শহরের বিভিন্ন স্থানে কিশোরীকে লাগাতার ধর্ষণ করল ফেসবুকের বন্ধু ! অভিযোগ জানানোয় ফের ধর্ষিত পুলিশের হাতে
Last Updated:
advertisement
1/8

♦ শহরের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে গত ছয়-সাত মাস ধরে চলেছে লাগাতার ধর্ষণ ৷ ফেসবুক ফ্রেন্ডের কাছে বারবার ধর্ষিত হওয়ার পর বিচার চাইতে গিয়ে অভিযোগকারিনী কিশোরী ফের ধর্ষিত হন এক পুলিশ কনস্টেবলের কাছে।
advertisement
2/8
♦ পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশের রাজধানীর ওয়ারী এলাকার বাসিন্দা ওই কিশোরীর সঙ্গে অভিযুক্ত জয় ঘোষের বছর দেড়েক আগে ফেসবুকে পরিচয় হয় । ওই সময় জয় ঘোষ বিদেশে থাকতেন। গত বছর দেশে ফিরে সে ওই তরুণীর সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন।
advertisement
3/8
♦ গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর তারা প্রথমে গুলিস্তান এলাকায় সাক্ষাৎ করে। এরপর ২৬ ডিসেম্বর কিশোরীকে কিশোরগঞ্জের ভৈরবে একটি বাড়ির পাঁচ তলায় নিয়ে যায় জয়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও করে রাখে। এরপর সন্ধ্যায় ভৈরব বাস টার্মিনালে গিয়ে মেয়েটিকে ঢাকার গাড়িতে তুলে দেয়।
advertisement
4/8
♦ কদিন পরই সেই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেবে বলে মেয়েটিকে ভয় দেখায় জয় ঘোষ। তার কাছ থেকে ভিডিওটি নেওয়ার জন্য ওই কিশোরী বারবার কাকুতি মিনতি করতে থাকেন ৷ এ বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন হোটেলে তিনি আরও অন্তত ১৫-২০ বার ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।
advertisement
5/8
♦ গত ২৫ ফেব্রুয়ারির পর থেকে অভিযুক্তের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ করে দেন নির্যাতিতা। এ অবস্থায় জয় ঘোষ কিশোরীর এক বান্ধবীকে জানান, যদি ওই তরুণী তার সঙ্গে দেখা না করে তা হলে তার বাবা-মায়ের কাছে সব বলে দেবে। সেই বান্ধবী র পরামর্শ মেনে ভিডিওটি নেওয়ার জন্য আরও একবার অভিযুক্তের সঙ্গে দেখা করেন নির্যাতিতা ৷ তরুণী গত ৩১ মার্চ সাক্ষাৎ করে জয়ের সঙ্গে।
advertisement
6/8
♦ জয় ঘোষ আবারও তাঁকে শাহবাগ এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই ভিডিও ফেরত দেয়নি। বরং এ বারও তাঁকে ধর্ষণ করার সময় ভিডিও করে রাখা হয় বলে অভিযোগ ৷ এরপর তরুণীকে গুলিস্তান এলাকায় নামিয়ে দিয়ে চলে যায় অভিযুক্ত ৷ আর এ সময়ই বাদল হোসেন নামে এক পুলিশ কনস্টেবল সিভিল পোশাকে হাজির হয় সেই তরুণীর কাছে।
advertisement
7/8
♦ পুলিশ পরিচয় জেনে মেয়েটি তাঁর সহযোগিতা চান। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে কনস্টেবল বাদল তাঁকে যাত্রাবাড়ি থানার দনিয়া এলাকার একটি বাড়ির ছয় তলার ফ্ল্যাটে নিয়ে যান। সেখানে দুই পুলিশ কনস্টেবল পরিবার নিয়ে বসবাস করে। সেখানে নিয়ে রাতের বেলা তাঁকে ধর্ষণ করে পুলিশ কনস্টেবল বাদল।
advertisement
8/8
♦ তরুণী এরপর থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেন ৷ এই ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ ৷ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, তদন্ত চলছে ৷