সাবধান ! শহরে আসল ব্র্যান্ডের নাম লেখা বোতলে মেশানো হচ্ছে ভেজাল মদ
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, ওই কারখানায় মূলত নকল হুইস্কি ও রাম তৈরি করা হত।
advertisement
1/5

উইকএন্ডে বন্ধুদের সঙ্গে সারারাত পার্টি। মদ্যপানের আসরে মাঝরাতে 'স্টক' ফুরোলে ভরসা পাড়ার 'ব্ল্যাকার'। প্রত্যেক পাড়াতেই নির্দিষ্ট এক বা দুজন থাকেন যারা এরকম সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। কিছু টাকা বেশি দিলেই পাওয়া যায় পছন্দের ব্র্যান্ড। তাও 'হোম ডেলিভারি'। কিন্তু তাতেই অশনি সঙ্কেত দেখতে পাচ্ছে পুলিশ। Representational Image
advertisement
2/5
আসল ব্র্যান্ডের নাম লেখা বোতলে মেশানো হচ্ছে ভেজাল মদ। যার বেশিরভাগটাই বিক্রি করা হচ্ছে ব্ল্যাকে। মঙ্গলবার তারাতলা এলাকায় সেরকমই একটি ভেজাল মদ কারখানায় খোঁজ পেয়ে হানা দেয় কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। পুলিশের কাছে আগাম খবর ছিল, তারাতলা এলাকায় একটি বস্তির ভিতর থেকে ভেজাল মদ বিক্রি করা হয়। সেই মতো এদিন কারখানায় হানা দিয়ে প্রচুর মদ ভর্তি বোতল উদ্ধার করা হয়েছে। মদের খালি বোতলও মিলেছে। পাওয়া গিয়েছে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের নকল লেবেলও। Representational Image
advertisement
3/5
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অফিসারেরা মনে করছেন, বস্তির ভিতরে ওই কারখানায় বাইরে থেকে ভেজাল মদ এনে বোতলে ভরে লেবেল সেটে ব্ল্যাকে বিক্রি করা হত। কারখানায় হানা দিলেও এদিন কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। উদ্ধার হওয়া মদ পাঠানো হয়েছে পরীক্ষাগারে। এক অফিসার বলেন, "কিভাবে মদ ভেজাল করা হচ্ছিল সেটা জানার জন্য রিপোর্টের অপেক্ষা করছি। এই চক্রে কারা জড়িত তাদের খোঁজ চলছে।" Representational Image
advertisement
4/5
এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ সূত্রে খবর, ওই কারখানায় মূলত নকল হুইস্কি ও রাম তৈরি করা হত। Imperial Blue, Royal Stag ও McDowell's এই ব্র্যান্ড গুলিরই নকল করা হতো। এই ভেজাল কারবারিরা নকল লেবেল তৈরি করে তা বোতলে সেটে দিত। তারপর চলে যেত ব্ল্যাকারদের হাতে। এই খবর পেয়ে ব্র্যান্ডগুলোর তরফে অভিযোগ করা হয় তারাতলা থানায়। এরপর তদন্তে নামে এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। এক অফিসার বলেন, "মদ তৈরির ক্ষেত্রে যা প্রয়োজনীয় তা ঠিক মাত্রায় মেশানো না হলে বিষ হয়ে উঠতে পারে। তাই এরকম ভেজাল মদের কারবার বিপদজনক।" Representational Image
advertisement
5/5
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগ্রামপুরে বিষমদ কাণ্ডের পর বেআইনি মদ কারবার বন্ধে উদ্যোগী হয়েছিল প্রশাসন। সেক্ষেত্রে বেআইনি দেশি মদের ভাটি ভেঙে দেওয়া হয়েছিল। ওই ঘটনার পর শহরে ভেজাল মদের কারবার উদ্বেগের বিষয়। তবে এদিন যে কারখানায় হানা দিয়েছে পুলিশ সেটিকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর কোথাও এরকম কারখানা রয়েছে কিনা পুলিশ তার খোঁজ চলছে। Representational Image