৩৫০০ 'ভুয়ো' বার্থ সার্টিফিকেট! সরকারি পোর্টালে 'কারসাজি', পাঠানখালি-ইস্যুতে তোলপাড়! পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি লালবাজারের
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
- Reported by:Amit Sarkar
Last Updated:
Fake Birth Certificate: জন্ম-মৃত্যুর শংসাপত্রের সরকারি পোর্টালের সিকিউরিটি আরও জোরদার করতে হবে, এই মর্মেই এবার রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিতে চলেছে লালবাজার। ওটিপি জেনারেট করার প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর বদল হলেই যাতে নোটিফিকেশন আসে, এমন সিস্টেম করা দরকার বলেই মনে করছে লালবাজার।
advertisement
1/9

কলকাতা: জন্ম-মৃত‍্যুর শংসাপত্রের সরকারি পোর্টালের সিকিউরিটি আরও জোরদার করতে হবে, এই মর্মেই এবার রাজ্যের পঞ্চায়েত দফতরকে চিঠি দিতে চলেছে লালবাজার। ওটিপি জেনারেট করার প্রয়োজনীয় মোবাইল নম্বর বদল হলেই যাতে নোটিফিকেশন আসে, এমন সিস্টেম করা দরকার বলেই মনে করছে লালবাজার।
advertisement
2/9
সূত্রের খবর বর্তমান ব্যবস্থায় অনায়াসেই পোর্টাল লগ-ইন করে বদলে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে সিকিউরিটি সিস্টেম, এখানেই বদল চাইছে লালবাজার। পুলিশ সূত্রে খবর, শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে একমাত্র পঞ্চায়েত প্রধান নিজের মোবাইল নম্বর দিয়ে ওটিপি জেনারেট করতে পারেন, এই সিস্টেমের অপব্যবহার হয়েছে পাঠানখালি পঞ্চায়েতে। পঞ্চায়েত প্রধানের নম্বরের বদলে নিজের নম্বর দিয়ে অনায়াসেই ওটিপি জেনারেট করেছেন গৌতম সর্দার। আর তাতেই বড়সড় কারচুপির ইঙ্গিত।
advertisement
3/9
কেন সিস্টেমের অপব্যবহার বলছে পুলিশ:পোর্টেল লগ-ইনের ইউজার ও পাসওয়ার্ড আছে, তার অ‍্যাকসেস থাকছে সিস্টেমে কর্মরত ব্যক্তির কাছে। যিনি অনায়াসেই শংসাপত্র ইস‍্যু করার সময় নিজের নম্বর দিয়ে ওটিপি জেনারেট করে নিতে পারেন। যার ফলে পঞ্চায়েত প্রধান অবগত থাকছেন না অনলাইনে তাঁর অজান্তে কত শংসাপত্র তৈরি হচ্ছে।
advertisement
4/9
গোয়েন্দাদের দাবি, ফোন নম্বর বদলে ফেললে সিস্টেম থেকে একটি নোটিফিকেশন আসা প্রয়োজন পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে। যাতে তিনি বুঝতে পারবেন তাঁর নম্বর বদলে ফেলা হয়েছে। কিন্তু এই পোর্টাল সিস্টেমে এই ধরনের কোনও ব‍্যবস্থা নেই, অর্থাৎ যখন তখন মোবাইল নম্বর বদলে ফেলা সম্ভব। আর এর ফলে কোনও নোটিফিকেশনও আসবে না।
advertisement
5/9
এই সিস্টেমের বদল চাইছে লালবাজার। আরও সিকিউরিটি কড়া করার প্রয়োজন রয়েছে বলেই বার্তা তাদের। এমন সিস্টেম করা প্রয়োজন যাতে শুধুমাত্র পঞ্চায়েত প্রধানই ওটিপি জেনারেট করতে পারবেন এবং তাঁর মোবাইলের নম্বর বদলে অন‍্য কোনও মোবাইল নম্বর দেওয়া হলে তৎক্ষণাৎ যাতে নোটিফিকেশন পান পঞ্চায়েত প্রধান, এই সিস্টেম আনা দরকার। যাতে ভুয়ো শংসাপত্র তৈরি করা বন্ধ করা যাবে। সূত্রের খবর, এমনই সিকিউরিটি সিস্টেম করে পোর্টাল আপডেট করার আবেদন করা হবে লালবাজারের তরফে।
advertisement
6/9
কী ভাবে গৌতম সর্দার সিকিউরিটি ভেঙেছেন?পুলিশ সূত্রে দাবি, গোসাবা এলাকায় তিনটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নবজাতকের জন্ম হয়। বছরে ৫০-৬০ টি শিশুর জন্ম শংসাপত্র দেওয়া হয় সরকারি হিসেব অনুযায়ী। কারণ অনলাইন পোর্টালের মাধ্যমে ইস‍্যু হলেও ওই দফতরে খাতায় শংসাপত্রের বিস্তারিত তথ‍্য লেখা থাকে।
advertisement
7/9
গোসাবা এলাকায় জন্ম নেওয়া শিশুদের জন্ম শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে ওটিপি জেনারেট করার সময় ব‍্যবহার হয়েছে পঞ্চায়েত প্রধানের মোবাইল নম্বর। যার ফলে তিনি অবগত থেকেছেন তাঁর এলাকার নবজাতকের শংসাপত্রের বিষয়ে।
advertisement
8/9
কিন্তু ভুয়ো শংসাপত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে গৌতম নিজের মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেছেন ওটিপি জেনারেট করতে। আর অনলাইনে ইস‍্যু হয়েছে ঠিকই কিন্তু ম‍্যানুয়াল বুকে তার কোনও উল্লেখ রাখা হয়নি। জন্মের এই সকল ভুয়ো শংসাপত্র বাতিল করার আবেদন জানিয়ে পাঠানখালি পঞ্চায়েত প্রধানকে ইতিমধ্যেই চিঠি কলকাতা পুলিশের।
advertisement
9/9
প্রায় সাড়ে তিন হাজার জন্মের শংসাপত্র তৈরি হয়েছে পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে। ভুয়ো এই শংসাপত্র পোর্টালে নথিভুক্ত থাকলেও ম‍্যানুয়াল বুক অর্থাৎ পঞ্চায়েত অফিসের খাতায় তার কোনও উল্লেখ নেই। যা অবিলম্বে বাতিল করা হোক, এই মর্মে চিঠি দিয়েছে কলকাত পুলিশের সিকিউরিটি কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন।