অর্থিক সঙ্কট, শতবর্ষে পুজোর জন্য ভাঁড়ে টাকা জমাবেন টালার বাসিন্দারা
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
এলাকায় প্রায় দুইশোটি বাড়িতে টালা বারোয়ারীর তরফে দেওয়া হল ভাঁড়। প্রত্যাশা টাকা জমিয়ে পুজোর সময় পুজো উদ্যোক্তাদের ফিরিয়ে দেবে ভাঁড়।
advertisement
1/5

*পথ দেখিয়েছিল ক্যালকাটা গার্লসের ক্লাস ফাইভের ছাত্রী শ্রীনিধি গঙ্গোপাধ্যায়। সবাইকে অবাক করে গতবছর অষ্টমীর দিন একটি ভাঁড় সে তুলে দিয়েছিল টালা বারোয়ারীর পুজো কর্তাদের হাতে।
advertisement
2/5
*যদিও গতবছর অর্থের প্রয়োজন না হলেও, ভাবনার কুর্নিশ করেছিলেন সকলেই। সেইদিনের ভাঁড় এখনও অক্ষত অবস্থায় রাখা হয়েছে। কারণ খুঁটিপুজোর মত শুভদিনে হিসাব হবে শ্রীনিধির দেওয়া অর্থের। সেদিনের আগে শ্রীনিধির বাবা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ঘূণাক্ষরেও বুঝতে পারেননি তার ছোট্ট মেয়ে এমন কান্ড ঘটাবে। তিনি বললেন সংসারে আর পাঁচটা আলোচার মত প্রতিদিন পুজোর বাজেটের আলোচনাও হয়। হয়তো সেখান থেকেই ভাবতে শুরু করেছিল শ্রীনিধি।
advertisement
3/5
*সময়ের বদল হয়েছে, অষ্টমীর দিন ক্ষুদে সদস্যের হাতে পাওয়া ভাঁড়ের ভাবনা গভীর ক্ষত তৈরী করেছিল পুজো পাগল সদস্যগুলোর মধ্যে। অর্থাভাব প্রতিবছর থাকে, তবে এই বছর শতবর্ষ তাই চিন্তা অনেকটাই বেশী। তাই এবার ছোট্ট শ্রীনিধির ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে নিজেদেরই বাড়িতে রাখছেন ভাঁড়। টার্গেট একহাজার বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া।
advertisement
4/5
*প্রথম দফায় রবিবার দুপুরে ২০০ বাড়িতে ভাঁড় দেওয়া হয়। অনুরোধ জানান হয়, একটু মনে করে টাকা জমিয়ে তা যেন তুলে দেওয়া হয় টালা বারোয়ারীর পুজোর সাহায্যার্থে। যা পাড়ার সকলেই এক কথায় গ্রহণ করেছেন। অনেকেই জানিয়েছেন, সংসার সামলে অনেক মহিলা সদস্যরাই টাকা রাখেন লক্ষীর ঘটে, এই বছর না হয় তাঁরা কিছু টাকা মা দূর্গার ঘটে রাখবেন।
advertisement
5/5
*টালা বারোয়ারীর উদ্যোক্তা অভিষেক ভট্টাচার্য জানান, আর্থিক মন্দার বাজারে এখন ভরসা ভাঁড়গুলো। কিছুটা টাকা জমিয়ে দিলেও সমস্যার সমাধান হবে, তবে চাঁদা উঠবে প্রতি বছরের মতই। থিমের পুজোয় টালা থাকলেও এই উদ্যোগ দেখে অনেকেই মনে করছেন উত্তর কলকাতার সাবেকি পুজো ফিরিয়ে আনল টালা। এইভাবেই তো শুরু হয়েছিল সর্বজনীন পুজো।