Subrata Mukherjee Last Rites: গান স্যালুটে চিরবিদায় সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে, কেওড়াতলা শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন এক বর্ণময় রাজনীতিকের...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে যে শুধু রাজনৈতিকমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তাই নয়। শোকাতুর রাজ্যবাসী। আর আজ শেষযাত্রায় যেন সেই ভালোবাসার ছায়াপথের অমৃতপথযাত্রী হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
advertisement
1/14

শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার কথা ছিল রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের। কিন্তু, তার আগেই নিভে গেল প্রদীপ। বৃহস্পতিবার কালীপুজোর আলোকময় রাতেই আলোকপথে যাত্রা করলেন রাজ্যের প্রবীণ ও দক্ষ রাজনীতিবিদ সুব্রত মুখোপাধ্যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৭৫ বছর বয়সি রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী (Subrata Mukherjee)৷ রাত ৯টা ২২ মিনিটে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
advertisement
2/14
বৃহস্পতিবার রাতে SSKM হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগ থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় তপসিয়ার পিস হাভেনে। সেখান থেকে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় রবীন্দ্র সদনে। বিকেলে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। তাঁর শেষযাত্রায় থাকবেন না আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সুব্রতদার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি শেষকৃত্যে থাকব না। ওঁর মরদেহ আমি দেখতে পারব না।' ‘দাদা’ সুব্রতের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী শোকস্তব্ধ।
advertisement
3/14
তাঁর শেষযাত্রায় থাকবেন না আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'সুব্রতদার মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছি না। আমি শেষকৃত্যে থাকব না। ওঁর মরদেহ আমি দেখতে পারব না।' ‘দাদা’ সুব্রতের প্রয়াণে মুখ্যমন্ত্রী শোকস্তব্ধ।
advertisement
4/14
শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ শ্মশানে পৌঁছয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। উপস্থিতিতে ছিলেন নেতা-নেত্রী-বিশিষ্ট জন ও প্রাক্তন মন্ত্রীর পরিবারের সকলে।
advertisement
5/14
সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রতি শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহে মাল্যদানের পর পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন অভিষেক।
advertisement
6/14
চারটে একচল্লিশ মিনিটে গান স্যালুট দিয়ে তাঁকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করা হয়। এদিন কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গান স্যালুটে বিদায় জানানো হয় রাজ্যের মন্ত্রীকে। গান স্যালুটের পর শেষকৃত্যের জন্য নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মরদেহ। কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শুরু হয় শেষকৃত্যের কাজ।
advertisement
7/14
শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে রবীন্দ্র সদনে রাখা ছিল প্রাক্তন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সেখান থেকে তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় বিধানসভায়। সেখানে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ বিধায়করা উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন মন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।
advertisement
8/14
বেলা আড়াইটে নাগাদ রবীন্দ্র সদন থেকে বিধানসভায় নিয়ে যাওয়া হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। সেখানে আধ ঘণ্টা শায়িত রাখা হয় তাঁর দেহ। বিধানসভার সদস্যরা সেখানে শেষ শ্রদ্ধা জানান তাঁকে।
advertisement
9/14
১৯৭২ সালে প্রথম বার বিধায়ক হয়েছিলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। তার পর একাধিক বার বিধায়ক এবং মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এ বছরও বিধানসভা নির্বাচনে বালিগঞ্জ কেন্দ্র থেকে জিতেছেন তিনি। বিধায়ক থাকাকালীনই মৃত্যু হল তাঁর।
advertisement
10/14
সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে শুক্রবার দুপুরে বিধানসভায় পৌঁছন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সেখানে সুব্রতর দেহে মাল্যদান করেন তিনি। মাল্যদানের পর সাংবাদিকদের রাজ্যপাল বলেন, ‘‘রাজনীতিতে ওনার মতো ব্যক্তিত্বের নাম সব সময় উজ্জ্বল হয়ে থাকবে।’’
advertisement
11/14
বিধানসভা থেকে বিধায়কদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর তাঁর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় প্রাক্তন মন্ত্রীর বালিগঞ্জের বাড়িতে। সেখানে আত্মীয় পরিজনরা উপস্থিতি ছিলেন পরিবারের অতিপ্রিয় সদস্যকে শেষ বিদায় জানাতে।
advertisement
12/14
এরপর একডালিয়া এভারগ্রিন ক্লাবের সামনে নিয়ে আসা হয় সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের দেহ। এই ক্লাব এবং ক্লাবের পুজোর সঙ্গে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িয়ে গিয়েছে সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে প্রচুর মানুষ ওই ক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ভিড় করে। সুব্রতহীন একডালিয়া যেন অন্ধকার নেমে এসেছে। ভিড় করে আসা এলাকার মানুষ লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানান প্রিয় নেতাকে।
advertisement
13/14
বাংলা রাজনীতির অন্যতম বর্ণময় চরিত্র সুব্রত মুখোপাধ্যায়। দল-মত-নির্বিশেষে সকলেরই মন ছুঁয়ে ছিলেন মানুষটি। বেশ কিছুদিন যাবৎ অসুস্থ থাকলেও তাঁর অকস্মাৎ মৃত্যুতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। রাজনৈতিক পরিমণ্ডল থেকে সাধারণ মানুষ, কেউই মেনে নিতে পারছেন না স্বভাব রসিক, স্মিতভাষী মানুষটির চলে যাওয়া।
advertisement
14/14
তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে যে শুধু রাজনৈতিকমহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে, তাই নয়। শোকাতুর রাজ্যবাসী। আর আজ শেষযাত্রায় যেন সেই ভালোবাসার ছায়াপথের অমৃতপথযাত্রী হলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ছবি ও প্রতিবেদন : অভিজিৎ চন্দ্র