'সহ্যের একটা সীমা আছে, এনাফ ইজ এনাফ...!' হাইকোর্টে দাগি মামলায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ বিচারপতির
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:ARNAB HAZRA
Last Updated:
SSC Tainted List Case: এসএসসি-র অযোগ্যদের লিস্টে হস্তক্ষেপ নয়। 'দাগি' তালিকা বহাল রেখে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। এসএসসি নিয়োগ প্রশ্নে ইতিমধ্যেই একের পর এক মামলা হয়েছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে। এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত শুরু হয়েছে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেইমতো শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশ করা হয় 'দাগি' ও অযোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা। এরপরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে।
advertisement
1/9

এসএসসি-র অযোগ্যদের লিস্টে হস্তক্ষেপ নয়। 'দাগি' তালিকা বহাল রেখে এমনই নির্দেশ দিল হাইকোর্টের একক বেঞ্চ। এসএসসি নিয়োগ প্রশ্নে ইতিমধ্যেই একের পর এক মামলা হয়েছে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে। এরইমধ্যে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মত শুরু হয়েছে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেইমতো শীর্ষ আদালতের নির্দেশে গত শনিবার স্কুল সার্ভিস কমিশনের তরফে প্রকাশ করা হয় 'দাগি' ও অযোগ্য শিক্ষকদের নামের তালিকা। এরপরেই তোলপাড় পড়ে যায় রাজ্য জুড়ে।
advertisement
2/9
এসএসসি-র প্রকাশিত দাগি তালিকা চ্যালেঞ্জ মামলায় আজ, মঙ্গলবার শুনানিতে হাইকোর্ট মামলা খারিজ করে দেয়। যেখানে উচ্চ আদালত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে অযোগ্যদের তালিকায় হস্তক্ষেপ করবে না একক বেঞ্চ।
advertisement
3/9
বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য এদিন মামলার পর্যবেক্ষণে অত্যন্ত ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের প্রশ্ন ছিল, "মামলাকারিরা কি সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অনুযায়ী ৩১ডিসেম্বর পর্যন্ত স্কুলে চাকরি কন্টিনিউ করছে? উত্তরে মামলাকারী আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ী' জবাব ছিল, "না"।
advertisement
4/9
এরপরেই বিচারপতি পাল্টা প্রশ্ন করেন, "তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই মামলাকারীরা পরীক্ষায় বসবে? যুক্তি স্বরূপ আইনজীবী অনিন্দ্য লাহিড়ীর উত্তর ছিল, "আমরা প্যানেলের বাইরের নই। সাদা খাতা আমাদের নয়। ডিভিশন বেঞ্চের রায় অনুযায়ী আমরা মোটেই অযোগ্য নই।"
advertisement
5/9
এরপরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, "সহ্যের একটা সীমা আছে। এনাফ ইজ এনাফ। পরীক্ষা শুরুর মুহূর্তে এখন এসে বলছে আমি দাগি নই। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্ট এই অযোগ্যদের চাকরির মেয়াদ বাড়াল না। তখন কেন এই অযোগ্যরা এলেন না? মন্তব্য বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের।
advertisement
6/9
এক অযোগ্য শিক্ষকের হয়ে এক আইনজীবী শাক্য সেন বলেন, "৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আমার চাকরি বহাল হয়নি। কিন্তু এসএসসি আমায় পরীক্ষায় বসার জন্য অ্যাডমিট কার্ড দিয়েছিল। এখন হঠাৎ করে বলছে আমি অযোগ্য। অ্যাডমিট কার্ড এখন বাতিল করেছে এসএসসি।" তাঁর আবেদন, "পৃথকীকরণ সম্ভব হলে তো প্যানেল বাতিল হতো না। পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক। পরে যোগ্য-অযোগ্য নির্ধারিত হোক।"
advertisement
7/9
উত্তরে বিচারপতি জানান, "সুপ্রিম কোর্টের নজরে রয়েছে নতুন নিয়োগ প্যানেলের পুরো প্রক্রিয়া। শীর্ষ আদালতের আদেশেই এসএসসি দাগি তালিকা প্রকাশ করেছে। এই অবস্থায় হাইকোর্টের একক বেঞ্চের হস্তক্ষেপ সঠিক হবে না। একক বেঞ্চে মামলাকারীদের কাউকেই ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চাকরিতে কন্টিনিউ করতে দেওয়া হয়নি। কাজেই তাঁরা কেউই সুপ্রিম পর্যবেক্ষণে 'সম্ভাব্য যোগ্য' বলে বিবেচিত হয়নি। এখনও সুপ্রিম কোর্টের নজরেই বিষয়টি রয়েছে। আমি নিশ্চিত এসএসসি এমন তালিকার পেছনে ভালো যুক্তিযুক্ত কারণ আছে৷"
advertisement
8/9
প্রসঙ্গত, পরীক্ষায় বসতে চেয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের বেঞ্চে মামলা করেন 'অযোগ্য' তালিকাভুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা। বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যর বেঞ্চে দায়ের হওয়া এই মামলায় এসএসসি-র প্রকাশিত ১৮০৬ জনের নাম সম্বলিত 'দাগি' তালিকা বহাল রাখারই নির্দেশ দিল আদালত।
advertisement
9/9
পরীক্ষায় বসতে চেয়ে অযোগ্য'দের করা মামলা এদিন সম্পূর্ণ খারিজ করে দিল হাইকোর্ট। যার ফলে দাগি ও অযোগ্য তালিকাভুক্ত শিক্ষক শিক্ষিকাদের আগামী ৭ ও ১৪ সেপ্টেম্বর পরীক্ষায় বসার আবেদন কার্যত নাকচ করে দিল হাইকোর্ট। পরীক্ষায় বসার কোনও অনুমতি দিল না বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের একক বেঞ্চ।