Dilip Ghosh: শুভেন্দুকে সমর্থন? ‘ভয়ের মধ্যে রয়েছে,’ দিলীপ ঘোষের তুমুল তুলোধনা নবান্ন অভিযানের ঠিক আগে

কলকাতা: ৯ অগাস্ট৷ আজ সম্পূর্ণ হল ৩৬৫ দিন৷ গত বছর, ২০২৪ এ ঠিক আজকেরই দিনে আর জি কর হাসপাতালে জরুরি বিভাগের বিল্ডিংয়ে উদ্ধার হয়েছিল নির্যাতিতার বিস্রস্ত নিষ্প্রাণ দেহ৷ ৩৬৫ দিন পরে সুবিচার চেয়ে নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছেন আরজি কর-কাণ্ডে নিহত মহিলা চিকিৎসকের বাবা-মা। তাঁদের ওই কর্মসূচিতে সমর্থন জানিয়েছেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।

নবান্ন অভিযানের আগে ভোর ৪টে থেকে রীতিমতো ঘিরে ফেলা হয়েছে নবান্নের কমপক্ষে এক কিলোমিটার ব্যাসার্ধের এলাকাকে৷ আঁটসাঁটো নিরাপত্তার বলয়ে রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন৷ এ নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলাও হয়েছে৷ কিন্তু, প্রতিবাদের অধিকারকে মান্যতা দিয়েছে আদালত৷

এ প্রসঙ্গে এদিন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল সরকার ভয়ের মধ্যে রয়েছে, এটা জন আন্দোলন হয়ে গিয়েছে।’’

বিজেপি নেতার সুস্পষ্ট মন্তব্য, ‘‘কোন দলের তরফে আন্দোলন করা হলে তা বোঝা যায় কতজন আসবে, কিন্তু সাধারণ মানুষের মনের মধ্যে কী চলছে , সেটা রাস্তায় আজকে করলে কত লোক হতে পারে, তা আন্দাজ করতে পারছে না সরকার তাই তারা ভয় রয়েছে।’’

দিলীপ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের তাই মনে হচ্ছে যে অভয়ার সুবিচার পায়নি তাই তারা রাস্তায় নামছে। শাসক দল চাইবে এটা চেপে দিতে। সাধারণ মানুষের মন আরো উদ্বেলিত হয়েছে কসবা ল কলেজ জোকার ঘটনায়, তাই তারা রাস্তায় নেমেছেন।’’

সিবিআই কে ঘিরে অভয়ার পরিবারের অভিযোগ প্রসঙ্গে দিলীপের মন্তব্য, ‘‘যখন এরকম জঘন্য ঘটনার সুবিচার পাওয়া যাবেনা তখনই এর সঙ্গে জড়িত সব পক্ষকে নিয়েই প্রশ্ন উঠবে। আদালতের কাছে গিয়ে বলা উচিত যা আপনারা নতুন করে তদন্ত শুরু করান। অনেক তথ্য আছে যা ইগনোর করা হয়েছে। যাদের দিয়ে করানো হয়েছে তাদের বাদ দিয়ে অন্যদের দিয়ে করান। কিন্তু সুবিচার হওয়া উচিত।’’ দিলীপের মন্তব্য, ‘‘কোন বড় ঘটনা হলে যার জন্য সরকার চাপে পড়তে পারে, যদি সরকারের ইমেজ খারাপ হয় তাতে সরকার ভয় দেখাবে। ডাক্তারদের বশে আনা সহজ সাসপেন্ড করা ট্রান্সফার করা যেগুলো ওরা করেছেন। সরকারের ভয় পাওয়া স্বাভাবিক যে সরকার স্বেচ্ছাচারী হয়ে যায়।’’

নবান্ন অভিযান সংক্রান্ত মামলায় উচ্চ আদালত নির্দেশে জানিয়েছে, ওই কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলাকারী যে অন্তর্বর্তিকালীন (অস্থায়ী) নিষেধাজ্ঞা চেয়েছেন আদালত তা মঞ্জুর করছে না। তার পরেই আদালত বলে, ‘‘এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, যাঁরা প্রতিবাদে যোগ দেবেন, তাঁরা যেন আইন মেনে শান্তিপূর্ণ ভাবে প্রতিবাদ করেন। পুলিশ, সরকারি কর্মী, সরকারি ভবন বা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি না করেন। ভারতীয় সংবিধানেও বলা হয়েছে যে, প্রত্যেক নাগরিকের কর্তব্য হল সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা এবং হিংসা না করা।’’