Sunita Williams: দুর্বল পেশি, অনিদ্রা, রক্ত সঞ্চালনে পরিবর্তন, পৃথিবীতে পা রাখার পর একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগতে পারেন সুনীতা, বুচ
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
Sunita Williams might have these health issues after reaching earth: দুই মহাকাশচারীকে ফেরাতে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন। ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৫.৫৭ মিনিটে (পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী) ফ্লোরিডা উপকূলে তাঁদের ক্যাপসুলকে স্প্ল্যাশডাউন করানো হবে। স্পেসএক্সের জন্য এটা বড় সাফল্য।
advertisement
1/6

দীর্ঘ ৯ মাস পর পৃথিবীতে ফিরছেন সুনীতা উইলিয়ামস এবং বুচ উইলমোর। ৮ দিনের মিশনে আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে গিয়েছিলেন। কিন্তু মহাকাশযানে ত্রুটি ধরা পড়ে। দুই নভোচারীকে আর পৃথিবীতে ফেরানোর ঝুঁকি নেয়নি নাসা। সেই থেকে স্পেস স্টেশনেই রয়েছেন বুচ এবং সুনীতা। এবার তাঁদের ফিরিয়ে আনার পালা।
advertisement
2/6
দুই মহাকাশচারীকে ফেরাতে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পৌঁছে গিয়েছে স্পেসএক্সের ক্রু ড্রাগন। ১৮ মার্চ সন্ধ্যা ৫.৫৭ মিনিটে (পূর্বাঞ্চলীয় সময় অনুযায়ী) ফ্লোরিডা উপকূলে তাঁদের ক্যাপসুলকে স্প্ল্যাশডাউন করানো হবে। স্পেসএক্সের জন্য এটা বড় সাফল্য। আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে এটা তাদের ১১ তম মানব অভিযান।
advertisement
3/6
দিল্লির বৈশালীর ম্যাক্স হাসপাতালের অর্থোপেডিক্স ও জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট বিভাগের অ্যাসোসিয়েট ডিরেক্টর ডঃ অখিলেশ যাদব বলেন, “মহাকাশে মাধ্যাকর্ষণ শক্তি নেই বললেই চলে। মাইক্রোগ্র্যাভিটি কাজ করে। মহাকাশচারীদের স্বাস্থ্যে এর গুরুতর প্রভাব পড়ে। পেশি দুর্বল হয়ে যায়। হাড়ের ঘনত্বও কমে যায়। আসলে মাধ্যাকর্ষণ না থাকায় পেশি ও হাড়ের প্রতিরোধ গড়ে তোলার শক্তি চলে যায়। ফলে যে কোনও সময় হাড় ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। অন্যান্য সমস্যাও হয়। হৃদযন্ত্র ও শরীরের রক্ত সঞ্চালন ব্যবস্থায় পরিবর্তন দেখা যায়। ফ্লুইড শরীরের উপরের অংশে জমতে থাকে, মুখ ফুলে যায়। চোখে অতিরিক্ত আপ পড়ে। দৃষ্টিশক্তিতেও সমস্যা হয়।’’
advertisement
4/6
মাইক্রোগ্র্যাভিটির কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমে যায়। ফলে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। এমনটাই বলছেন ডঃ অখিলেশ যাদব। তাঁর কথায়, “শরীরের ভারসাম্য বজায় রাখে ভেস্টিবুলার সিস্টেম। মহাকাশে থাকার কারণে এই সিস্টেম ব্যহত হয়। এ থেকে মোশন সিকনেস হতে পারে। দিক গুলিয়ে ফেলার সম্ভাবনাও থাকে। এমনকী জিনের প্রকাশেও পরিবর্তন ঘটতে পারে। অনেকে একাকীত্ব, স্ট্রেস, উদ্বেগে ভোগেন। মানসিক সমস্যা দেখা দেয়। দিন-রাতের চক্র ব্যহত হওয়ায় ঘুমের সমস্যাও হয়।’’
advertisement
5/6
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, মানব মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যক্ষমতায় গভীর প্রভাব ফেলে মাইক্রগ্র্যাভিটি। মস্তিষ্কে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। মাথাব্যথা, দৃষ্টিশক্তির সমস্যা হয়। অভিকর্ষের অভাবে স্নায়ু দুর্বল হয়ে যায়। এছাড়া, মহাকাশচারীদের নিউরোপ্লাস্টিসিটির সমস্যাও দেখা যায়। শূন্য অভিকর্ষে মস্তিষ্ক মানিয়ে নেয়। কিন্তু পৃথিবীতে ফিরে আসার পর ফের মানিয়ে নিতে সমস্যা হয়।
advertisement
6/6
সুনীতা এবং বুচের মতো মহাকাশে আটকে পড়েছিলেন ফ্র্যাঙ্ক রুবিও। ৬ মাসের মিশন ছিল। কিন্তু থাকতে হয় ৩৭১ দিন। তিনি জানান, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে তাঁর প্রায় ৬ মাস লেগে গিয়েছিল। ‘টাইম’-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “এখন সুস্থ আছি। ৯০-৯৫ শতাংশ আগের অবস্থায় ফিরতে পেরেছি। এর জন্য প্রচুর ব্যায়াম, পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হয়েছে।’’