Madan Mitra: 'ওহ্, লাভলি', গুরুদায়িত্ব পেয়েই আমজনতার সঙ্গে বাসে সওয়ার মদন মিত্র!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Madan Mitra: মদন মিত্র আবার সরকারি বাসের হালহকিকত দেখতে সরেজমিনে রাস্তায় নামলেন। চড়লেন সরকারি বাসেও। (তথ্য: অমিত সরকার)
advertisement
1/6

যখন তিনি রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী তখন সরকারি বাসের আমূল পরিবর্তন করেন। বাম আমলের সেই লাল ভাঙা সরকারি বাস বদলে শহরের রাস্তায় নীল রঙের ঝা চকচকে সরকারি বাস রাস্তায় চলতে শুরু করে। শুধু তিলত্তমার অন্দরে নয়, জেলাস্তরেও সরকারি বাসের চেহারা বদলে যায়। বদলে যায় দূর পাল্লা বাসগুলিও। সেই মদন মিত্র আবার সরকারি বাসের হালহকিকত দেখতে সরেজমিনে রাস্তায় নামলেন। চড়লেন সরকারি বাসেও।
advertisement
2/6
তবে এবার মন্ত্রী হিসেবে নন। দিন কয়েক আগেই ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের গণপরিবহন বিভাগের কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই সিদ্ধান্তে নেন নিজে সরকারি বাসে সওয়ার করে খতিয়ে দেখবেন পরিষেবা।
advertisement
3/6
যেমন ভাবা, তেমন কাজ। বুধবার তাঁর ভবানীপুরের বাড়ি থেকে বেরিয়ে যদুবাবুর বাজারের সামনে থেকে সটান উঠে পড়েন ধর্মতলাগামী এক সরকারি বাসে। আর তাতে যা হয়, মদন মিত্রকে সহযাত্রী হিসেবে পেয়ে অনেকেই খুশি যাত্রীরা। এদিন তাঁর গন্তব্য ছিল পরিবহন দফতর। ঠিক করেছিলেন বাসে চেপে এই যাত্রাপথে জনসংযোগ করবেন সাধারণ মানুষের সাথে।
advertisement
4/6
শুরু হয় আলাপচারিতা। মদন মিত্রের দাবি, অনেক যাত্রী তাঁর কাছে অভিযোগের সুরে জানিয়েছেন সরকারি বাস রাস্তায় কম। তাতে দুর্ভোগে পড়ছেন যাত্রীরা। যাত্রীদের কথা যেমন মন দিয়ে শুনেছেন, একইসঙ্গে কোন রুটে কী সমস্যা সেই বিষয়েও জেনেছেন মদনবাবু। তাঁর বক্তব্য শহরের বিভিন্ন রুটে আরও বেশি সংখ্যক বাসের প্রয়োজন আছে। বিশেষ করে বেহালা, গড়িয়া সহ একাধিক রুটে সরকারি বাসে যাত্রী সংখ্যা বেশি। তাই এই রুটগুলিতে আরও বেশি সরকারি বাসের চাহিদা আছে।
advertisement
5/6
এমনকি অফিস টাইমে ভিড় হচ্ছে, প্রবীন নাগরিকরাও আসন পান না অনেকক্ষেত্রে। এই অভিযোগও কানে আসে রাজ্যের প্রাক্তন পরিবহনমন্ত্রীর। সব কিছুর সমাধান একে বারে সম্ভব নয়। তিনি রিপোর্ট তৈরি করে সরকারের কাছে জমা দেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
advertisement
6/6
ধর্মতলা চত্বরে বাস থেকে নেমে পড়লেও অনেক পথচারী, যাঁরা বাস পরিষেবা নিয়ে থাকেন, তাঁরাও নিজেদের অসুবিধার কথা জানান মদন মিত্রকে। নিজে চলে যান ধর্মতলা চত্বরে সরকারি বাস স্ট্যান্ডে। সেখানেও হাওড়া, আমতা রুটের নিত্যযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাদের কাছে মদনবাবুর আবেদন, লকডাউনের সময় সরকার একমাত্র বাস পরিষেবা জারি রেখেছিল। যে হারে জ্বালানির দাম বেড়েছে, তাতে যাত্রী কম হলেও ক্ষতি করেই বাস চালিয়েছে সরকার। এখনও সমস্যার সমাধান করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এমনকি বিকল্প বাস হিসেবে ইলেকট্রিক বাস পরিষেবার কথাও বলেন তিনি। তবে বেসরকারি বাস পরিষেবা, তাদের ভাড়া বাড়ানো নিয়েও একাধিক অভিযোগ পান মদনবাবু। যা নিয়েও আলোচনার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।