New Covid-19 virus: চীনে হুবহু করোনার মতো দেখতে নতুন ভাইরাসের খোঁজ! ছড়াতে পারে দ্রুত, মুহূর্তে কেড়ে নিতে পারে প্রাণ, ফের বিশ্বজুড়ে বিপর্যয়ের আশঙ্কা..

করোনা মহামারির স্মৃতি কেউ ভুলতে পারেনি। এই ভাইরাস বিশ্বজুড়ে লক্ষাধিক মানুষের প্রাণ কেড়েছে। চীন থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাস সমগ্র বিশ্বে ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছিল। আবারও করোনা সদৃশ নতুন ভাইরাসের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

চীনের একটি ল্যাবে কোভিড-১৯-এর মতো নতুন ভাইরাসের সন্ধান মিলেছে। চীনের উহান ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজির গবেষকরা এক নতুন করোনাভাইরাসের সন্ধান পেয়েছেন, যা কোভিড-১৯-এর জন্য দায়ী ভাইরাসের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ। এই ভাইরাস মানব স্বাস্থ্যের জন্য নতুন এক হুমকি হয়ে উঠতে পারে।

ব্লুমবার্গের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই নতুন ভাইরাস এখনো মানুষের শরীরে পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকদের মতে, এই ভাইরাসও কোভিড-১৯ ভাইরাসের মতো একই ধরনের রিসেপটরের মাধ্যমে মানব কোষে প্রবেশ করতে পারে।

গবেষকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস মানুষের ও অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণীদের দেহে থাকা একটি প্রোটিনের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে কোষকে সংক্রমিত করতে পারে। এটি মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (MERS) এর জন্য দায়ী করোনাভাইরাস পরিবারের সদস্য।

এই গবেষণা ‘সেল’ জার্নালে মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ভাইরাস প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে ছড়াতে পারে, যা নতুন উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।

উল্লেখ্য, MERS ভাইরাস ২০১২ সাল থেকে মে ২০২৪ পর্যন্ত প্রায় ২,৬০০ মানুষের শরীরে শনাক্ত হয়েছে এবং আক্রান্তদের মধ্যে প্রায় ৩৬% মারা গেছেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশিরভাগ MERS সংক্রমণের ঘটনা সৌদি আরবে ঘটেছে।

আমেরিকা বন্ধ করেছিল উহান ল্যাবের ফান্ডিং উহান ভাইরাস রিসার্চ সেন্টার মূলত বাদুড় থেকে ছড়ানো করোনাভাইরাস নিয়ে গবেষণার জন্য পরিচিত। একাধিক তত্ত্ব অনুসারে, কোভিড-১৯-এর উৎস এই উহান ল্যাব থেকেই হতে পারে, যেখানে কোনো সংক্রমিত কর্মচারীর মাধ্যমে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়তে পারে।

তবে উহান ইনস্টিটিউটের গবেষকরা বরাবরই এই দাবি অস্বীকার করে এসেছেন। বিতর্কের পর, ২০২৩ সালে আমেরিকা এই ল্যাবের জন্য বরাদ্দকৃত ফান্ডিং বন্ধ করে দেয়, যা ইউএস-ভিত্তিক ইকো হেলথ অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে পরিচালিত হত।

নতুন ভাইরাসের ঘোষণায় শেয়ারবাজারে প্রভাব নতুন ভাইরাসের খবর প্রকাশের পরই শেয়ারবাজারে তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়েছে। বিশেষ করে ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে গেছে।

এই নতুন ভাইরাস ভবিষ্যতে কতটা বিপজ্জনক হতে পারে, তা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে বিশ্বজুড়ে মানুষ এখন এই নতুন সংক্রমণের সম্ভাবনা নিয়ে উদ্বিগ্ন।