Saddam Hussein: সাদ্দাম হুসেনের লা*শ...শেষপর্যন্ত কী করা হয়েছিল? ভয়ঙ্কর...ইরাকে ঠিক কী করেছিল আমেরিকা
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
টানা ৯ মাস পালিয়ে৷ তারপর এল ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর৷ তিরকিটের কাছে স্পাইডার হোল থেকে বিস্রস্ত অবস্থায় পাওয়ার গেল সাদ্দামকে৷ প্রত্যেক চ্যানেলে সারাক্ষণ চলল সেই ভিডিও৷ তারপর ২০০৫-০৬ ইরাকি হাই ট্রাইব্যুনালে বিচার হল সাদ্দামের৷ পেল মৃত্যুদণ্ড৷ ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৬, ফাঁসি৷ কিন্তু, কী হয়েছিল সাদ্দামের মৃতদেহের? জানেন?
advertisement
1/11

উস্কো খুশকো চুল৷ কাঁচা পাকা দাড়ি৷ অসহায় একটা চেহারা৷ জামাকাপড়ও নোংরা৷ যেখানে জন্মেছিলেন, সেই শহর তিকরিট থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে একটা ফার্মহাউস৷ আর সেখানকারই ৬ ফুট বাই ৮ ফুট গভীর গর্ত বা বাঙ্কারে (স্পাইডার হোল) বসে ছিলেন সাদ্দাম হুসেন৷ ইরাকে ৩০ বছর ধরে একনায়কতন্ত্র চালানো আদি এবং অকৃত্রিম সম্রাট৷ তাঁর হাতে আগ্নেয়াস্ত্রও ছিল৷ কিন্তু, তা-ও আমেরিকার সেনার সঙ্গে সংঘাতে যাননি তিনি৷ কেন? ভেবেছিলেন কি, ‘ধরা দিলে যদি প্রাণে বেঁচে যাই’৷
advertisement
2/11
প্রাণে যে বাঁচতে পারেনি সাদ্দাম হুসেন সে আমরা সকলেই জানি৷ কিন্তু, তিকরিটের কাছে ‘আল আওয়াজা’ নামের একটা গ্রামের সাধারণ গরিব পরিবারে জন্মে কী ভাবে তিনি পৌঁছেছিলেন ইরাকের মসনদে? আর কী ভাবেই বা আমেরিকার হাতে তার পতন হল, মধ্য প্রাচ্যের ইতিহাসে তা বহু চর্চিত গল্প৷
advertisement
3/11
ইজরায়েল-ইরান যুদ্ধে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের অভিঘাতে প্রাণ হারিয়েছেন কয়েকশো ইজরায়েলী৷ পাল্টা কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইজরায়েলও৷ সম্প্রতি, সাদ্দাম হুসেনের চরম পরিণতির কথা মনে করিয়ে দিয়ে ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইজরায়েল কাটজ বলেছেন, সাদ্দাম হুসেনের মতোই অবস্থা হবে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতোল্লা আলি খামেইনির৷ সাদ্দাম হুসেনের কী অবস্থা করেছিল আমেরিকা? কোথায় ফেলেছিল লাশ...জানেন?
