Israel News: সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখা যায় না, ইজরায়েলের মাটির নীচে ভয়াবহ কারাগার! ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা বন্দিদের
- Published by:Suman Biswas
- news18 bangla
Last Updated:
Israel News: ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইজরায়েলের চরম ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এটি পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন।
advertisement
1/7

ইজরায়েলের মাটির নীচে গোপন এক কারাগারে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনিকে বছরের পর বছর আটকে রাখার ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। এদের মধ্যে অন্তত দুজন সাধারণ নাগরিক, যাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ বা বিচার ছাড়াই বন্দী করে রাখা হয়েছিল।
advertisement
2/7
ওই দুজনের একজন হাসপাতালের নার্স এবং অন্যজন খাবার বিক্রেতা। তারা জানিয়েছেন, বন্দী অবস্থায় নিয়মিত মারধর, অমানবিক আচরণ, এমনকি সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখতে না পাওয়ার মতো নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
advertisement
3/7
আইনি সহায়তা প্রদানকারী ইজরায়েলি সংগঠন ‘পাবলিক কমিটি এগেইনস্ট টর্চার ইন ইসরায়েল’ (পিসিএটিআই) জানিয়েছে, এই দুজন বন্দীকে গত জানুয়ারিতে ভূগর্ভস্থ রাকেফেত কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮০-এর দশকে ‘সবচেয়ে বিপজ্জনক অপরাধীদের জন্য’ নির্মিত এই কারাগারটি অমানবিক পরিবেশের অভিযোগে কিছু বছরের মধ্যেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল।
advertisement
4/7
কিন্তু ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইজরায়েলের চরম ডানপন্থী নিরাপত্তামন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এটি পুনরায় চালুর নির্দেশ দেন।
advertisement
5/7
কারাগারের সব অংশই মাটির নীচে—কারাকক্ষ, ব্যায়ামের স্থান ও আইনজীবীদের সাক্ষাতের ঘর পর্যন্ত। ফলে সেখানে থাকা বন্দীদের সূর্যের আলো দেখা বা খোলা বাতাসে শ্বাস নেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। পিসিএটিআইয়ের তথ্য অনুযায়ী, শুরুতে অল্প কয়েকজন বন্দীর জন্য তৈরি রাকেফেতে এখন প্রায় ১০০ জন ফিলিস্তিনি বন্দী রয়েছেন।
advertisement
6/7
মানবাধিকার সংগঠনটি বলেছে, এই বন্দীদের বেশিরভাগই সাধারণ নাগরিক, যাদের গাজা থেকে আটক করা হয়েছিল, তাদের অনেকের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ আনা হয়নি, তবুও মাসের পর মাস মাটির নিচে বন্দী রাখা হয়। গত অক্টোবরে গাজা যুদ্ধবিরতির পর ১ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি মুক্তি পান, যার মধ্যে খাবার বিক্রেতা ওই তরুণও ছিলেন। তবে নার্সটি এখনো রাকেফেতে বন্দী আছেন।
advertisement
7/7
রাকেফেতের নির্যাতনের ভয়াবহতা সম্পর্কে পিসিএটিআইয়ের নির্বাহী পরিচালক তাল স্টেইনার বলেন, ‘এই কারাগারে বন্দীদের সূর্যের আলো পর্যন্ত দেখতে দেওয়া হয় না। এমন অমানবিক পরিবেশে দীর্ঘ সময় থাকা মানসিক ও শারীরিকভাবে ধ্বংসাত্মক।’ তিনি আরও বলেন, বন্দীদের উপর মানসিক নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবে প্রহার, না খাইয়ে রাখা, মুখোশ পরা কুকুর দিয়ে ভয় দেখানো এবং চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করার মতো আচরণ করা হয়।