Bangla News: আমার দুর্গা! অস্ত্রোপচার সফল করে রোগীর প্রাণ বাঁচিয়ে বিয়ের মণ্ডপে ডাক্তার কনে, চতুর্থীতেই বিরাট উৎসব ঘরে...
- Published by:Sanjukta Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Bangla News: কন্যাদানের আগেই জীবন দান! বাবা-মেয়ের যুগলবন্দিতে পুজোর মুখেই বাঁচলো প্রাণ।
advertisement
1/8

বিয়ের মণ্ডপ সজ্জা শেষ। ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই বাজবে সানাইয়ের সুর। আত্মীয় পরিজনে ভরে উঠবে বাড়ি। এমন সময় কনে উধাও। কোনও বিউটি পার্লার নয়। গন্তব্য ছিল হাসপাতাল। মেহেন্দি লাগানো হাতে উঠল ছুরি, কাঁচি, ফরসেপ। নতুন জীবনে প্রবেশের আগে হবু কনের হাতেই এই শহরের বুকে নতুন জীবন ফিরে পেলেন অর্ণব মুখোপাধ্যায়।
advertisement
2/8
মাত্র ঘণ্টা দুয়েক পরে মালাবদল। নতুন জীবনে প্রবেশ। বিয়ের মণ্ডপে যাওয়ার আগে কনের গাড়ি ছুটল অন্য রুটে। চতুর্থীর সকালে সার্জন (Sergeon) ডা. প্রিয়াঙ্কা সাহার কাণ্ডে তাক লেগে গিয়েছে শহরবাসীর।
advertisement
3/8
কাণ্ড দেখে সহকারী চিকিৎসকরা বলছেন, উমা তো শুধু মণ্ডপে নেই। মূর্তির বাইরে চারপাশেও তো ছড়িয়ে মা দুর্গা। নিত্য নতুন লড়াইয়ে জয়ী হয়ে নজির গড়ে চলেছেন সেই উমারা। এরাই আসলে দশভূজা যাঁরা দশ রকম কাজ সামলে দিচ্ছেন একাই। অলিগলি থেকে রাজপথ, এমন মেয়েদের দেখা মেলে বার বার।
advertisement
4/8
এবার দেখা গেল রানিকুঠি লায়ন্স হাসপাতালে। সেখানেই সম্প্রতি ভর্তি ছিলেন যন্ত্রশিল্পী অর্ণব মুখোপাধ্যায়। বছর চল্লিশের অর্ণবের পেটে পেল্লায় এক টিউমার। আকারে ফুটবলের মতো। চিকিৎসা পরিভাষায় যার নাম রেট্রোপেরিটোনাল সারকোমা। পেটের এই টিউমারের সমস্যা নিয়ে প্রথমে চিকিৎসক দীপঙ্কর সরকারকে দেখান অর্ণব।
advertisement
5/8
প্রকাণ্ড ওই টিউমার পেট কেটে বের করা সহজ ছিল না। দীপঙ্কর সরকার অর্ণবকে রেফার করেন ডা. মাখনলাল সাহার কাছে। এসএসকেএম হাসপাতালের অস্ত্রোপচারের বিভাগের প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান, দক্ষ শল্য চিকিৎসক মাখনলাল। তাঁর কথায়, “প্রথমটায় উনি ধরতে পারেননি। পেটটা ভার ভার থাকত। সব সময় বমি বমি ভাব। শেষ তিন-চার মাস ধরে সাংঘাতিক অবস্থা।”
advertisement
6/8
যথেষ্ট ঝুঁকিপূর্ণ ছিল এই অস্ত্রোপচার। অস্ত্রোপচারের আগে রোগীর কাউন্সেলিং হয়। রোগী রাজি হতেই শুরু হয় যাবতীয় প্রস্তুতি।
advertisement
7/8
বাবা অস্ত্রোপচারে নামছে। হোক না বিয়ের সকাল! মেয়ের আবদার ছিল, “আমিও অস্ত্রোপচারে সাহায্য করব।” ডা. মাখনলাল সাহা মেয়েকে বলেন, “তোমায় আসতে হবে না।”
advertisement
8/8
কিন্তু নাছোড়বান্দা হবু কনেকে আটকানো যায়নি। দীর্ঘ অস্ত্রোপচারের পর পেট কেটে বের করা হয়েছে ১০ কেজি ওজনের টিউমারটি। অস্ত্রোপচার শেষে দক্ষিণ কলকাতার নাকতলার কনের গাড়ি ছুটেছে বাইপাসের ধারের অভিজাত হোটেলের পথে। সেখানেই বিয়ের মণ্ডপ। কনের বাবাও কন্যাদান করেন জীবন দানের পরেই। প্রখ্যাত এই চিকিৎসক এদিন বলেন, প্রতিটি মেয়েই আসলে দশভুজা, অবলীলায় যাঁরা সামলাচ্ছেন সংসার থেকে কর্মক্ষেত্র।