UAE-তে মহা সমারোহে দুর্গা পুজো ! দেখুন মরু শহরে উৎসবমুখর পরিবেশে মাতৃ আরাধনা
- Published by:Siddhartha Sarkar
- news18 bangla
Last Updated:
প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদের সভাপতি অজিত কুমার রায় বলেন, ‘‘তৃতীয়বার আমরা সকলে মিলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করছি ৷ এপার বাংলা ও ওপার বাংলা (বাংলাদেশ)-র প্রবাসী সনাতনীরা মিলে পুজোর আয়োজন করে থাকি ৷ আমরা চেষ্টা করি আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণের যে অনুষ্ঠানগুলি রয়েছে তা সকলে মিলে এক ছাতার নীচে আয়োজন করতে ৷’’
advertisement
1/8

২০২১ সালের ১৮ অক্টোবরে প্রতিষ্ঠিত, প্রবাসী সনাতনী ঐক্য পরিষদ সংযুক্ত আরব আমিরশাহিতে (UAE) প্রবাসী সনাতনীদের ঐক্যবদ্ধ করা এবং তাঁদের ঐতিহ্য রক্ষা করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই প্রতিষ্ঠান ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ধর্ম, সংস্কৃতি ও উৎসব প্রচার ও সংরক্ষণে বরাবরই উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে এসেছে।
advertisement
2/8
২০২৩ সাল থেকে PSOP আমিরশাহির আজমানে দুর্গা পুজো, কালী পুজা, সরস্বতী পুজা, দোলপূর্ণিমা, পিঠে উৎসব এবং পয়লা বৈশাখ-সহ নানা ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে। এসব উৎসব প্রবাসী সম্প্রদায়ের বিপুল অংশগ্রহণে মুখরিত হয়, আর দূর প্রবাসেও সৃষ্টি করে ভক্তি, ঐতিহ্য ও মিলনের এক জীবন্ত মঞ্চ।
advertisement
3/8
বিভিন্ন সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি প্রতিদিন দু’বেলা সব ভক্তদের বসে প্রসাদ খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এখানে। ভারত এবং অন্যান্য দেশের অনেক বাঙালিরাই এই পুজোতে এসে থাকেন। সমুদ্র থেকে জল ভরে আনা হয় পুজোর জন্য ৷
advertisement
4/8
এ বছর PSOP গর্বের সঙ্গে ঘোষণা করছে যে, তাদের আয়োজিত দুর্গাপুজো সম্ভবত আমিরশাহীতে সবচেয়ে বড় পুজোর উৎসব। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এভাবে বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করে এই পুজো কেবল একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, বরং হৃদয়ের মিলনক্ষেত্র এবং এক মহোৎসব, যা ছড়িয়ে দেয় মা দুর্গার সার্বজনীন বার্তা, অশুভ শক্তির উপর শুভর জয়।
advertisement
5/8
এই যাত্রা প্রসঙ্গে, PSOP-এর সভাপতি জনাব অজিত কুমার রায় বলেন: “প্রথম দিন থেকেই আমি এই সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত থাকতে গর্ব বোধ করি। আমার কাছে PSOP কেবল একটি পরিষদ নয়, এটি এক পরিবার, যা ঐক্য, সহযোগিতা ও অভিন্ন মূল্যবোধে বাঁধা। বিদেশের মাটিতে নানা চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সনাতনী সমাজকে সহায়তা করা, আমাদের সংস্কৃতিকে সংরক্ষণ করা এবং আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করার জন্য।’’
advertisement
6/8
অজিত কুমার রায় আরও জানান, ‘‘তৃতীয়বার আমরা সকলে মিলে দুর্গাপুজোর আয়োজন করছি ৷ এপার বাংলা ও ওপার বাংলা (বাংলাদেশ)-র প্রবাসী সনাতনীরা মিলে পুজোর আয়োজন করে থাকি ৷ আমরা চেষ্টা করি আমাদের বারো মাসে তেরো পার্বণের যে অনুষ্ঠানগুলি রয়েছে তা সকলে মিলে এক ছাতার নীচে আয়োজন করতে ৷’’
advertisement
7/8
মরু শহরে তাই ধ্বনি উঠছে, 'বলো দুগ্গা মাইকি জয়...' ৷ শোনা যাচ্ছে ঢাকের বাদ্যি, মহিলারা লাল-পাড় সাদা শাড়ি পরে শাঁক বাজাচ্ছেন, উলু ধ্বনি দিচ্ছেন ৷ সেইসঙ্গে পঞ্চমীর সন্ধে থেকে চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ৷ আট থেকে আশির ভিড়ও চোখে পড়ার মতো ৷
advertisement
8/8
সমুদ্র থেকে জল ভরে আনা হয় পুজোর জন্য ৷