America vs China: ভাল চোখে দেখছে না চিন...! ‘বন্ধু’ ইরানে কেন ঢুকল আমেরিকা, ফুঁসে উঠল বেজিং..বলল
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানি কিনেছে ইরান। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, দু’টি ইরানি জাহাজ, গোলবন এবং জাইরান, চিন থেকে ১,০০০ টন সোডিয়াম পারক্লোরেট লোড করেছিল, যা এই জ্বালানির কাঁচামাল। এটি থেকে ২৬০টি ছোট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা যেতে পারে।
advertisement
1/11

‘মিডনাইট হ্যামার’৷ রবিবার আমেরিকার মিসৌরি থেকে উড়ে গিয়ে ইরান ভূখণ্ডের ভিতরে ঢুকে সে দেশের তিনটি নিউক্লিয়ার ফেসিলিটিতে হামলা চালানোর অপারেশনকে এই নামই দিয়েছেন ‘ডন’ ডোনাল্ড ট্রাম্প৷ কিন্তু, ট্রাম্পের এই পদক্ষেপ কূটনৈতিক ভাবে ঠিক কতটা উপযুক্ত? এর জেরে কি চিন-রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার পশ্চিম বিরোধী শক্তিকে আরও এককাট্টা করে ফেললেন ট্রাম্প? ইজরায়েল-ইরানের ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা যুদ্ধে নিজেকে জড়িয়ে লাভের খাতায় রইল আমেরিকা, নাকি খরচের?
advertisement
2/11
রবিবার ইরানের তিন নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি কমপ্লেক্স ফর্দো, নাতানজ এবং ইসফাহানে B-2 স্টেলথ এয়ারক্রাফ্টের সাহায্যে ৬টিরও বেশি বাঙ্কার বাস্টার বোমা এবং টোমাহক মিসাইল অ্যাটাক করেছে আমেরিকা৷
advertisement
3/11
কিন্তু, তাতে নাকি তেমন কোনও ক্ষতি হয়নি ইরানের অস্ত্রভাণ্ডারের৷ কারণ, হামলার আন্দাজ করে আগে থেকেই নিজেদের পরমাণু কেন্দ্র থেকে সবকিছু সরিয়ে নিয়েছিল ইরান৷ এবার প্রশ্ন, ইরানে ঢুকে এই ভাবে হামলা চালানোকে ঠিক কী চোখে দেখছে তাঁদের অতি ‘বন্ধু’ রাষ্ট্র চিন?
advertisement
4/11
ইরানে আমেরিকার হামলা চালানোর প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে ডাকা রাষ্ট্রপুঞ্জের কাউন্সিলের বৈঠকে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে চিন৷ রাষ্ট্রপুঞ্জে চিনের স্থায়ী প্রতিনিধি ফু কঙ বলেছেন, ‘‘ইরানের সমস্ত নিউক্লিয়ার ফেসিলিটি IAEA-এর নজরাধীন৷ সেখানে এই ভাবে আমেরিকার হামলা চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে চিন৷’’ এখানেই শেষ নয়...
advertisement
5/11
আমেরিকার হামলাকে রাষ্ট্রপুঞ্জের নীতি এবং আন্তর্জাতিক আইন বিরোধী হিসাবেও মন্তব্য করেছেন চিনের প্রতিনিধি৷ ফু-এর দাবি, আমেরিকার এই হামলা আদতে ইরানের সার্বভৌমত্বের উপরে আঘাত৷ এই ঘটনা মধ্য প্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিরতা আরও বহুগুণে বাড়িয়ে দেবে বলে রাষ্ট্রপুঞ্জের বৈঠকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে চিন৷ এমনকি, আমেরিকার এই কাজ পরমাণু শক্তিধর দেশগুলির মধ্যে পারস্পরিক শান্তি ও স্থিরতাকে নষ্ট করবে বলেও জানিয়েছে চিন৷
advertisement
6/11
ডোনাল্ড ট্রাম্পের এই কাজে ওয়াশিংটন তার বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে বলে জানিয়েছে চিন৷ এমনকি, ১৯৭৯ এর পরে ইরানের পরমাণুকেন্দ্র এত বড় কোনও হামলা হয়নি বলেও মনে করিয়ে দিয়েছে বেজিং৷
advertisement
7/11
ইরাক-ইরান যুদ্ধের সময় শুরু৷ চিন ও ইরানের মধ্যে সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা নতুন নয়। ১৯৮০-এর দশকে ইরান-ইরাক যুদ্ধের সময় চিন ইরানকে অস্ত্র সরবরাহ শুরু করে। সেই সময়, চিন এবং উত্তর কোরিয়ার মতো দেশগুলি পশ্চিমি দেশগুলির সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ইরানের প্রধান অস্ত্র সরবরাহকারী হয়ে ওঠে। তারপর থেকে, প্রতিরক্ষা, তেল এবং প্রযুক্তি খাতে দুই দেশের মধ্যে ‘বন্ধুত্ব’ ক্রমেই বেড়েছে।
advertisement
8/11
১৯৮০-এর দশকে যখন ইরান ও ইরাকের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়, তখন পশ্চিমি দেশ ইরানের উপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। সেই সময় ইরানকে অস্ত্রের জোগান দিয়েছিল চিন? সেই সময় চিন ইরানকে HY-2 (সিল্কওয়ার্ম) অ্যান্টি-শিপ মিসাইল সরবরাহ করে। আমেরিকা যখন প্রমাণ দিয়ে চিনকে কোণঠাসা করে, তখন চিন বলে, 'এই ক্ষেপণাস্ত্রগুলি উত্তর কোরিয়া সরবরাহ করেছে!' কিন্তু গোয়েন্দা সূত্র নিশ্চিত করে যে, কিছু ক্ষেপণাস্ত্র সরাসরি চিন থেকে ইরানে গিয়েছিল।
advertisement
9/11
এরপর ১৯৯০-এর দশকে, চিন ইরানকে C-801 এবং C-802 ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রি করে৷ যা ইরানি নৌবাহিনীর জন্য গেম-চেঞ্জার। শুধু তাই নয়, চিন ইরানকে তার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচিতে সাহায্য করেছে বলেও খবর।
advertisement
10/11
চিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানি অর্ডার করেছে ইরান৷ গত সপ্তাহেই খবর আসে যে, ইরান চিন থেকে হাজার হাজার টন ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানি অর্ডার করেছে। এই জ্বালানি দিয়ে হাজার হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা যেতে পারে।
advertisement
11/11
এক বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার চিন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র জ্বালানি কিনেছে ইরান। চলতি বছরের জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে, দু’টি ইরানি জাহাজ, গোলবন এবং জাইরান, চিন থেকে ১,০০০ টন সোডিয়াম পারক্লোরেট লোড করেছিল, যা এই জ্বালানির কাঁচামাল। এটি থেকে ২৬০টি ছোট ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করা যেতে পারে।