Marriage Chaos: ৪৩ বছরে ১২ বার ডিভোর্স, প্রতিবার সরকারের মোটা আর্থিক সাহায্য! দম্পতির কাণ্ড চমকে দেবে
- Published by:Sounak Chakraborty
- news18 bangla
Last Updated:
Marriage Chaos: এই কাহিনিটি প্রায় অবিশ্বাস্য বলেই মনে হবে। অস্ট্রিয়া, ভিয়েনার এক বৃদ্ধ দম্পতি জানিয়েছেন যে, তারা গত ৪৩ বছরে একে অপরকে ১২ বার বিয়ে ও ডিভোর্স করেছেন। যা প্রথমে মনে হয়েছিল একটি দীর্ঘস্থায়ী প্রেমের রোমান্টিক কাহিনি, তা আসলে ছিল একটি আইনি ফাঁকফোকর থেকে সুবিধা নেওয়ার ঘটনা, যা অনেককেই অবাক করে দিয়েছে।
advertisement
1/7

আজকের দিনে ডিভোর্স এবং পুনর্বিবাহ তেমন অস্বাভাবিক নয়, তবে এই দম্পতির বারবার বিয়ে ও ডিভোর্সের অদ্ভুত পরিস্থিতি ব্যাপক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এই বৃদ্ধ দম্পতি ভিয়েনায় বসবাস করছিলেন এবং তারা প্রতি দুই থেকে তিন বছরে একে অপরকে বিয়ে করে আবার ডিভোর্স দিতেন।
advertisement
2/7
প্রথম দর্শনে তাদের সম্পর্ক আদর্শ মনে হয়েছিল—কোনও অপ্রত্যাশিত বিরোধ বা বিচ্ছেদ ছিল না, এবং তারা ৪০ বছরেরও বেশি সময় ধরে একই বাড়িতে একসাথে বসবাস করছিলেন, এমনকি প্রতিবেশীরা তাদের হ্যাপি কাপল হিসেবে দেখত।
advertisement
3/7
তাহলে কেন তারা এত বার বিয়ে এবং ডিভোর্স করলেন? এই অদ্ভুত আচরণের পেছনের সত্যটি একটি প্রেমের কাহিনি নয়। এই দম্পতি একটি অস্ট্রিয়ান সরকারী আইনি ফাঁকফোকর ব্যবহার করছিলেন যা বিধবাদের সহায়তা প্রদান করার জন্য বানানো হয়েছিল।
advertisement
4/7
অস্ট্রিয়ান আইনের অনুযায়ী, একা বাস করা একজন বিধবা ২৮,৩০০ ডলার (প্রায় ২৪ লাখ টাকা) সরকারের সহায়তা পাওয়ার অধিকারী। তবে বিষয়টি এমন যে, এই সহায়তা তখনই প্রদান করা হয় যখন একজন মহিলা তার স্বামীকে আইনি ভাবে ডিভোর্স দেন৷ এটাই কাজে লাগান এই দম্পতি৷ তারা বারবার একে অপরকে বিয়ে ও ডিভোর্স করে এই অর্থ পেতে সক্ষম হয়।
advertisement
5/7
এই বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে যখন মহিলাটি মে ২০২২ সালে তার ১২তম ডিভোর্সের পর পেনশন ইনস্যুরেন্স ইনস্টিটিউটে গিয়েছিলেন। তদন্তের সময়, এটি প্রকাশ পায় যে, এই ডিভোর্সগুলো ছিল একটি পরিকল্পিত পদ্ধতি, যার মাধ্যমে তারা বারবার বিধবা ভাতা পেতেন।
advertisement
6/7
এই বিষয়টি সামনে আসার পর, তাদের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনা হয়। তাদের ১২তম ডিভোর্স এখনও মুলতবি রয়েছে, এবং এখন তারা তাদের কাজের জন্য অভিযুক্ত হচ্ছেন।
advertisement
7/7
এই ঘটনা প্রশ্ন তুলেছে যে, এমন আইনি সিস্টেমের অপব্যবহার কেমন হতে পারে, যা আসলে অসহায় মানুষের সহায়তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল৷ কর্তৃপক্ষ এখন নজর রাখছে যদি অন্য কোনও দম্পতি একইভাবে এই সিস্টেমকে যাতে ব্যবহার না করে থাকে।