TRENDING:

শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে? দেখে নিন চুক্তিতে কী বলা হয়েছে

Last Updated:
Can India Refuse Bangladesh’s Request To Extradite Sheikh Hasina: সোমবার ভারত জানিয়েছে যে বিষয়টি ‘‘সম্পূর্ণরূপে আইনি এবং বিচারবিভাগীয়’’, যার জন্য দুই সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্মতি প্রয়োজন।
advertisement
1/11
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে?দেখে নিন চুক্তি
তিনি নিজে ঘটনাটিকে বিচারবিভাগীয় প্রহসন বলে অভিহিত করেছেন। আপাতত, প্রশ্ন অন্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি) মৃত্যুদণ্ড তো দিল বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এদিকে, তিনি এখন রয়েছেন ভারতের আশ্রয়ে। প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করার পটভূমিতে একটা প্রশ্ন সবার মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে- বিদ্যমান চুক্তি এবং ভারতীয় আইনের অধীনে দেশ কি আইনত এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে? (Photo: AP)
advertisement
2/11
সোমবার ভারত জানিয়েছে যে বিষয়টি ‘সম্পূর্ণরূপে আইনি এবং বিচারবিভাগীয়’, যার জন্য দুই সরকারের মধ্যে আনুষ্ঠানিক সম্পৃক্ততা প্রয়োজন।"এটি একটি বিচারবিভাগীয় এবং আইনি প্রক্রিয়া। এর জন্য দুই সরকারের সম্পৃক্ততা এবং আলোচনা প্রয়োজন। আমরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখছি এবং বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কাজ করার জন্য আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি," বলেন বিদেশ সচিব।
advertisement
3/11
২০২৪ সালের বিক্ষোভ দমনে জড়িত থাকার অভিযোগে হাসিনা এবং তাঁর প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আইসিটি দোষী সাব্যস্ত করেছে। এই রায়ের পর ঢাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে, সারা দেশে সেনাবাহিনী, পুলিশ এবং আধাসামরিক বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। (Photo: AP)
advertisement
4/11
বিশেষজ্ঞরা যা বলেন: আইন বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে প্রত্যর্পণ চুক্তিকে সাধারণত পারস্পরিক বিশ্বাস এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে সম্মান করা উচিত হলেও ভারতীয় আইন এবং দ্বিপাক্ষিক চুক্তি উভয়ই নয়াদিল্লিকে এই বিষয়ে বিচার-বিবেচনার পরিসর দেয়, বিশেষ করে যদি অনুরোধটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা অন্যায্য বলে মনে হয়। (Photo: AP)
advertisement
5/11
ভারতীয় প্রত্যর্পণ আইন কী অনুমোদন করে: ভারতের প্রত্যর্পণ আইন, ১৯৬২ অনুসারে, পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে কেন্দ্রের প্রত্যর্পণ অস্বীকার করার, মামলা স্থগিত করার বা প্রার্থিত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়ার স্পষ্ট ক্ষমতা রয়েছে ৷ উল্লিখিত আইনের ২৯ ধারায় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে ভারত কখন প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। (Photo: AP)
advertisement
6/11
ভারত সরকার প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে পারে যদি: - অনুরোধটি তুচ্ছ বলে মনে হয় অথবা সরল বিশ্বাসে করা হয়নি- অনুরোধটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত - প্রত্যর্পণ ন্যায়বিচারের স্বার্থে নয় ৷ আইনটি কেন্দ্রকে ‘যে কোনও সময়’ মামলার কার্যক্রম স্থগিত করার, পরোয়ানা বাতিল করার অথবা অভিযুক্ত ব্যক্তিকে অব্যাহতি দেওয়ার ক্ষমতা দেয়। (Photo: AP)
advertisement
7/11
ধারা ৩১: যখন প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ: একজন পলাতক ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যাবে না যদি: - অভিযোগটি রাজনৈতিক প্রকৃতির হয় অথবা অভিযুক্তরা প্রমাণ করে যে রাজনৈতিক অপরাধের জন্য তাদের বিচার/শাস্তি দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছিল। - অনুরোধকারী রাষ্ট্রের আইনের অধীনে মামলা দায়ের করা নিয়ে সীমাবদ্ধতা রয়েছে। যদিও এই চুক্তিটি সম্পর্কহীন অপরাধের জন্য মামলা থেকে সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় না। ধারা ৩১(সি) প্রত্যর্পণ নিষিদ্ধ করে যদি না চুক্তিতে নিশ্চিত করা হয় যে ব্যক্তিকে শুধুমাত্র নিম্নলিখিত কারণে বিচার করা হবে: - প্রত্যর্পণ অপরাধ - একই ঘটনা থেকে উদ্ভূত যে কোনও ছোট অপরাধ, অথবা- আরেকটি অপরাধ যার জন্য ভারত স্পষ্ট সম্মতি দেয়। (Photo: AP)
advertisement
8/11
ভারত-বাংলাদেশ প্রত্যর্পণ চুক্তি কী বলে?ধারা ৬: রাজনৈতিক অপরাধ দণ্ডরাজনৈতিক অপরাধ হলে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করা যেতে পারে। তবে, চুক্তিতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে খুন, সন্ত্রাসবাদ, বিস্ফোরণ, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ম লঙ্ঘন, অপহরণ, গুরুতর আক্রমণ এবং বহুপাক্ষিক অপরাধ-বিরোধী চুক্তির অধীনে অপরাধ সহ গুরুতর অপরাধগুলিকে রাজনৈতিক হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা যাবে না।বাংলাদেশের অনুরোধের যে কোনও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে এই ধারাটি কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করবে। (Photo: AP)
advertisement
9/11
ধারা ৭: ভারত এর পরিবর্তে মামলা করতে পারে ৷ ভারত যদি অভিযুক্ত অপরাধের জন্য ব্যক্তিকে বিচার করতে চায়, তাহলে প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করতে পারে। যদি অভ্যন্তরীণভাবে মামলা পরিচালনা না করা হয়, তাহলে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পুনর্বিবেচনা করতে হবে। (Photo: AP)
advertisement
10/11
ধারা ৮: অভিযুক্ত ব্যক্তি প্রমাণ করতে পারেন যে প্রত্যর্পণ 'অন্যায় বা নিপীড়নমূলক'প্রত্যর্পণ প্রত্যাখ্যান করতে হবে যদি:- অপরাধটি তুচ্ছ হয়- অনেক সময় কেটে যায়- অভিযোগটিতে পারস্পরিক বিশ্বাস এবং সততার অভাব রয়েছে- অপরাধটি সম্পূর্ণরূপে সামরিক প্রকৃতির- ব্যক্তিটিকে আগে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে কিন্তু তাকে শাস্তি দেওয়া হয়নিঅনুচ্ছেদ ২১: জাতিসংঘ বা আইসিজে হস্তক্ষেপের কোনও জায়গা নেই ৷ (File Photo: AP)
advertisement
11/11
চুক্তির ২১ অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে: - যে কোনো দেশ ছয় মাসের নোটিস দিয়ে চুক্তিটি বাতিল করতে পারে - জাতিসঙ্ঘ দ্বিপাক্ষিক চুক্তিতে জোরজবরদস্তি বা হস্তক্ষেপ করতে পারে না - উভয় রাষ্ট্রের সম্মতি ছাড়া আইসিজে-র হস্তক্ষেপ অসম্ভবএর অর্থ হল যে কোনও সিদ্ধান্ত, তা সে প্রত্যর্পণ হোক বা প্রত্যর্পণের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান হোক, সম্পূর্ণরূপে দ্বিপাক্ষিক। হাসিনাকে দোষী সাব্যস্ত করা এবং বাংলাদেশের প্রত্যর্পণ অনুরোধের প্রক্রিয়া শুরু করার পর ভারত এখন প্রত্যর্পণ আইন, দ্বিপাক্ষিক চুক্তির বিধান এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্য, যথাযথ প্রক্রিয়া সংক্রান্ত উদ্বেগ, অন্যায্য বিচারের সম্ভাব্য দাবির সব দিক মাথায় রেখে অনুরোধটি খতিয়ে দেখছে। পররাষ্ট্র সচিবের মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে আলোচনা এখন অব্যাহত থাকবে, যতক্ষণ না ভারত সিদ্ধান্ত নেয় যে অনুরোধটি আইনি সব শর্ত পূরণ করে না কি প্রত্যাখ্যানের যথাযথ কারণের মধ্যে পড়ে! (Photo: AP)
বাংলা খবর/ছবি/বিদেশ/
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের বাংলাদেশের অনুরোধ ভারত কি প্রত্যাখ্যান করতে পারে? দেখে নিন চুক্তিতে কী বলা হয়েছে
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল