'আমি বিধায়ক, কেন পালতে যাব...?' আদালতে কী বললেন জীবনকৃষ্ণ? বিস্ফোরক দাবি তৃণমূল বিধায়কের!
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:Rounak Dutta Chowdhury
Last Updated:
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সোমবার ফের মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ এর আগে সিবিআই-এর হাতেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ৷ এবার গ্রেফতার হন ইডির হাতে।
advertisement
1/9

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে সোমবার ফের মুর্শিদাবাদের বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে হানা দেয় ইডি৷ এর আগে সিবিআই-এর হাতেও নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হন জীবনকৃষ্ণ৷ এবার গ্রেফতার হন ইডির হাতে।
advertisement
2/9
সূত্রের খবর, ইডি হানা দিয়েছে খবর পেয়েই বাড়ির পিছনের দিকের পাঁচিল পেরিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল বিধায়ক৷ এর আগে সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতারির সময়ও জীবনকৃষ্ণ তাঁর দুটি মোবাইল পুকুরে ফেলে দিয়েছিলেন৷
advertisement
3/9
এ দিনও ইডি হানা দিতেই পালানোর সময় নিজের একটি মোবাইল ফের পুকুরে ফেলে দেন তৃণমূল বিধায়ক৷ যদিও তৃণমূল বিধায়কদের মরিয়া চেষ্টা ব্যর্থ হয়৷ তাঁকে গ্রেফতার করার পাশাপাশি পুকুরে ফেলে দেওয়া মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করে ইডি৷
advertisement
4/9
এদিকে এদিন আদালতে পেশ করা হলে যাবতীয় নাটক শেষে কার্যত একেবারে ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে যান জীবনকৃষ্ণ সাহা। জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী জাকির হোসেন জানান, "আমাদের এখনও আবেদন পত্র দেওয়া হয়নি আমার অভিযোগ সম্পর্কে জানার সময় পাইনি।"
advertisement
5/9
বিধায়ককে উদ্ধৃত করে আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, "আমার এবং আমার স্ত্রীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, অবৈধ লেনদেনের অভিযোগ তোলা হয়েছে। আগে আমি তদন্তে সাহায্য করেছি সিবিআইকে। অভিযোগ তোলা হয়েছে আমার, আমার বাবা এবং আমার স্ত্রীর অ্যাকাউন্ট ৪৬ লক্ষ টাকা অবৈধ লেনদেন হয়েছে।"
advertisement
6/9
গ্রেফতারির সময় নানা নাটকের পর এদিন আদালতে কার্যত সুবোধ বালকের মতোই বিধায়কের দাবি, "আমি আগেও তদন্তে সাহায্য করেছি। দেড় বছর ধরে আমি সাহায্য করেছি। আর কী নথি লাগবে আমাকে বলুক তদন্তকারী এজেন্সি।"
advertisement
7/9
"কোন জিনিসটা নতুন করে উঠে আসল যে আবার নতুন করে আমাকে গ্রেফতার করা হল?অনেক অভিযোগ থাকতে পারে যে আমি অফিসারকে মারধর করেছি মোবাইল ফেলে দিয়ে তা নিয়ে অন্য মামলা করতে পারেন। আমার আবেদন, আমাকে একেবারে রিলিজ করে দেওয়া হোক।"
advertisement
8/9
অন্যদিকে ইডির পক্ষে আইনজীবীর সওয়াল, "আমরা অনেকগুলো টাকার লেনদেনের হদিস পেয়েছি। কোথাও তাঁর বাবা তাঁকে দিয়েছেন বলেছেন। আমরা যাই জিজ্ঞাসা করেছি তার সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। কোনও ক্ষেত্রেই তিনি কাগজ দেখাতে পারেননি।"
advertisement
9/9
জীবনকৃষ্ণ সাহার আইনজীবী, জাকির হোসেন তাঁর বয়ানে আরও জানান, "দেড় বছর ধরে আমি তদন্তে সহযোগিতা করছি পরেও ডাকলে যেতাম। কেন পালাব? আমি বিধায়ক, কোনদিন পালিয়ে যেতে পারব? ইডি যে বলছে আমি পালিয়েছি বা মোবাইল ফোন ছুড়ে দিয়েছি। তার যথাযথ তথ্য প্রমাণ দিক ইডি, ভিডিওগ্রাফি দিতে পারবে তো? আর যে অবৈধ লেনদেনের কথা বলছে তার যথোপযুক্ত নথি আমার কাছে আছে।"