Gold Reserve: সোনার খনিতে নরমাংস ভক্ষণ! প্রাণ বাঁচাতে শ্রমিকদের যা যা করতে হয়েছিল জানলে শিউরে উঠবেন

সোনা চুরি করে বড়লোক হবেন। এই আশায় দক্ষিণ আফ্রিকার গভীরতম খনিতে প্রবেশ করেছিলেন কিছু বেআইনি শ্রমিক। কিন্তু হঠাৎই নেমে আসে বিপর্যয়। আটকে পড়তে হয় তাঁদের।

রাখে হরি মারে কে! সেই খনি থেকেই শুরু হয় অস্তিত্বের জন্য সংগ্রাম। দলটি প্রায় নয় মাস ধরে পরিত্যক্ত বাফেলসফন্টেইন খনিতে আটকে ছিল। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের সময়, খনি কর্তৃপক্ষ তাঁদের উপর চাপ সৃষ্টি করতে খাদ্য এবং পানীয় পৌঁছানো বন্ধ করে দেয়।

সোনা খুঁজতে গিয়ে তাঁরা শেষ পর্যন্ত এমন সমস্যায় পড়ে যায়, যাতে দলের মৃত শ্রমিকদের দেহ ভক্ষণ করা ছাড়া বেঁচে থাকার কোনও উপায় ছিল না। পরে উদ্ধার অভিযানের সময়ে তাঁদের মধ্যে ৭৮টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয় এবং ২৪৬ জন শেষ পর্যন্ত জীবিত ছিলেন।

সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে এই ঘটনা প্রসঙ্গে একজন খনি শ্রমিক জানান, মৃত শ্রমিকদের পায়ের অংশ, হাত এবং পাঁজরের অংশ কেটে খেয়েছিলেন তাঁরা। কারণ বেঁচে থাকার জন্য এটিই ছিল একমাত্র বিকল্প।" কেউ আবার খনির মধ্যে পোকামাকর খেয়েছিলেন।

রিপোর্ট অনুযায়ী, খনি থেকে বেআইনি ভাবে স্বর্ণ উত্তোলনের জন্য দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের বছরে প্রায় ২৭ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব ক্ষতি হয়। এই জন্য অবশ্য প্রতিবেশি দেশের পাচারকারিদেরও দায়ী করে দক্ষিণ আফ্রিকা সরকার।