advertisement
4/11
১৯ বছর বয়সে ব্রিটেন পন্থী শাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলনে উত্থান৷ পরে গোটা মধ্য প্রাচ্য জুড়ে তৈরি হওয়া ‘বাথ পার্টি’র অংশ৷ কখনও দলের জন্য জেল খেটেছেন, কখনও লুকিয়েছেন সিরিয়া কিংবা ইজিপ্টে৷ অবশেষে, অনেক চড়াই-উতরাই রক্তের স্রোত বইয়ে ১৯৭৯ সালে পাকাপাকিভাবে ইরাকের প্রেসিডেন্ট৷ আর সেখান থেকেই প্রকাশ পেল সাদ্দান হুসেনের আসল চেহারা৷
advertisement
5/11
সাদ্দামের ইরাকে বিরোধিতার কোনও জায়গা ছিল না৷ বিরোধী হলেই নয় সে গায়েব, নয় প্রাণদণ্ড আর নয় জেল৷ বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিরোধী কণ্ঠকে একেবারে মেরে চুপ করিয়ে দেওয়ার পন্থাই নিতেন সাদ্দাম৷
advertisement
6/11
কিন্তু, বিরোধী শূন্য সাদ্দামের ইরাক তৈরি করতে গিয়ে একেরপর এক জেনোসাইড (গণহত্যা) আসলে ছিল সাদ্দামের সিগনে্চার স্টাইল৷ তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভয়ানক, ১৯৮২ সালে দুজেইলে ১৫০ মানুষকে খুন এবং ১৯৮৮ সালে ‘আনফল’ ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বিরোধী ইরাকি কুর্দিশদের গণহত্যা৷ এই হত্যালীলায় প্রায় ১ লক্ষ কুর্দ মারা গিয়েছিল বলে জানা যায়৷ ইরাকি কুর্দদের শহরে বিষ রাসায়নিক অস্ত্র (কেমিক্যাল অ্যাটাক) দিয়ে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয় ৮-৮০ সক্কলকে৷
advertisement
7/11
সাদ্দামের জমানায় ১৯৯০ সালে ইরাকের কুয়েত দখলও বহু চর্চিত একটা অধ্যায়৷ যদিও ১৯৯১-তে গালফ ওয়ার চলাকালীন ইরাক ও ইরাক অধিকৃত কুয়েতে মার্কিন সেনার লাগাতার এয়ার স্ট্রাইকের পরে কুয়েত থেকে পিছু হঠতে বাধ্য হয় ইরাকের সেনা৷
advertisement
8/11
এরপরেই পুরোদস্তুর ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জড়িয়ে যায় আমেরিকা৷ ২০০৩ সালের মার্চ মাসে হয় আসল অভিযান৷ ভয়ঙ্কর মারণাস্ত্র, যাতে গণহত্যা চালানো যেতে পারে অবলীলায়, লুকিয়ে রেখেছে সাদ্দামের ইরাক৷ সেই অভিযোগে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে ঢুকে পড়ে মার্কিন সেনা৷ অভিযোগ তোলে, আসলে জঙ্গি গোষ্ঠী আল-কায়দার সঙ্গেও যোগ রয়েছে সাদ্দামের৷
advertisement
9/11
এপ্রিলে বাগদাদ পতন৷ বাগদাদের রাস্তার দখল নিল মার্কিন সেনা৷ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল ফিরদৌস স্কোয়ারের সাদ্দামের বিশাল মূর্তি৷ সাদ্দামের দুই ছেলে উদয় এবং কুয়েশিও ততক্ষণে মসুলের কাছে গুলিযুদ্ধ শেষ৷ কিন্তু তা-ও খোঁজ মিলছিল না একজনের৷ তাঁর নাম সাদ্দাম হুসেন৷
advertisement
10/11
টানা ৯ মাস পালিয়ে৷ তারপর এল ২০০৩ সালের ১৩ ডিসেম্বর৷ তিরকিটের কাছে স্পাইডার হোল থেকে বিস্রস্ত অবস্থায় পাওয়ার গেল সাদ্দামকে৷ প্রত্যেক চ্যানেলে সারাক্ষণ চলল সেই ভিডিও৷ তারপর ২০০৫-০৬ ইরাকি হাই ট্রাইব্যুনালে বিচার হল সাদ্দামের৷ পেল মৃত্যুদণ্ড৷ ৩০ ডিসেম্বর, ২০০৬, ফাঁসি৷ কিন্তু, কী হয়েছিল সাদ্দামের মৃতদেহের? জানেন?
advertisement
11/11
২০২৩ সালের ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল খাধিমি দাবি করেছেন, ফাঁসির পরে সাদ্দাম হুসেনের দেহ ফেলে রেখে দিয়ে আসা হয়েছিল নৌরি আল মালিকির বলে একজনের বাড়ির বাইরে, খোলা জায়গায়৷ তারপর তা সাদ্দামের জাত আল-আদার শেখদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বলে দাবি৷ সাদ্দামের দেহ তিকরিতের কাছেই কবর দেওয়া হয়েছিল৷ সবটাই দাবি৷ কিন্তু, আইসিস ২০১২ সালে ওই এলাকার দখল নেওয়ার পরে ফের কবর খুঁড়ে বের করা হয় সাদ্দামের দেহ৷ এখন কোথায় সেটা, তা জানে না কেউ৷ আর আমেরিকার দাবি সত্ত্বেও ইরাক থেকে উদ্ধার হয়নি মাস ডেস্ট্রাকশন করার মতো কোনও মারণ অস্ত্র৷