চিনা মাঞ্জায় মৃত্যুর জেরে মা উড়ালপুলে ঘুড়িতে কড়া পুলিশি নজরদারি, ৫ সদস্যের দল গঠন, বসল কিয়স্ক
- Published by:Shubhagata Dey
- news18 bangla
Last Updated:
মা উড়ালপুলে মাঞ্জা সুতোয় গলা কেটে মৃত্যুর ঘটনার পর লালবাজারের নির্দেশে এই দল তৈরি করেন সাউথ ইস্ট ডিভিশনের ডিসি।
advertisement
1/6

*মা উড়ালপুলে ঘুড়ির চিনা মাঞ্জা সুতোয় দুর্ঘটনা নতুন কিছু নয়। কিন্তু সম্প্রতি চিনা মাঞ্জা সুতোয় গলা কেটে এক ব্যক্তির মৃত্যুতে অবশেষে টনক নড়ে প্রশাসনের। মা উড়ালপুলে এধরনের দুর্ঘটনা যাতে আর না হয়, সেজন্য বিশেষ দল গঠন করে ওই উড়ালপুলে মোতায়েন করল লালবাজার।
advertisement
2/6
*সূত্রের খবর, পাঁচ জন পুলিশ কর্মী নিয়ে একটি দল তৈরি করে মা উড়ালপুল এর নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় মোতায়েন করেছে লালবাজার। একজন এসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর ও চারজন কনস্টেবল এই দলে রয়েছে। একজন ইন্সপেক্টরকে এই দলের সুপারভাইজিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনিও নজরদারি দলের সঙ্গে সব সময় থাকেন। প্রয়োজনে উড়ালপুলে পায়ে হেঁটে তিনিও টহল দেন।
advertisement
3/6
*মা উড়ালপুলে মাঞ্জা সুতোয় গলা কেটে মৃত্যুর ঘটনার পর লালবাজারের নির্দেশে এই দল তৈরি করেন সাউথ ইস্ট ডিভিশনের ডিসি। ওই পাঁচ জন ছাড়াও একটি পিসিআর ভ্যান সব সময়ের জন্য টহল দেয় মা উড়ালপুলে।
advertisement
4/6
*বিশেষ এই দলটির কাজ দুপুর তিনটে থেকে সন্ধ্যা নামা পর্যন্ত উড়ালপুলে নজরদারি চালানো। মূলত যে এলাকায় সব থেকে বেশি ঘুড়ির লড়াই চলে অর্থাৎ পার্ক সার্কাস স্টেশন বরাবর মা ব্রিজের উপরের অংশ থেকে তপসিয়া পর্যন্ত পায়ে হেঁটে নজরদারি চালানো। আকাশে ঘুড়ির লড়াই চলাকালীন কোনও ঘুড়ি ভো-কাট্টা হলেই সেদিকে ছুটে যাওয়া ওই দলের কাজ। যাতে কাটা ঘুড়ির সুতো উড়ালপুলের উপর পড়ে কোনও দুর্ঘটনা না ঘটে তাও নিশ্চিত করে সেটিকে দ্রুত উড়ালপুল থেকে সরানোও কাজ এই দলের।
advertisement
5/6
*বিশেষ দল তৈরি করা ছাড়াও মা উড়ালপুলে বসানো হয়েছে পুলিশ কিয়স্ক। এই কিয়স্কের মাধ্যমেও ঘুড়িতে নজরদারি চালানো হবে। পাশাপাশি উড়ালপুলে যান নিয়ন্ত্রণ, দুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধারকাজ যাতে সম্ভব হয় সেজন্যই বসানো হল কিয়স্ক। যদিও লালবাজারের এক কর্তার দাবি, নজরদারি ছাড়াও উড়ালপুলে কর্তব্যরত পুলিশকর্মীদের জন্যই ওই কিয়স্ক বসানো হয়েছে।
advertisement
6/6
*লালবাজারের দাবি, মা উড়ালপুল সংলগ্ন এলাকায় চিনা মাঞ্জা সুতোয় ঘুড়ি ওড়ানো বন্ধ করতে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে তারা। চিনা মাঞ্জা সুতো বিক্রির অভিযোগে একাধিক অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সুতো ও ঘুড়ি। কিন্তু তারপরেও কমেনি মাঞ্জা সুতো দাপট। উড়ালপুলের দু'ধারে জাল বসানোর প্রস্তাব থাকলেও সেই প্রস্তাব এখনও দিনের আলো দেখেনি। তাই দুর্ঘটনা কমাতে এবার উড়ালপুলে পুলিশ মোতায়েন করে ভো-কাট্টা হওয়া ঘুড়িতে নজর রাখাই আপাতত একমাত্র উপায় লালবাজারের কাছে।