Osman Hadi: তাঁর মৃত্যুতে জ্বলছে বাংলাদেশ! কে এই ওসমান হাদি? ভারত সম্পর্কে ছিল তীব্র বিদ্বেষ! আসল পরিচয় শুনে চমকে উঠবেন
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Osman Hadi: সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদ ওসমান হাদি। তিনি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের মুখ।
advertisement
1/8

বাংলাদেশের গণ আন্দোলনের অন্যতম নেতা ওসমান হাদির মৃত্যুতে উত্তাল সেখানকার একাধিক এলাকা। সংঘর্ষ, অগ্নিকাণ্ড ও হামলার খবর মিলছে নানা জায়গা থেকে। এরই মধ্যে খবর মিলেছে বৃহস্পতিবার রাতে খুলনায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে খুন হয়েছেন ইমদাদুল হক মিলন নামে এক সাংবাদিক। দীপু দাস নামে এক সংখ্যালঘু মানুষকেও পিটিয়ে-কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন দেবাশিস বিশ্বাস নামে এক পশু চিকিৎসক। ইমদাদুল হক মিলন বাংলাদেশের শলুয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
2/8
সিঙ্গাপুরের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান মারা গিয়েছেন বাংলাদেশের তরুণ রাজনীতিবিদ ওসমান হাদি। তিনি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের মুখ। শেখ হাসিনা পতনের অন্যতম ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক। পুরোপুরি ভারত বিরোধী। তাঁর মৃত্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনুসের আসন রীতিমত টলমল।
advertisement
3/8
উত্তাল গোটা দেশ। কিন্তু কে এই ওসমান হাদি? যাকে নিয়ে তুমুল উন্মাদনা বাংলাদেশিদের মধ্যে। আর কেনই তিনি এতটা জনপ্রিয় তাঁর স্বল্প রাজনৈতিক জীবনে? ওসমান হাদির জন্ম বরিশালে। তাঁর বাবা মাদ্রাসার শিক্ষক। তাঁরা ৬ ভাইবোন। ওসমান ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। মাদ্রাসা শিক্ষা শেষে তিনি ভর্তি হয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করেছেন। এ পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তিনি সরাসরি যুক্ত ছিলেন না।
advertisement
4/8
২০২৪ সাল, কোটা বিরোধী আন্দোলনে উত্তাল বাংলাদেশ। শেখ হাসিনার পতনের দাবিতে সরব ছাত্র-যুব। কোটা সংস্কারের দাবিতে ছাত্র আন্দোলনে আচমকাই জড়িয়ে পড়েন ওসমান হাদি।
advertisement
5/8
তারপর থেকেই বাংলাদেশের জুলাই বিপ্লবের পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন তিনি। মূলত হাসিনা বিরোধী হিসেবেই পরিচিতি পেতে শুরু করেন। তাঁর ভারত বিরোধিতা তাঁকে বাংলাদেশে রীতিমতো জনপ্রিয় করে দিয়েছিল।
advertisement
6/8
গত এক বছরে ইনকিলাব মঞ্চ একটি রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী গোষ্ঠীতে পরিণত হয়েছে। এই দল শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বিলুপ্ত করতে মরিয়া। ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার চলতি বছরের মে মাসে হাসিনার আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ক্ষেত্রে অযোগ্য বলে জানায়।
advertisement
7/8
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় হাদির সক্রিয় ভূমিকা ছিল। তিনি সেখানে উপস্থিত থেকে যাবতীয় নির্দেশ দিয়েছিলেন। তবে বাংলাদেশের পালাবদলের পরও তিনি বিরোধিতার সুর তেমন নরম করেননি। আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের রায়, রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ-সহ একাধিক বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁর বক্তব্যের ভাষা নিয়ে অনেকেই সমালোচনা করত। কিন্তু সেসব পরোয়া করেননি হাদি।
advertisement
8/8
হাদি ছিলেন একজন শিক্ষক। স্ত্রী ও সন্তানকে রেখেই তিনি প্রয়াত হন। মাত্র ৩২ বছরের জীবনে চূড়ান্ত জনপ্রিয়তা পান তিনি। ১৯৯৩ সালে জন্ম হয়। তিনি মৃত্যুর আগে নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে দাবি করেছেন আওয়ামি লিগ তাঁর দিকে সর্বদা নজর রাখছে। তিনি আরও বলেছেন, দেশি বিদেশি ৩০টি মোবাইল নম্বর থেকে তাঁকে ফোন করে আর মেসেজ পাঠিয়ে হুমকি দেওয়া হত। তিনি অজ্ঞাত পরিচয় বাইক আরোহীদের গুলিতে নিহত হন। তবে তাঁর দল বাংলাদগেশের নির্বাচনে ঢাকার ৮টি আসনে লড়াই করবে।