Aadhar Card: আধার কার্ড থাকলেই কি নাম থাকবে এসআইআর-এ? কী ভূমিকা আধারের? সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কী বলছে জানেন তো!
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Aadhar Card: এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু হলে বাড়ি বাড়ি যাবেন বুথ স্তরের আধিকারিকরা। দেওয়া হবে একটি ফর্ম।
advertisement
1/9

পশ্চিমবঙ্গে শুরু হতে চলেছে এসআইআর প্রক্রিয়া। ভারতের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ১ নভেম্বর থেকেই এ রাজ্যে এসআইআর শুরু হবে। শুধু বাংলা নয়, আরও একাধিক রাজ্যে এসআইআর শুরু হচ্ছে এসআইআর। উল্লেখ্য, ২০২৬ সালে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অসম সহ আরও ৪ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। এই আবহে শুরু হচ্ছে এসআইআর।
advertisement
2/9
সদ্যই বিহারে সম্পন্ন হয়েছে ভোটার তালিকা সংশোধন বা স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (Special Intensive Revision)। কমিশন জানিয়েছে, অনুপ্রবেশকারী ও অবৈধকারীদের ভোটার তালিকা (Voter List) থেকে বাদ দিতেই এই পদক্ষেপ। ভারতীয় নাগরিকরাই যাতে ভোট দানের অধিকার পান তার জন্যই এই সংশোধনী।
advertisement
3/9
এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু হলে বাড়ি বাড়ি যাবেন বুথ স্তরের আধিকারিকরা। দেওয়া হবে একটি ফর্ম। তা ফিলাপ করে জমা দিতে হবে প্রত্যেককে। পাশাপাশি জমা দিতে হবে সেলফ ভারতীয় নাগরিকত্বের অ্যাটেস্টেট ঘোষণাপত্রও। বিহারে ভোটার তালিকার সংশোধনের সময় ১১টি নথির তালিকা দেওয়া হয়েছিল কমিশনের তরফে। বাংলার ক্ষেত্রেও একই হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
advertisement
4/9
এ ছাড়াও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মোতাবেক পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড দেখানো যাবে। তবে তা দেখিয়ে নাগরিকত্বের দাবি করা যাবে না। কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ডের সঙ্গে এই ১১টি নথির যে কোনও একটি দিতে হবে। এই ১১টি নথির বাইরে কোনও নথি যদি নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তবে তা-ও গ্রহণ করা হবে।
advertisement
5/9
ওই ১১টি নথি কী কী? ১) কেন্দ্রীয় অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কাজ করেছেন অথবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র। ২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি। ৩) জন্ম শংসাপত্র। ৪) পাসপোর্ট। ৫) মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত শংসাপত্র। ৬) রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র। ৭) ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট। ৮) জাতিগত শংসাপত্র। ৯) কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার। ১০) স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার। ১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।
advertisement
6/9
উল্লেখ্য, সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকের পর বেশ কিছু নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে বিভিন্ন বিভাগে। এই আবহে রাজ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতরে তৎপরতা বেড়েছে বলে জানা যাচ্ছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ, অসম, তামিলনাড়ু, কেরল, পুদুচেরি এবং আরও কিছু রাজ্যে এসআইআর শুরুর বিজ্ঞপ্তি জারির পর সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে পারে নির্বাচন কমিশন।
advertisement
7/9
এই সর্বদলীয় বৈঠক রাজ্য এবং জেলা স্তরে অনুষ্ঠিত হবে। রাজ্য স্তরের সর্বদলীয় বৈঠক করবেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। এদিকে জেলাস্তরে জেলাশাসকরা এই সর্বদলীয় বৈঠক করবেন। এই বৈঠকগুলির রিপোর্ট দিল্লিতে ভারতের নির্বাচন কমিশনকে পাঠাতে হবে।
advertisement
8/9
এসআইআরের জন্য প্রত্যেকের বাড়িতে ‘এনুমারেশন ফর্ম’ পোঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসারেরা। সেই ফর্মের সঙ্গে কমিশনের বেঁধে দেওয়া ১১টি নথির মধ্যে একটি নথি দিতে হবে। বিহারের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। কমিশন সূত্রের খবর, দু’-একটি পরিবর্তন ছাড়া বিহারের মতো পশ্চিমবঙ্গেও একই ভাবে এসআইআর হবে। সেই অনুযায়ী, এই রাজ্যে ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় নাম রয়েছে, এমন ব্যক্তিদের কোনও নথিই দিতে হবে না।
advertisement
9/9
ওই তালিকায় নাম দেখাতে পারলেই এ বারের এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। এসআইআরে ১১টি নথি নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কমিশন। সুপ্রিম কোর্ট পরিচয়পত্র হিসাবে আধার কার্ড গ্রহণ করতে বলেছে। কমিশন জানিয়েছে, ওই ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি নথি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে প্রমাণ করতে পারলেই নতুন তালিকায় নাম উঠবে।