ট্রাম্পের শুল্ক যুদ্ধের সঙ্গে মোকাবিলা করার জন্য চিনের হাতে ‘পর্যাপ্ত পলিসি টুল’ রয়েছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ফোনালাপে সাফ জানালেন চিনা প্রিমিয়ার Li Qiang
- Published by:Siddhartha Sarkar
Last Updated:
Trump Tariff War News: মঙ্গলবার ফোন কলে এই মন্তব্যগুলি করা হয়েছে। আর মার্কিন শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা আনার জন্যই উভয় পক্ষ ফোন কলে আলোচনায় মগ্ন হয়েছিল। ওই ফোন কলে ভন ডার লেয়েনের কাছে লি বলেছেন যে, “চিনের গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপগুলি কেবল তার নিজস্ব সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষার জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার জন্যও বটে!”
advertisement
1/6

সারা বিশ্ব জুড়ে অর্থনীতিতে যেন তীব্র উথাল-পাথাল। বিশ্বের একাধিক দেশের জন্য বড়সড় সমস্যার আকার ধারণ করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ যুদ্ধ। সবথেকে বড় ক্ষতির মুখে পড়েছে চিন। আসলে চিন থেকে আসা সমস্ত পণ্যের উপর ১০৪ শতাংশ পর্যন্ত ভারী শুল্ক চাপানোর কথা ঘোষণা করে সকলকে রীতিমতো চমকে দিয়েছেন ট্রাম্প। সোমবার হোয়াইট হাউজের তরফে সীলমোহর দিয়ে জানানো হয় যে, মঙ্গলবার অর্থাৎ ৮ এপ্রিল ২০২৫ তারিখ মধ্যরাত থেকে এই ট্যারিফ বা শুল্ক কার্যকর হবে।
advertisement
2/6
এরপরেই মঙ্গলবার চিনের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেত্রী রীতিমতো লি কিয়াং হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছেন যে, আর্থিক প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য চিনের হাতে প্রয়োজনীয় টুলস রয়েছে। চিনা স্টেট নিউজ এজেন্সি শিনহুয়া থেকে জানা গিয়েছে যে, একটি ফোন কলে ইউরোপিয়ান কমিশন প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেয়েনের কাছে চিনের প্রিমিয়ার লি কিয়াং বলেন যে, “চলতি বছর চিনের ম্যাক্রোইকোনমিক পলিসিতে একাধিক অনিশ্চয়তার বিষয়গুলি সম্পূর্ণ ভাবে বিবেচনা করা হয়েছে। আর তার জন্য চিনের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণ পলিসি টুল সংরক্ষিত রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, লি আরও বলেন যে, প্রতিকূল বাহ্যিক প্রভাব থেকে সম্পূর্ণ রূপে রক্ষা পেতে পারে চিন। আর টেকসই এবং সুস্থ অর্থনীতি বজায় রাখার ব্যাপারে তারা সম্পূর্ণ ভাবে আত্মবিশ্বাসী।”
advertisement
3/6
মঙ্গলবার ফোন কলে এই মন্তব্যগুলি করা হয়েছে। আর মার্কিন শুল্কের কারণে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে বিপর্যয় নেমে আসার ক্ষেত্রে স্থিতিশীলতা এবং নিশ্চয়তা আনার জন্যই উভয় পক্ষ ফোন কলে আলোচনায় মগ্ন হয়েছিল। ওই ফোন কলে ভন ডার লেয়েনের কাছে লি বলেছেন যে, “চিনের গৃহীত দৃঢ় পদক্ষেপগুলি কেবল তার নিজস্ব সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা এবং উন্নয়ন স্বার্থ রক্ষার জন্যই নয়, বরং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিয়ম এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার রক্ষার জন্যও বটে!”
advertisement
4/6
ডিসেম্বরে ভন ডার লেয়েন নিজের দ্বিতীয় মেয়াদ শুরু করে দফতরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। আর সেই থেকে এটাই ছিল প্রথম ফোন কল। শুধু তা-ই নয়, ট্রাম্পের গ্লোবাল ট্যারিফ চালু করার পর থেকে এটাই ছিল দুপক্ষের প্রথম উচ্চস্তরের প্রথম বৈঠক। ইতিমধ্যেই অবশ্য ট্রাম্পকে কড়া জবাব দিয়েছে চিন। তবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখনও জবাব দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে। বুধবার স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের উপর মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে সম্ভাব্য পদক্ষেপ নিয়ে ভোট দেবেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্যরা। আবার রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ এবং কার ডিউটি নিয়ে জবাব আসার কথা আগামী সপ্তাহে।
advertisement
5/6
এদিকে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে যে, চিনের সঙ্গে বাণিজ্য উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে এই আলাপ-আলোচনা সারবত্তা থেকে ইঙ্গিত মিলেছে যে, আপাতত বেজিংয়ের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতি করতে চাইছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কয়েক বছর ধরে অবশ্য এই সম্পর্কের অবনতি হয়েছিল।
advertisement
6/6
এদিকে আবার এই সঙ্কটের কালে অনেক আশা নিয়ে এখন ভারতের দিকেই তাকিয়ে রয়েছে চিন। চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র ইয়ু জিং বলেছেন যে, চিন এবং ভারত উভয়ই উন্নয়নশীল দেশ। আর এই পরিস্থিতিতে আমেরিকার দ্বারা গ্রহণ করা ট্যারিফের মতো পদক্ষেপ আসলে গ্লোবাল সাউথের দেশগুলির উন্নয়নের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা বলেই মনে করা হচ্ছে। তিনি আরও বলেন যে, ভারত আর চিনের এখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া উচিত।