বর্ষায় বেহাল বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে ! নিত্যদিন বাড়ছে দুর্ঘটনা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
নিত্যদিন, যান যন্ত্রণা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে।
advertisement
1/5

বর্ষার শুরুতেই বেহাল বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দর ও দক্ষিণেশ্বরের মধ্যে রাস্তার দু'প্রান্তে থাকা লেনগুলির অবস্থা এতটাই খারাপ যে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। এমনটাই অভিযোগ স্থানীয়দের। এছাড়া সন্ধ্যা নামলেই রাস্তার দু'ধারের দোকানের সামনে বাইক, গাড়ি, লরি যে ভাবে পার্কিং করে রাখা হয়েছে তাতে আরও দুর্ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন স্থানীয়রা। Story: Abir Ghoshal
advertisement
2/5
রাস্তা মেরামতির কাজ দ্রুত শুরু করার দাবি তাদের। দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার সময়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের সংযোগকারী উড়ালপুলের আগে রাস্তার অবস্থা ভীষণ খারাপ। ছোট-বড় নানা গর্ত তৈরি হয়েছে। যার ফলে জমা জলে একদিকে যেমন বাড়ছে দুর্ঘটনা। তেমনি গতি হারাচ্ছে এক্সপ্রেসওয়ে। File Photo
advertisement
3/5
স্থানীয় বাসিন্দা সমীর বরণ সাহা জানাচ্ছেন, "রোজ কোনও না কোনও দূর্ঘটনা ঘটছে। গাড়ি খারাপ হয়ে যাচ্ছে। ফলে ব্যাপক যানজট হচ্ছে। অবস্থা এমনই যে সার্ভিস রোড দিয়ে গাড়ি চলাচলের চাপ বেড়ে যাওয়ায়, সেই রাস্তাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।" ফলে নিত্যদিন, যান যন্ত্রণা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে জুড়ে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় প্রতিদিন খারাপ হয়ে যায় একাধিক পণ্যবাহী গাড়ি। আর তার জেরে বরানগর থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত আসতে বিস্তর কাঠখড় পোড়াতে হয় সাধারণ মানুষকে। যাত্রীদের অভিযোগ, আগে রাস্তা খারাপ। তার মধ্যে দিনের অধিকাংশ সময়েই এই রাস্তা দিয়ে পণ্যবাহী লরি চলাচল করে। খারাপ রাস্তায় প্রায়শই দুর্ঘটনা ঘটছে তার জেরে অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দা ও যারা নিত্যদিন যারা যাতায়াত করেন তাদের। File Photo
advertisement
4/5
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ে। বিমানবন্দরের সাথে দক্ষিণেশ্বর যুক্ত হয়েছে এই এক্সপ্রেসওয়ের মাধ্যমে। আদতে এটি জাতীয় সড়কের অন্তর্ভুক্ত হলেও এখন রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে রাজ্যের হাইওয়ে ডিভিশন। বাংলাদেশ হোক বা শিলিগুড়ি, অসমের গাড়ি যাতায়াত করে এই এক্সপ্রেসওয়ে ধরে। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তার হাল বেহাল হওয়ায় চূড়ান্ত অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছে সকলকে। দক্ষিণেশ্বর থেকে বিমানবন্দরগামী রাস্তায় বরানগর মেট্রো স্টেশন তৈরির কাজ চলছে। যার জেরে এই রাস্তার ওপরে দিনের অধিকাংশ সময়েই বড় বড় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। ভারী যন্ত্রপাতির গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকার কারণে গাড়ির গতি শ্লথ করে যেতে হয়। একটি লেনের একদিকের অংশ আটকে থাকে। এই রাস্তার ওপরে প্রায় ২ কিমি অংশ নানা জায়গায় খানা খন্দে ভরে আছে। File Photo
advertisement
5/5
অন্যদিকে মাঠকলের কাছ থেকে বেলঘড়িয়া এক্সপ্রেসওয়ের ওপরে থাকা বিমানবন্দর সেতুর আগে পর্যন্ত রাস্তার হাল বেহাল হয়ে পড়ে আছে। ঠিক বিপরীত দিকের লেনে বরানগর স্টেশনের কাছে যে সাবওয়ে আছে সেখানেও তৈরি হয়ে আছে একাধিক খানা খন্দ। এই সাবওয়ের অবস্থা এতটাই খারাপ যে ৪০ সেকেন্ডের রাস্তা পেরোতে ১০ মিনিট লাগছে। সাবওয়ের ছাদ ফুটো হয়ে ক্রমাগত জল পড়ে যাচ্ছে। রাস্তায় একাধিক বড় বড় খন্দ তৈরি হয়ে গেছে। আর এখানেই প্রতিদিন গাড়ির যন্ত্রাংশ ভাঙছে। ফলে নিত্যদিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকছে। যথাসময়ে ক্রেন না থাকার কারণে সেই গাড়ি সরাতেও যথেষ্ট সময় লাগে। ফলে নিত্যদিন যানজটের সম্মুখীন হতে হচ্ছে সকলকে। এই অবস্থার কবে বদল হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগীরা। এক্সপ্রেসওয়ে দেখভালের দায়িত্বে আছে আপাতত পূর্ত দফতরের হাইওয়ে ডিভিশন। তাদের বক্তব্য, রাস্তার কাজ শুরু হবে শীঘ্রই। প্যাচ ওয়ার্ক করা হবে। বর্ষা চলে গেলে পুরো রাস্তার কাজ হবে। File Photo