Israel Yemen War: ফের ইজরায়েলে পাল্টা ভয়াবহ হামলা! এই একটি দেশই লাগাতার হামলা চালাচ্ছে ইজরায়েলে! কোন দেশ জানেন? শুনে চমকে উঠবেন

ইজরায়েলে আবারও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনি বাহিনী। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমগুলি বুধবার এই তথ্য জানিয়েছে। সংবাদামাধ্যম আল-মায়াদিন ইজরায়েলের স্থানীয় গণমাধ্যমকে উদ্ধৃত করে জানায়, বুধবার বিকেলে ইয়েমেনি ভূমি থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয় ইজরায়েলের দিকে। তবে এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়নি।

এর আগে ইয়েমেনি সশস্ত্র বাহিনী মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইজরায়েলি লক্ষ্যবস্তুতে দুটি সামরিক অভিযান চালানোর কথা জানায়। এই হামলায় অধিকৃত জাফায় একটি সংবেদনশীল স্থাপনা ও দক্ষিণ অধিকৃত প্যালেস্তানের উম্ম আল-রাশরাশ (আইলাত) এলাকার রামন বিমানবন্দরে আঘাত হানা হয়।

ইয়েমেনের হোদাইদা বন্দরে ভয়াবহ বিমান হামলার জবাবে পরপর ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে মিসাইল ছুড়েছে ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীরা। মঙ্গলবার ইয়েমেনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বন্দর হোদেইদাতে হামলা চালায় ইজরায়েল। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে হোদাইদা থেকে সবাইকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ইজরায়েল। এরপর বিমান থেকে অন্তত ১২টি মিসাইল ও বোমা ছোড়ে তারা।

হোদেইদা বন্দরে হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে ইজরায়েলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, “হুথি বিদ্রোহীরা হোদেইদা বন্দরকে ইরানি অস্ত্র পরিবহণের কাজে ব্যবহার করে। এসব অস্ত্র ইজরায়েলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা হয়।”

হোদাইদা বন্দর সম্পূর্ণ বেসামরিক একটি পরিকাঠামো। ইয়েমেনের অর্থনীতির বড় অংশ এই বন্দরের ওপর নির্ভরশীল। দেশটির হুথি বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, সাধারণ মানুষের দুর্দশা বাড়াতে ইজরায়েল ইচ্ছাকৃতভাবে হোদেইদা বন্দরে হামলা চালায়।

ইজরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজরায়েল কাৎজ হুমকি দিয়েছেন ইয়েমেন লক্ষ্য করে তাদের হামলা অব্যাহত থাকবে। হুথি বিদ্রোহীদের ওপর নৌ ও আকাশ অবরোধ অব্যাহত রাখতে এই হামলা চালানো হয়েছে। হুথিরা আরও এ ধরনের হামলার মুখোমুখি হবে এবং ইজরায়েলের ওপর হামলার চেষ্টার জন্য চড়া মূল্য দেবে।

২০২৩ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইজরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে প্যালেস্তিনীয়দের প্রতি সংহতি জানাতে ইজরায়েলকে লক্ষ্য করে অসংখ্যবার ড্রোন ও মিসাইল ছুড়েছে হুথি বিদ্রোহীরা। এছাড়া লোহিত সাগরে ইজরায়েলি জাহাজ চলাচলেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তারা।

ইজরায়েল এর আগের দুই সপ্তাহে ইয়েমেনে বড় হামলা চালিয়েছিল। এতে বিদ্রোহী সরকারের প্রধানমন্ত্রীসহ ১২ মন্ত্রী নিহত হন। অপরদিকে গত সপ্তাহের হামলায় অন্তত ৩১ জন প্রাণ হারান। তারপর থেকেই ইজরায়েলের দিকে লাগাতার আক্রমণ চালাচ্ছে ইয়েমেন।