Iran Vs America: টার্গেট লক করে ফেলল ইরান! নিউইয়র্ক, ওয়াশিংটনে...ভয়ে কাঁপছে মার্কিন মুলুক! ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের খেসারত দেবে গোটা আমেরিকা? কী হল জানেন এবার!

ইরানে হামলা চালিয়ে এবার নিজের দেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাল্টা ইরানের হামলার ভয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রধান শহরগুলিতে, যার মধ্যে নিউ ইয়র্ক এবং ওয়াশিংটনও অন্তর্ভুক্ত, উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কারণ যুক্তরাষ্ট্র তিনটি ইরানিয়ান পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে, যা মধ্যপ্রাচ্যের উত্তেজনায় একটি তীব্র মোড় নিয়েছে।

নিউ ইয়র্ক পুলিশ বিভাগ জানিয়েছে, তারা ইরানে ঘটতে থাকা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, "অতিরিক্ত সতর্কতার কারণে, আমরা নিউইয়র্কের ধর্মীয়, সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক স্থাপনাগুলিতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা মোতায়েন করছি এবং আমাদের ফেডারেল অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয় করছি।"

মেট্রোপলিটন পুলিশ বিভাগও একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলেছে, তারা "স্থানীয়, রাজ্য এবং ফেডারেল আইন প্রয়োগকারী অংশীদারদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সমন্বয় করছে তথ্য শেয়ার করতে এবং গোয়েন্দা নজরদারি করতে যাতে, ওয়াশিংটনের বাসিন্দা, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানগুলির সুরক্ষা নিশ্চিত করা যায়।"

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা করেছেন, আমেরিকান সামরিক বাহিনী ইরানের ফোর্দো, ইসফাহান এবং নাতাঞ্জে পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে সফল আক্রমণ চালিয়েছে, যা ইজরায়েল এবং বিশ্বের জন্য একটি "ঐতিহাসিক" মুহূর্ত বলেও অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। তিনি ইরানকে সতর্ক করেছেন, যে কোনও প্রতিক্রিয়া অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিরোধের সম্মুখীন হবে।

এদিকে, ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমে আমেরিকার উদ্দেশে বার্তা দেওয়া হয়েছে, ‘এর শেষ দেখে ছাড়ব। পশ্চিম এশিয়ায় থাকা প্রতিটি আমেরিকান নাগরিক ও সেনা এ বার থাকবে আমাদের নিশানায়।’

ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যমের সম্প্রচারক আমেরিকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ইরানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী অপরাধ। পশ্চিম এশিয়ায় এর কোনও স্থান নেই। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই খেলাটা শুরু করেছে এবং আমরা এটি শেষ করব।’

আমেরিকার হামলার পরই ইরানের নেতা হোসেইন শারিয়াতমাদরি তাৎক্ষণিক প্রতিশোধ নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, "এখন আমাদের বিলম্ব না করে পদক্ষেপ নেওয়ার পালা। প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে, আমাদের বাহরাইনে মার্কিন নৌবহরের উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে হবে এবং একইসঙ্গে আমেরিকান, ব্রিটিশ, জার্মান এবং ফরাসি জাহাজের জন্য হরমুজ প্রণালী বন্ধ করে দিতে হবে।’ ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হয়ে উঠল আমেরিকার ইরান আক্রমণের পর।