব্যবহৃত প্রধান উপাদান আদা। আদা চা খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে শীতকালে। তবে আপনার যতটা সম্ভব গ্রীষ্মে খুব বেশি আদা যোগ করা এড়ানো উচিত। কারণ এতে এমন যৌগ রয়েছে যা শরীরের তাপ বাড়ায়।

*কুমড়ো: গরমের সময় কুমড়ো দিয়ে তৈরি খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কুমড়ো শরীরের তাপও বাড়িয়ে দিতে পারে। এগুলি শীতকালীন ডায়েটে উদারভাবে অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে।

*বেগুন: বেগুন একটি অ্যান্টি-কুলিং সবজি। এগুলো বেশি পরিমাণে খেলে গরমে গরম বাড়বেই।

*গ্রীষ্মে কী খাবেন? গরম গ্রীষ্মের মাসগুলিতে শসা এবং টমেটোর মতো জল সমৃদ্ধ শাকসবজি বেশি করে খান। এছাড়া তরমুজ, সাইট্রাস ফল, কিউই, পুদিনা ইত্যাদি খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে। এই ফল এবং সবজিগুলি শরীর ঠান্ডা করে।