ইলিশ...! ভুলেই যেতে হবে এ বছর? পদ্মার 'ইলিশ' আসা বন্ধ হয়ে গেল ভারতে, বাংলাদেশ এ কী করল!
- Published by:Tias Banerjee
- news18 bangla
Last Updated:
Hilsa Fish: বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই অভয়াশ্রম ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশি জেলেদের জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
1/9

এ বছর পাতে পড়বে না ইলিশ? এ কী দুঃসংবাদ! মাছভাত প্রিয় পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির বর্ষাকাল মাতিয়ে রাখে ইলিশের স্বাদ। সেই স্বাদ থেকে কি এ বছর বঞ্চিত হতে হবে? জানলে অবাক হবেন।
advertisement
2/9
বাংলাদেশ সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী, ইলিশ সংরক্ষণে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ ধরা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। এই অভয়াশ্রম ও জাটকা রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশি জেলেদের জন্য ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
advertisement
3/9
সরকারি নির্দেশনা অনুসারে, এই সময়কালে মাছ ক্রয়-বিক্রয়, পরিবহন ও মজুত সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ থাকবে। কেউ আইন লঙ্ঘন করে মাছ ধরলে, তাকে বাংলাদেশ মৎস্য আইনে দুই বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। চাঁদপুর জেলার মতলবের ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত এলাকায় মাইকিং করে জেলেদের সতর্ক করা হয়েছে।
advertisement
4/9
সরেজমিনে চাঁদপুর সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ি, বড় স্টেশন মোলহেড, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও আখনের হাট এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ জেলে তাদের মাছ ধরার নৌকা ডাঙায় তুলে রেখেছে।
advertisement
5/9
কেউ কেউ আবার এই সময় জাল মেরামতের কাজে ব্যস্ত। চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলে মাছ ধরার কার্যক্রম থেকে বিরত থাকবেন।
advertisement
6/9
চাঁদপুর জেলার মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান জানান, জাটকা সংরক্ষণের জন্য পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স কাজ করবে। জেলেদের জন্য বরাদ্দকৃত ৪০ কেজি করে ভিজিএফ চাল চার মাস ধরে বিতরণ করা হবে।
advertisement
7/9
চাঁদপুর জেলার নৌ-পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান জানিয়েছেন, অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ-পুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন-রাত কাজ করবে। কোনও জেলে যদি আইন অমান্য করে মাছ ধরেন, তবে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যেই জেলেদের সঙ্গে আলোচনা করে সতর্ক করা হয়েছে।
advertisement
8/9
তবে, এই প্রথম নয়। বাংলাদেশ সরকার ইলিশ সংরক্ষণের লক্ষ্যে প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে মাছ ধরা নিষিদ্ধ করে। এরই ধারাবাহিকতায়, ২০২৫ সালে মার্চ ও এপ্রিল মাসে পদ্মা ও মেঘনা নদীতে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
advertisement
9/9
মূলত, ইলিশের বংশবৃদ্ধি নিশ্চিত করতে এবং জাটকা রক্ষা করতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলেদের জীবনযাত্রার কথা বিবেচনা করে সরকার তাঁদের জন্য খাদ্য সহায়তা হিসেবে ভিজিএফ চাল বরাদ্দ দিয়েছে। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় কোনও ধরনের জাল বা অন্য সরঞ্জাম ব্যবহার করে মাছ আহরণ করা যাবে না।