Bashar Al Asad: সুশাসক থেকে স্বৈরাচারী, এক দশকে কেন এত নৃশংস হয়ে উঠলেন আসাদ?
- Published by:Soumendu Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
তাঁর জীবনের শুরুটা হয়েছিল সুশাসকহিসাবে। শেষটা হল স্বৈরাচারী হিসাবে। সিরিয়ার প্রেসি়ডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর একাধিক সমস্যার সমাধান করেছিলেন আসাদ। এমনকি বাবার বেশ কিছু সিদ্ধান্তও বদলে ফেলেন তিনি।
advertisement
1/6

তাঁর জীবনের শুরুটা হয়েছিল সুশাসকহিসাবে। শেষটা হল স্বৈরাচারী হিসাবে। সিরিয়ার প্রেসি়ডেন্ট পদে আসীন হওয়ার পর একাধিক সমস্যার সমাধান করেছিলেন আসাদ। এমনকি বাবার বেশ কিছু সিদ্ধান্তও বদলে ফেলেন তিনি। এই সমস্ত বিষয় দেখেই আন্তর্জাতিক রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা বাশার আল আসাদকে 'সংস্কারবাদী' নেতার তকমা দিয়েছিলেন। যদিও এক যুগের মধ্যে তিনিই ধরা দেন কর্তৃত্ববাদী শাসক হিসাবে। জোটে স্বৈরাচারী তকমাও। প্রতীকী ছবি
advertisement
2/6
বাবা ছিলেন হাফিজ আল আসাদ। টানা ৩০ বছর সিরিয়া শাসন করেছিলেন। তাঁর কনিষ্ঠ পুত্র বাশারের অবশ্য রাজনীতির আঙিনায় আসার কোনও সম্ভাবনাই ছিল না। ১৯৯২ সালে ডাক্তারি পড়তে লন্ডন যান। মন দিয়ে ফেলেন রক সঙ্গীতে। মনে ধরে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিও। তবে বাশার আল আসাদের জীবন তখন এক মোক্ষম মোড়ের সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে। দামাস্কাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় দাদার মৃত্যুর পর তরুণ বাসারক লন্ডন থেকে ফিরে আসেন সিরিয়ায়। বাবার উত্তরসূরি হিসাবে তৈরি নিজেকে তৈরি হতে শুরু করেন। যোগ দেন সেনায়। হাফিজ আল আসাদের মৃত্যুর পর মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আসীন হন সিরিয়ার 'সিংহাসনে' । প্রতীকী ছবি
advertisement
3/6
বাশার এবং তাঁর বাবা হাফিজ আল আসাদ— পিতা-পুত্র দুজনে মিলে ৫০ বছরের বেশি সময় সিরিয়া শাসন করেছেন। ২০০০ সালে হাফিজের মৃত্যুর পর ক্ষমতায় আসেন আসাদ। বাবার হাত ধরে রাজনীতিতে এসে তাঁরই একের পর এক সিদ্ধান্ত বাতিল করেন পুত্র আসাদ। মসনদে বসেই তিনি হাঁটেন সংস্কারের পথে। প্রশাসনিক-রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সংস্কার করেন আসাদ। দীর্ঘ দিনের শাসনকালে বিভিন্ন সরকারি পদ এবং প্রতিষ্ঠানে নিজের পছন্দের লোকদের বসিয়েছিলেন তাঁর পিতা হাফিজ। ক্ষমতায় এসেই সেই সব পদে পরিবর্তন করেন তাঁর পুত্র বাশার আল আসাদ। শুধু তা-ই নয়, দেশের অর্থনৈতিক মন্দা ঠেকাতে করেছিলেন আর্থিক সংস্কারেও নানা পদক্ষেপ নেন। হাফিজের বহাল করা বেশ কিছু কঠোর নিষেধাজ্ঞাও অনেকটাই শিথিল করেছিলেন বাশার। শাসনকালের প্রথম দশক সিরিয়া দেখেছিল এক সুশাসককে। প্রতীকী ছবি
advertisement
4/6
ঠিক এর পরের দশকেই তিনিই রং বদলান। সংস্কারক থেকে হয়ে ওঠেন স্বৈরাচারী। দেশের বিরোধী শক্তি দমনে কঠোর থেকে কঠোরতম নীতি নিতে থাকেন বাশার। সরকারবিরোধী আওয়াজ তোলা মানুষদের নির্বিচারে 'হত্যা' করা হয় তাঁর শাসনকালে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় শুরু হয় গৃহযুদ্ধ যা এখনও চলছে। দেশের দক্ষিণ প্রান্তের অন্যতম শহর দারায় সে সময় প্রথম বিক্ষোভের আগুন দেখা যায়। পরে সেই আগুন ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। দমন-পীড়ন আরও তীব্রতর হয়। সে সময়ে বিরোধী সমর্থকেরা হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন। প্রথমে আত্মরক্ষার স্বার্থে, পরে নিরাপত্তাবাহিনীর হাত থেকে ক্ষমতা দখল করতে। প্রতীকী ছবি
advertisement
5/6
বাশারের দমন-পীড়ন নীতি খুব একটা কাজ দেয়নি। সিরিয়ায় বহু সশস্ত্র গোষ্ঠীর অভ্যুত্থান হয়। একের পর এক বহু এলাকা সরকারের হাত থেকে চলে যেতে থাকে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১৩ বছর ধরে চলা সিরিয়ার রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধে পাঁচ লক্ষের বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ ঘরছাড়া হন। চার পাশে শুরু হয় হাহাকার। বেকারত্ব, মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক সমস্যা— মাথাচাড়া দিতে থাকে বাশারের শাসনকালে। তবে সে সব নিয়ে তেমন ভাবেননি বাশার। পাল্টা নিজের কর্তৃত্ব আরও কায়েম করার পথ প্রশস্ত করার চেষ্টা করেন তিনি। সংগৃহীত ছবি
advertisement
6/6
গত কয়েক মাসে বাশারের সিংহাসন টলমল হতে শুরু করে। বিদ্রোহী দুই সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘হায়াত তাহরির আল-শাম’ (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর আগ্রাসনের মুখে কোণঠাসা হতে থাকে বাশারের সরকার। সিরিয়ার একের পর এক শহর বেদখল হতে থাকে। ১৯৭০ সাল থেকে সিরিয়ায় ক্ষমতায় আছে আসাদ পরিবার। ১৯৪৬ সালে হাফিজের রাজনৈতিক জীবন শুরু। ‘আরব সোশ্যালিস্ট বাথ পার্টি’র সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। ১৯৬৬ সালে এই দল যখন সিরিয়ার ক্ষমতায় আসে, তখন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হন হাফিজ়। সত্তর সালে তিনি তাঁর রাজনৈতিক গুরু সালাহ আল জাদিদকে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে সরাতে বিক্ষোভ শুরু করেন। সে বছরই বিক্ষোভের মুখে সরতে বাধ্য হন সালাহ। ক্ষমতায় বসেন হাফিজ়। বাবার পর দেশের দায়িত্ব নেন ছেলে। ভাগ্যের ফেরে সেই সরকারই পতনের মুখে। নিখোঁজ বাশার আল আসাদ।