যান্ত্রিক ত্রুটি বা খারাপ আবহাওয়া নয়, মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয়েছিল যে যাত্রীবাহী বিমানগুলি,দেখে নিন
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
advertisement
1/10

শুধুমাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটির জন্যই নয় ৷ বিমান দুর্ঘটনার পিছনে আরও অনেক কারণ থাকে ৷ যার মধ্যে মিসাইল ছুঁড়ে বিমান ধ্বংস করার ঘটনাও রয়েছে ৷ ১৯৩০ সালে চিনের Kweilin-এ সিনো-জাপান যুদ্ধ চলাকালীন এমন ঘটনার সাক্ষী প্রথমবার থাকে বিশ্ব ৷ যেখানে চিনের ন্যাশনাল এভিয়েশন কর্পোরেশন এবং প্যান আমেরিকার যৌথ মালিকানার একটি DC-2 যাত্রীবাহী বিমানকে ধ্বংস করে জাপান ৷ ওই ঘটনায় ১৫জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ৷ জলের মধ্যে এমার্জেন্সি ল্যান্ড করেও রক্ষা পায়নি বিমানটি ৷
advertisement
2/10
ফিনল্যান্ডের সংস্থা Aero O/Y দ্বারা পরিচালিত Kaleva OH-ALL যাত্রীবাহী বিমানটিকে দুটি সোভিয়েত Ilyushin DB-3 বোমারু বিমান ১৯৪০ সালের ১৪ জুন গুলি করে নামায় ৷ বিমানটি এস্তোনিয়ার তালিন থেকে ফিনল্যান্ডের রাজধানী হেলসিঙ্কির উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল ৷
advertisement
3/10
এরপর ১৯৪০ সালের ২৯ অক্টোবর ঠিক একইভাবে আরও একটি DC-2 বিমানকে গুলি করে নামায় জাপানি সেনারা ৷ যা Chungking ঘটনা হিসেবে পরিচিত ৷
advertisement
4/10
১৯৫৪ সালের ২৩ জুলাই Cathay Pacific Airlines-এর VR-HEU, একটি Douglas DC-4 বিমান ব্যাংকক থেকে হং কংয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছিল ৷ সেইসময় চিনের হাইনান প্রদেশে People's Liberation Army Air Force Lavochkin La-11-এর ফাইটার বিমান ক্যাথে প্যাসিফিকের বিমানটিকে গুলি করে নামায় ৷ মৃত্যু হয় ১০ জনের ৷
advertisement
5/10
১৯৬২ সালের ৩০ জুন মস্কোর খাবারোভস্ক থেকে যাত্রা শুরু করেছিল Aeroflot-৯০২ বিমানটি ৷ Krasnoyarsk বিমানবন্দর থেকে মাত্র ২৮ কিমি দূরেই বিমানের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায় ৷ অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট মিসাইলের ধাক্কাতেই এমন ঘটনা ঘটেছিল বলে পরে জানা যায় ৷ তবে ঘটনাটি অনিচ্ছাকৃত ৷ সেসময় অ্যান্টি এয়ারক্রাফ্ট মিসাইল ছোঁড়ার মহড়া চলছিল ওই অঞ্চলে ৷ দুর্ভাগ্যবশত মিসাইলের আঘাতে ভেঙে পড়ে এরোফ্লটের যাত্রীবাহী বিমানটি ৷
advertisement
6/10
১৯৭৩ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি লিবিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান খারাপ আবহাওয়া ও যান্ত্রিক ত্রুটির জন্য মিশরের উপর দিয়ে ওড়ার সময় বাধ্য হয়েই ইজরায়েলের অন্তর্গত সিনাই উপদ্বীপে ঢুকে পড়ে ৷ সেসময় দুটি ইজরায়েলি এফ-৪ ফ্যান্টম-২ ফাইটার বিমান লিবিয়ান বিমানটিকে বোমা ছুঁড়ে মাটিতে নামায় ৷ ঘটনায় ১১৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয় ৷ বিমানের কো-পাইলটের পাশাপাশি প্রাণে বেঁচে যান মোট ৫ জন যাত্রী ৷
advertisement
7/10
১৯৭৮ সালের ২০ এপ্রিল কোরিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং-৭০৭ বিমানকে গুলি করে নামায় সোভিয়েত সুখোই সু-১৫ ফাইটার বিমান ৷ রাশিয়ার মুরমানস্কের ওই ঘটনায় বিমানের দুই যাত্রীর মৃত্যু হয় ৷
advertisement
8/10
কারিবা থেকে সালিসবারির উদ্দেশ্যে যাত্রা করা জিম্বাবোয়ের এয়ার রোডেশিয়ার একটি বিমানকে ১৯৭৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর জিম্বাবোয়ের ZIPRA জঙ্গিরা মিসাইল ছুঁড়ে ধ্বংস করে ৷ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ৫৬জন যাত্রীর ৷ আর যে ১০ জন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন, তাদেরকে দুর্ঘটনাস্থলে পরে গুলি করে হত্যা করে জঙ্গিরা ৷
advertisement
9/10
১৯৮৮ সালের ৩ জুলাই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ভিনসেন্স থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে ধ্বংস করা হয় একটি ইরানী যাত্রীবাহী বিমান। নিহত হয় ইরান এয়ারের ওই বিমানের ৬৬টি শিশু-সহ ২৯০ জন যাত্রীর ৷ বন্দর আব্বাস থেকে দুবাইগামী ওই বিমানটি পারস্য উপসাগরের উপরে উড়ছিল। কিন্তু মার্কিন যুদ্ধজাহাজটি ভুল করে ওই যাত্রীবাহী বিমানটিকে শত্রু বিমান বলে চিহ্নিত করে এবং সেটির দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে।
advertisement
10/10
২০১৪ সালের ১৭ জুলাই মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি বোয়িং ৭৭৭-২০০ ইআর বিমান অ্যামস্টারডাম থেকে কুয়ালালামপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার সময় একটি মিসাইলের আঘাতে ধ্বংস হয় ৷ মৃত্যু হয় বিমানের ২৮৩ জন যাত্রী এবং ১৫ জন ক্রু মেম্বারের ৷ বিমানে ছিল ৮০জন শিশুও ৷ ইউক্রেনের ডনেৎস্কে রাশিয়ার মদতপুষ্ট জঙ্গি গোষ্ঠীর আক্রমণেই ধ্বংস হয় ওই যাত্রীবাহী বিমান ৷