Asafoetida (Hing) Water Benefits: ক্যানসার কাছে ঘেঁষবে না! কমাবে ওজন! সকালে ১ গ্লাস জলে শুধু মেশান এই ছোট্ট জিনিস

রান্নাঘরে এমন অনেক ভেষজ যা বড় বড় রোগে ম্যাজিকের মতো কাজ করে যদি তা ঠিক ভাবে খাওয়া যায় নিয়মিত। কিন্তু অনেকেই এর খবর রাখেন না। হিং একটি ভারতীয় মশলা যা বহু শতাব্দী ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

ভারতীয় রান্নার মতোই হিং-এর অনেক ঔষধি গুণও রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ডায়াবেটিক বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আপনি কি কখনও হিং-জল পান করেছেন? হিং জল কিছু সংস্কৃতিতে একটি ঐতিহ্যগত প্রতিকার হিসাবে ব্যবহৃত হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করার ক্ষমতা-সহ এই জলের অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়।

সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে হিং-জল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। গবেষণায় দেখা গিয়েছে হিং -এর জল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উপরন্তু, হিং জল ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায়, শরীরকে আরও দক্ষতার সঙ্গে ইনসুলিন ব্যবহার করতে সাহায্য করে এই জল।

ওজন কমাতে সাহায্য করে:জলে হিং মিশিয়ে খেলে তা ম্যাজিকের মতো কাজ করে ওজন কমাতে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে হিং জল মেটাবলিজম বাড়ায়, যা শরীরে ক্যালরি পোড়ানোর হার বাড়ায়। এ ছাড়া হিং জল খিদে ভাব কমাতেও সাহায্য করে, যার ফলে মানুষ কম খায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।

হজমশক্তির উন্নতি ঘটায়:হিং একটি প্রাকৃতিক পাচক, যা হজমশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি গ্যাস, পেট ফাঁপা এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো হজমের সমস্যা থেকে ত্রাণ দিতেও সাহায্য করতে পারে।

ক্যান্সারে উপকারী:হিং-এ রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরকে ফ্রি র্যাদিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ফ্রি র্যাডিক্যাল অনেক রোগের জন্য দায়ী, যেমন ক্যান্সার, হৃদরোগ এবং আলজাইমার রোগ।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা:অ্যাসফোটিডায় অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করতে পারে। এটি সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং রোগের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করতে পারে।

অভিজ্ঞ আয়ুর্বেদ চিকিৎসক অসীম শর্মা জানান, আয়ুর্বেদ মতে হিংয়ের জল সুস্বাস্থ্যের দাওয়াই হিসেবে পরিচিত। হিং মেশানো জল খেলে শরীরে অনেক লাভ হয়।