Sheikh Hasina: পা জড়িয়ে ধরেন বোন রেহানা, শেষ পর্যন্ত কার কথায় ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন হাসিনা? এতদিনে ফাঁস

গত বছর ৫ অগাস্ট বাংলাদেশে ছেড়ে ভারতে পালিয়ে এসেছিলেন শেখ হাসিনা৷ প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে তাঁকে কার্যত ক্ষমতা ত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য করা হয়েছিল৷ যদিও শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে রাজি করাতে পারেননি পুলিশ এবং সেনার শীর্ষ কর্তারা৷

গত বছর ৪ এবং ৫ অগাস্ট গণভবনে কী ঘটেছিল, বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে শুনানি চলাকালীন তার বিবরণ দিয়েছেন প্রধান সরকারি কৌঁসুলি মহম্মদ তাজুল ইসলাম৷

ওই বিবরণ অনুযায়ী, ৪ অগাস্ট দফায় দফায় নিজের দল আওয়ামি লিগের শীর্ষ নেতৃত্ব, মন্ত্রিসভার সদস্য এবং পুলিশ এবং বাংলাদেশের স্থল, নৌসেনা ও বায়ুসেনার প্রধানদের সঙ্গে দফায় দফায় আলোচনা করেন শেখ হাসিনা৷ সেই আলোচনা চলাকালীনও শেখ হাসিনা ক্ষমতা ধরে রাখার বিষয়ে অনড় ছিলেন৷

৪ অগাস্ট গভীর রাতেই পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে হাসিনাকে ক্ষমতা ছাড়ার পরামর্শ দেন সেনাবাহিনীর প্রধান সহ সামরিক কর্তারা এবং পুলিশের তৎকালীন আইজি৷ কিন্তু তাতে উল্টে রেগে যান বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী৷ পাল্টা তিনি বলেন, 'যা হওয়ার হবে, তিনি ক্ষমতা ছাড়বেন না৷'

পরের দিন, ৫ অগাস্ট সকালে হাসিনাকে সেনা এবং পুলিশের কর্তারা বোঝাতে থাকেন, মিছিল করে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে লক্ষ লক্ষ ছাত্র এবং জনতা৷ সেই মিছিল ঠেকিয়ে রাখা যে পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর পক্ষে সম্ভব নয়, তাও বুঝিয়ে দেওয়া হয় হাসিনাকে৷

বিক্ষোভকারীরা গণভবন পর্যন্ত এসে পৌঁছলে যে হাসিনার প্রাণ সংশয়ও হতে পারে, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীকে সেকথাও বোঝানোর চেষ্টা করেন বাংলাদেশের তিন বাহিনীর প্রধান এবং পুলিশের তৎকালীন আইজি৷ যদিও তার পরেও অনড় থাকেন হাসিনা৷

হাসিনা পুত্রকে সেনা কর্তারা বোঝান, হাতে সময় খুবই কম৷ হাসিনা যদি পালিয়ে না যান, তাহলে তাঁর প্রাণ সংশয়ও হতে পারে৷ ফলে প্রাণে বাঁচতে হলে পদত্যাগ করতেই হবে হাসিনাকে৷

সেনা কর্তাদের এই পরামর্শ শোনার পর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন হাসিনা পুত্র জয়৷ শেষ পর্যন্ত ছেলের কথাতেই ক্ষমতা ছাড়তে রাজি হন হাসিনা৷

শেষ মুহূর্তে হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে জাতীয় টেলিভিশনে একটি বক্তব্য প্রচার করার ইচ্ছেপ্রকাশ করেন৷ কিন্তু হাসিনাকে সেই সুযোগও দিতে চাননি সেনাকর্তারা৷ শুধুমাত্র ব্যাগ গোছানোর জন্য হাসিনাকে ৪৫ মিনিট সময় দেওয়া হয়৷