৭৮৫টি সিম কার্ড! নাম এক, কিন্তু পরিচয় আলাদা! কলকাতার দেবলীনা যা কাণ্ড ঘটাল, গোটা দেশ পুরো থ...!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
SIM Card Scam: কলকাতা পুলিশ গত এক মাসে ২,০০০-এর বেশি ভুয়ো সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে। দেবলীনার বিক্রি করা সিম কার্ড ব্যবহার করে কী কী হয়েছে জানেন?
advertisement
1/7

কলকাতা: ৭৮৫ সিম কার্ড! কখনও নাম বদল, কখনও ঠিকানা, কখনও আবার পরিচয়… বছর চব্বিশের এই যুবতী বারবার ছদ্মবেশে লুকিয়ে চলছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়ল তার আসল পরিচয়! তার নাম দেবলীনা চক্রবর্তী। অথচ, শুধু এই নামেই নয়—নানা ভুয়ো নামে একের পর এক সিম কার্ড ইস্যু করেছিল সে। কিন্তু কেন? জানলে শিউরে উঠবেন।
advertisement
2/7
কলকাতা পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক জানিয়েছেন, "আমাদের হাতে আসা তালিকা অনুযায়ী, দেবলীনা চক্রবর্তী পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় ভুয়ো সিম সরবরাহকারী। তাকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছিল। আমরা দেখতে পাই, ব্ল্যাকলিস্টেড হওয়ার আগেই তার নামে ৭৮৫টি সিম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে।
advertisement
3/7
জানা গিয়েছে, এই সিম কার্ডগুলি বিভিন্ন সাইবার অপরাধে ব্যবহৃত হয়েছে। এমনকি তার আধার কার্ডও ব্ল্যাকলিস্টেড করা হয়েছিল। কাস্টমারদের আঙুলের ছাপ কী ভাবে নিত দেবলীনা?
advertisement
4/7
কলকাতা পুলিশ গত এক মাসে ২,০০০-এর বেশি ভুয়ো সিম কার্ড বাজেয়াপ্ত করেছে। দেবলীনার বিক্রি করা সিম কার্ড ব্যবহার করে ২০০-র বেশি সাইবার অপরাধ ঘটেছে। এর মধ্যে ডিজিটাল প্রতারণা, লোন জালিয়াতি এবং হ্যাকিং অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, কিছু অপরাধ এমনকি কম্বোডিয়া, থাইল্যান্ড ও মায়ানমার থেকেও সংগঠিত হয়েছে।
advertisement
5/7
পুলিশের দাবি, দেবলীনা কাস্টমারদের বোঝাত যে তাদের ভেরিফিকেশন ব্যর্থ হয়েছে এবং পুনরায় আঙুলের ছাপ দিতে হবে। কিন্তু আসলে সে ওই আঙুলের ছাপ ব্যবহার করেই নিজের কাছে প্রি-অ্যাকটিভেটেড সিম কার্ড রাখত। এর ফলে, একাধিক সিম কার্ড তার হাতে চলে আসত এবং সে সেগুলো বিক্রি করত।
advertisement
6/7
কোন কোন ধারায় মামলা দায়ের? কলকাতা পুলিশ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৬৬C ও ৬৬D ধারায় এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৬১ (২), ৩১৯ (২), ৩১৮ (৪), ৩৩৬ (২), ৩৩৬ (৩), ৩৩৮, ৩৪০ (২) ধারায় দেবলীনা-সহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
advertisement
7/7
এই মামলায় ইতিমধ্যেই দশজনেরও বেশি ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, এই চক্রের সদস্যরা অন্যদের নথি জালিয়াতির মাধ্যমে সিম কার্ড বানিয়ে মোটা টাকায় বিক্রি করত। কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) রূপেশ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্তরা বড় বড় টেলিকম সংস্থার POS টার্মিনালগুলিকে ভুলভাবে ব্যবহার করছিল। তারা নকল সিম কার্ড সক্রিয় করত এবং সেগুলি দেশ-বিদেশের সাইবার অপরাধীদের কাছে বিক্রি করত। দেবলীনার গতিবিধির ওপর দীর্ঘদিন ধরেই নজর ছিল বিভিন্ন সংস্থার। ভারতীয় সাইবার অপরাধ সমন্বয় কেন্দ্র (I4C) তাঁর সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল।