Suvendu Adhikari News: হাইকোর্টে বিরাট অস্বস্তিতে পড়লেন শুভেন্দু! রায় বেরতেই বিস্ফোরক কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়! পাল্টা বিল্বদলের দাবি, 'রাজ্যের হার হয়েছে'!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
Suvendu Adhikari News: হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারীর এতদিন যে রক্ষাকবচ ছিল, সেই রক্ষাকবচ আর নেই।''
advertisement
1/9

কলকাতা: বেজায় অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার দেওয়া ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার করে নিল কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর বেঞ্চ। আপাতত আদালতের দৌলতে আর কোনও রকম ‘রক্ষাকবচ’ পাবেন না রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা। ফলত শুভেন্দুর অস্বস্তি বাড়ল বলেই মনে করছেন একাংশ। এছাড়াও, মানিকতলা-সহ মোট চারটি মামলা সিবিআই এবং রাজ্যের যুগ্ম SIT গঠন করেছে আদালত।
advertisement
2/9
আর হাইকোর্টের এই নির্দেশের পরই রাজ্যের তরফে আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''শুভেন্দু অধিকারীর এতদিন যে রক্ষাকবচ ছিল, সেই রক্ষাকবচ আর নেই। প্রায় ১৮-২০টা মামলা চ্যালেঞ্জ হয়েছিল, তার মধ্যে ১২-১৩টা বাদে বাকি গুলোয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বীরবাহা হাঁসদার মামলায় কোর্ট কোনও ইন্টারফেয়ার করেনি। আগে যে কোনও মামলায় এফআইআর করা যাবে না বলে বলা ছিল, সেটা আর থাকছে না। রাজ্যের কোনও বাধা রইল না।'' কল্যাণের সংযোজন, '' ওরা বলছে, অনেক কেস হয় শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে, কিন্তু শুভেন্দু অধিকারী তো আলাদা নন, উনি যদি ক্রাইম করেন, মামলা হবে।''
advertisement
3/9
আর আদালতের নির্দেশের পরই শুভেন্দু অধিকারীর পক্ষের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেন, ''২০২১-২২ সালে দুটি রিট পিটিশন ফাইল করা হয়েছিল। আদালত বলেছিল, যদি নতুন কোনও কমিশন করতে হয়, তাহলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। রাজ্য সরকারের হার হয়েছে, কারণ বেশিরভাগ এফআইআর স্কোয়াশ করে দেওয়া হয়েছে। যাতে মানুষের আস্থা থাকে, তাতে সিবিআই আর পুলিশের অফিসার থাকবেন। ''
advertisement
4/9
বিল্বদলের আরও সংযোজন, ''রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা হচ্ছে, আদৌ তা নয়। কারণ আদালতের অনুমতি নিয়ে এফআইআর করার অনুমতি ছিল। রাজ্য এর আগেও আদালতের অনুমতি নিয়ে ভুয়ো এফআইআর দায়েরের চেষ্টা হয়েছিল। বিরোধী দলনেতা যেমনটা বলছিলেন ভুয়ো এফআইআর হচ্ছে, সেটাই প্রতিষ্ঠিত হল।''
advertisement
5/9
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে এই ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সেই সময় শুভেন্দুর এই ‘রক্ষাকবচ’ নিয়ে সরব হয়েছিল খোদ রাজ্য। পাল্টা মামলা করা হয়েছিল।
advertisement
6/9
পরবর্তীতে সেই জল গড়িয়েছে শীর্ষ আদালত পর্যন্ত। কিন্তু দিনশেষে বহাল থেকেছে রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ। ‘রক্ষাকবচ’ পেয়েছেন শুভেন্দু। তবে তার মেয়াদ আপাতত শেষ হল বললেই চলে।
advertisement
7/9
নন্দীগ্রাম ২ মামলা, তমলুক ১ মামলা, কাঁথি ১ মামলায় রক্ষাকবচ চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেননি শুভেন্দু অধিকারী। সেই মামলা গুলিতে রক্ষাকবচ চেয়ে আবেদন করলে আদালত তা বিবেচনায় আনবে, এমনই জানালেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
advertisement
8/9
২০২১ সাল থেকে রক্ষাকবচ পেয়ে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে কোনও FIR আদালতের অনুমতি ছাড়া নয়।রাজ্যে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালত গ্রাহ্য অভিযোগ থাকলেও এতদিন তার বিরুদ্ধে FIR হত না।
advertisement
9/9
২০২১ সালে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা প্রথম অন্তর্বতী নির্দেশ আকারে রক্ষাকবচ দেন। যা সুপ্রিম কোর্ট বহাল রাখে। দেড় ডজনের ওপর FIR স্থগিত বা তদন্তমুখ বন্ধ আছে হাইকোর্টের নির্দেশে। সেই রক্ষাকবচ মামলারই চূড়ান্ত রায়দান হল আজ।