Earthquake News: সর্বনাশ! হতে চলেছে ৯ মাত্রার মেগা-ভূমিকম্প, হবে ভয়ঙ্কর সুনামিও! মৃত্যু হবে অন্তত ৩ লাখ মানুষের! ধুয়েমুছে যাবে 'সূর্যোদয়ের দেশ'?

মায়ানমারের ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের মধ্যেই এবার ভয়ঙ্কর খবর প্রকাশ্যে এল। জাপান সরকার সোমবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, সতর্কতা জারি করে বলা হয়েছে, জাপানের প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে একটি মেগা-ভূমিকম্প হতে পারে।

এই ভূমিকম্পের প্রভাবে বিধ্বংসী সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়েছে। শত শত বাড়িঘর যেমন ধ্বংস হবে, সেই সঙ্গে প্রায় ৩,০০,০০০ মানুষের মৃত্যু ঘটাতে পারে বলে রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে।

গত বছর, জাপান প্রথম মেগাকোয়াক অর্থাৎ ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের সতর্কতা জারি করেছিল। সেই সতর্কতায় প্রথমে একটি ৭.১ মাত্রার ভূমিকম্পের পরে ৯ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের তুমুল সম্ভাবনা ছিল।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এমন একটি ভূমিকম্পের ঘটনা ঘটলে সে দেশের অর্থনীতি প্রায় $১.৮১ ট্রিলিয়ন অর্থ হারাতে পারে। এই সংখ্যা ২৭০.৩ ট্রিলিয়ন ইয়েনের সমতুল্য, যা দেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) প্রায় অর্ধেক এবং প্রাথমিক অনুমানের ২১৪.২ ট্রিলিয়ন ইয়েনের চেয়ে বেশি।

সম্ভাব্য ৯ মাত্রার ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে পড়বেন জাপানের সাধারণ মানুষ। জাপানে প্রায় ১২.৩ মিলিয়ন মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে যেতে পারেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০%।

রিপোর্ট অনুযায়ী, যদি এমন একটি ভূমিকম্প শীতকালের কোনও রাতে আঘাত হানে, তাহলে প্রায় ২,৯৮,০০০ মানুষ সুনামি এবং ধসে পড়া বাড়িঘরের নীচে চাপা পড়ে তাদের জীবন হারাতে পারেন।

জাপান বিশ্বের সবচেয়ে ভূমিকম্প-প্রবণ দেশগুলির মধ্যে একটি। আর জাপান সরকার নানকাই ট্রাফ নামে পরিচিত কম্পনশীল সমুদ্রতল অঞ্চলে ৮ থেকে ৯ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ৮০% সম্ভাবনা দেখছে।

ট্রাফটি জাপানের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরের উপকূলে অবস্থিত এবং প্রায় ৯০০ কিমি (৬০০ মাইল) পর্যন্ত বিস্তৃত, যেখানে ফিলিপাইন সি প্লেট ইউরেশিয়ান প্লেটের নীচে সঞ্চালিত হচ্ছে। সঞ্চিত টেকটোনিক চাপগুলি প্রায় ১০০ থেকে ১৫০ বছরে একটি মেগাকোয়াকের ফলাফল হতে পারে।

২০১১ সালে একটি ৯ মাত্রার ভূমিকম্প একটি বিধ্বংসী সুনামি এবং উত্তর-পূর্ব জাপানের একটি পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যাপক ক্ষতি করেছিল। সেই ভূমিকম্পে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিলেন।