Hastings Horses : হেস্টিংসের অসুস্থ-অভুক্ত ঘোড়াদের পাশে রাজ্য বন দফতর! দায়িত্ব নিল ১৩০টি ঘোড়ার...
- Published by:Sanjukta Sarkar
Last Updated:
Hastings Horses : ১৩০ টি ঘোড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েন মালিকরা। মাঝে অবশ্য একটি পশুপ্রেমী সংগঠন কিছু খাবার দিয়ে গিয়েছিল। ব্যস ওই টুকুই। সেই খাবার শেষ হয়েছিল তিন দিনেই।
advertisement
1/7

করোনাকালে অস্তিত্ব সঙ্কটে হেস্টিংস এলাকার ঘোড়াদের(Hastings Horses)। এমনকি বেশ কিছু ঘোড়া অসুস্থ হয়ে পড়েছে গত দু'বছরে। তাদের সুস্থ করে তুলতে, খাবারের যোগান দিতে এবার এগিয়ে এলো রাজ্য বন দফতর (West Bengal Forest Department)। খোদ বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick ) এই বিষয়ে দফতরকে উদ্যোগী হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। খাদ্য সরবরাহ ও চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব হাতে তুলে নিয়েছে রাজ্য বন দফতর। আবেদনে সাড়া পেয়ে সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ ঘোড়া মালিকরাও। প্রতীকী ছবি
advertisement
2/7
হেস্টিংস এলাকায় মূলত দুই ধরণের কাজে এই ঘোড়াদের ব্যবহার দেখা যায়। যাঁদের ঘোড়ায় টানা গাড়ি আছে, তাঁরা সেই থেকে আয় করেন। আর কারও ঘোড়া ময়দানে ছাড়া থাকে। সেই সব ঘোড়া ময়দানে ঘুরে ঘুরে আরোহীদের চাপায়। কিন্তু যে সব ঘোড়া গাড়ির জন্য থাকে, তাদের ছেড়ে রাখা হয় না। আর এখন ছেড়ে রাখতে গিয়ে, অসুস্থ হয়ে পড়েছে বেশ কয়েকটি ঘোড়া। প্রতীকী ছবি
advertisement
3/7
বহুদিন ধরে এই ঘোড়ার ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত প্রবাল মুখোপাধ্যায় জানান, "রাজ্য সরকারকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তারা এই ভাবে বিপদের সময় আমাদের সাহায্য করবেন। এই সমস্ত ঘোড়াদের আমরা কখনও ছেড়ে রাখি না। ফলে অতিমারী পরিস্থিতিতে বর্তমানে ওদের মাঝে ছেড়ে দেওয়ায় এরা অসুস্থ হয়েছে। চিকিৎসক এখন পাওয়া মুশকিল। আমরা চেষ্টা করছি।"
advertisement
4/7
তবে সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয়েছিল খাবার না পেয়ে। প্রবালবাবু জানাচ্ছেন, "খাবার জোগাড় হচ্ছে না একেবারেই। ব্যবসা বন্ধ, ফলে রোজগার নেই। বেশি টাকায় কেনা সম্ভব নয় খাবার। আমাদেরও পকেটে টান পড়েছে। রাজ্য সরকার ভাগ্যিস দায়িত্ব নিয়ে আমাদের পশুদের জন্য খাদ্য জোগাড় করে দিল।"
advertisement
5/7
হেস্টিংসে গেলেই দেখা যাবে হাড় জিরজিরে ঘোড়া বেঁধে রাখা হয়েছে। কিছু ঘোড়ার আঘাতের জায়গা নিজেরাই সারানোর চেষ্টা করছেন। লকডাউনের জেরে ময়দানে ঘাস কাটার লোক পর্যন্ত নেই। ফলে খাবার নিয়ে একটা অসুবিধা তৈরি হয়। শুধু ঘোড়ার গাড়ি নয়, একই সঙ্গে বিয়েবাড়ি বা সিনেমার শুটিং-এ ঘোড়া নেওয়া হয় এখান থেকেই। সেটাও বন্ধ। ফলে ১৩০ টি ঘোড়া নিয়ে সমস্যায় পড়েছেন তাদের মালিকরা। মাঝে অবশ্য একটি পশুপ্রেমী সংগঠন কিছু খাবার দিয়ে গিয়েছিল। ব্যস ওই টুকুই। সেই খাবার শেষ হয়েছিল তিন দিনেই।
advertisement
6/7
ফলে তাদের আবেদন ছিল রাজ্য সরকার যদি কোনও ব্যবস্থা করে দেয়। তাহলে তাদের ঘোড়াগুলিকে বাঁচানো সম্ভব হবে। সেই আবেদনে সাড়া দিয়ে খাবারের দায়িত্ব নিল রাজ্য বন দফতর। এছাড়া পশু চিকিৎসক এসে দেখে যাবে অসুস্থ ঘোড়াগুলিকেও। ভিক্টোরিয়া বা বিড়লা তারামন্ডলের সামনে প্রতিদিন অপেক্ষা করে প্রায় ৬০টি ঘোড়ার গাড়ি। এই সব ঘোড়ার অধিকাংশই থাকে হেস্টিংসে। দ্বিতীয় হুগলি সেতুর র্যাম্পের নিচে। গত কয়েকদিন ধরে খাবার না পেয়ে অসুস্থ হতে শুরু করেছে এই সব ঘোড়াগুলি। অভিযোগ, মারা গিয়েছে চারটি ঘোড়া।
advertisement
7/7
লকডাউন চলছে। ফলে ব্যবসার ঝাঁপ বন্ধ। রোজগার নেই। নেই খাবার জোগাড়ের সুযোগ। আর তাতেই চিন্তায় পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। সেই চিন্তা দুর করতেই বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "লকডাউনের সময় পশুদের দিকেও নজর দিতে হবে। কলকাতায় অন্যতম পরিচয় এই জায়গা। কত মানুষ এসে এই ঘোড়ার গাড়ি চাপেন। সেই ঘোড়াগুলি যদি এখন খেতে না পায় তাহলে খুব সমস্যা। ওদের যাতে খাবারের সমস্যা না হয় তাই আমরা এখানে খাবার পাঠাব।" কোনও সমস্যা হলেই তাঁকে জানাতে বলেছেন মন্ত্রী।