দুপুরে না ঘুমোলে শরীর 'ম্যাজম্যাজ' করে? এই অভ্যাস ভাল না খারাপ? সত্যিটা জানলে তাজ্জব হবেন!
- Published by:Tias Banerjee
- local18
Last Updated:
Sleeping Problem: ঘুমোচ্ছেন? অনেককেই দুপুরে একটু ঘুমোতে দেখা যায়। এই ছোট্ট ঘুমকেই অনেকে ‘পাওয়ার ন্যাপ’ বলেন। দুপুর ১টা থেকে ৪টার মধ্যে সাধারণত ঘুম ঘোর বেশি আসে।
advertisement
1/7

আমরা যারা প্রতিদিনের হাড়ভাঙা খাটুনিতে ক্লান্ত হয়ে যাই, তাদের অনেকেরই দুপুরে একটু ঘুমনোর অভ্যাস আছে। এই অভ্যাস আপাত ভাবে ক্লান্তি জুড়োয়। মনকে স্বস্তি দেয়, শরীরকে আরাম দেয়। এই অভ্যাস আসলে ভাল না খারাপ? জেনে নিন চিকিৎসকের মত।
advertisement
2/7
বিশেষত দুপুরের খাবারের পরে ১টা থেকে ৪টের মধ্যে ঘুম পেয়ে যাওয়া একেবারেই স্বাভাবিক। তবে খেয়াল রাখতে হবে—এই ঘুম যেন প্রয়োজনের সীমা না ছাড়ায়। বেশি সময় ঘুমোলে উপকারের বদলে ক্ষতি হতে পারে।
advertisement
3/7
চিকিৎসকরা কী বলছেন? ডঃ চন্দ্রিমা পালের মতে, পাওয়ার ন্যাপ ২০ থেকে ৩০ মিনিটের বেশি হওয়া উচিত নয়। এই সময়টা ঘুমোলে মস্তিষ্ক আরও সতেজ হয়, কর্মক্ষমতা বাড়ে। শরীর ও মন নতুন শক্তি পায়, কাজের প্রতি আগ্রহও বাড়ে। চিকিৎসক প্রাঞ্জিল চেতিয়াও এই মত সমর্থন করেন। তাঁর মতে, দুপুরে অল্প সময় ঘুম কাজের দক্ষতা বাড়িয়ে তোলে।
advertisement
4/7
তবে যদি ৩০ মিনিটের বেশি ঘুমিয়ে পড়া যায়, তখন সমস্যা শুরু হয়। বেশি ঘুমোলে শরীর ভারী হয়ে যায়, মন অগোছালো লাগে। ক্লান্তি, ভুলে যাওয়া, মনোযোগের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। বিকেলে শরীর ঝিমঝিম করতে শুরু করে, এনার্জি কমে যায়।
advertisement
5/7
দুপুরে বেশি ঘুমোলে রাতের ঘুমের উপরও প্রভাব পড়ে। রাতে ঘুম ঠিকমতো না হলে পরদিন সারাদিন শরীরে ক্লান্তি, মেজাজ খিটখিটে ভাব দেখা যায়। ধীরে ধীরে এটি অনিদ্রার মতো মারাত্মক সমস্যার কারণ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, দুপুরে এক ঘণ্টার বেশি যারা ঘুমন, তাদের ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি বেড়ে যায়।
advertisement
6/7
ভালভাবে ঘুমোনোর নিয়ম--- 👉 দুপুরে ১০-২০ মিনিট ঘুম: এটাই সবচেয়ে উপযুক্ত সময়। এতে শরীর-মন সতেজ হয়। 👉 শান্ত ও অন্ধকার ঘরে ঘুম: এতে ঘুমের মান বাড়ে। 👉 একান্ত প্রয়োজনে মাত্র এক ঘণ্টা: প্রচণ্ড চাপ বা ক্লান্তি থাকলে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ঘুমনো যায়। তবে কখনোই তার বেশি নয়। 👉 উচ্চ মানসিক চাপে থাকা পেশাজীবীরা যেমন খেলোয়াড়, চিকিৎসক, পাইলটরা এই স্বল্প সময়ের ঘুমে শরীর ও মনের শক্তি ফেরত পান। এতে মনোযোগ ও পারফরম্যান্স বেড়ে যায়।
advertisement
7/7
ঘুম আমাদের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। সঠিক সময়ে, সঠিক পরিমাণে ঘুম শরীর-মন ভালো রাখে। কিন্তু অবহেলায় বেশি ঘুমোলে সমস্যা তৈরি হয়। তাই ঠিক সময়ে ও সচেতনভাবে ঘুমনো ভাল—নইলে ঘুমই হয়ে উঠতে পারে রোগের কারণ। মনে রাখুন, সামান্য সচেতনতা আপনাকেই বাঁচাবে।
বাংলা খবর/ছবি/লাইফস্টাইল/
দুপুরে না ঘুমোলে শরীর 'ম্যাজম্যাজ' করে? এই অভ্যাস ভাল না খারাপ? সত্যিটা জানলে তাজ্জব হবেন!