Donald Trump new tariffs: ট্রাম্পের শুল্কবৃদ্ধির পরেই ঘুম উড়েছে সকলের! কোটি কোটি টাকার কী হবে? সারা রাত ভারতীয়দের ফোন আমেরিকার ব্যবসায়ীদের
- Published by:Ratnadeep Ray
- news18 bangla
Last Updated:
Donald Trump new tariffs: ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ভারতীয় পণ্যের উপর। এর ফলে যে শুধু ভারতের উপর চাপ পড়েছে তা কিন্তু নয়, বরং চাপে পড়েছেন আমেরিকার ব্যবসায়ীরাও।
advertisement
1/6

নয়াদিল্লি: ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছেন ভারতীয় পণ্যের উপর। এর ফলে যে শুধু ভারতের উপর চাপ পড়েছে তা কিন্তু নয়, বরং চাপে পড়েছেন আমেরিকার ব্যবসায়ীরাও। বিপুল পরিমাণে শুল্ক চাপানোর ফলে অনেক ভারতীয় পণ্যের অর্ডার বাতিল করেছে আমেরিকা। সেই সঙ্গে বহু অর্ডার স্থগিত করা হয়েছে।
advertisement
2/6
টাইমস অফ ইন্ডিয়া অনুযায়ীয় প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারতীয় রফতানি এবং আমেরিকান আমদানিকারকদের মধ্যে কথোপকথনে রাশিয়া থেকে তেল কেনার বিষয়টি আলোচনায় ছিল। একজন আমেরিকান ক্রেতা জিজ্ঞাসা করেছিল, "আপনাদের রাশিয়ার তেলের প্রয়োজন কেন?" ৬০০ কোটি টাকার গার্মেন্ট এক্সপোর্ট করা কোম্পানির সিইও জানিয়েছেন যে, আমেরিকান ক্রেতা তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল, "২৫ শতাংশ ট্যারিফ প্রয়োগের পর আমেরিকার আমদানিকৃত সংস্থার প্রতি ১৫ শতাংশ আমদানি শুল্কের বোঝা আসবে। কিন্তু যখন এই শুল্ক ৫০ শতাংশ হয়ে যাবে তখন এই বোঝা বহন করা সম্ভব হবে না। আমরা এমন কোনও পণ্য তৈরি করছি না যা অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না।" তিনি বলেছিলেন যে এই পরিস্থিতিতে শুধু তাদের ব্যবসায় প্রভাব পড়বে না, বরং তাদের কোম্পানিতে কাজ করা ৮ হাজারেরও বেশি কর্মচারীর জীবিকাও সঙ্কটে পড়বে।
advertisement
3/6
কেরালার রপ্তানি কোম্পানি চয়েস গ্রুপের কর্তা থমাস জোসের পরিবার তিন প্রজন্ম ধরে লবস্টার রফতানি করে আসছে। জোস বলেছেন যে, গত রাতে তাদের বেশিরভাগ আমেরিকান ক্রেতা শিপমেন্ট বন্ধ করার কথা বলেছে। তাদের কোম্পানি বছরে ৯০০ কোটি টাকার রফতানি করে। জোস বলেছেন যে তাদের ক্রেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে তারা ২৫ শতাংশ থেকে ১ শতাংশও বেশি আমদানি শুল্কের বোঝা বহন করতে পারবে না, অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ তো দূরের কথা। উল্লেখ্য, আমেরিকা প্রতি বছর ভারত থেকে ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি মূল্যের সামুদ্রিক পণ্য আমদানি করে।
advertisement
4/6
সুরতের জুয়েলারি রপ্তানি কোম্পানি ধানি জুয়েলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কুমার মঙ্গুকিয়া জানিয়েছেন যে গত রাতে তাদের কাছে আমেরিকান ক্রেতার ফোন এসেছিল এবং জিজ্ঞাসা করেছিল যে আমরা কি ডায়মন্ডের দাম নিয়ে দর কষাকষি করতে পারি। এটি ট্রাম্পের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ ট্যারিফ থেকে বাঁচার জন্য জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল। বিজয় কুমার বলেছেন যে ২৫ শতাংশ ট্যারিফ পর্যন্ত আমরা দাম নিয়ে দর কষাকষি করতে পারি, কিন্তু ৫০ শতাংশ প্রয়োগের পর এটি অসম্ভব হয়ে যাবে। বর্তমানে ক্রেতা তার খুচরা গ্রাহকদের সাথে বাড়তি দাম বহন করার বিষয়ে কথা বলার কথা বলেছে, কিন্তু যদি এটি সম্ভব না হয় তাহলে আমাদের কাছে অর্ডার বাতিল করা ছাড়া অন্য কোনো উপায় থাকবে না।
advertisement
5/6
কাপড় শিল্পের কী অবস্থাআমেরিকায় ২ লাখ ট্রাউজার্স রপ্তানি করা ভারতীয় কোম্পানির সিইও জানিয়েছেন যে তাদের কাছেও গত রাতে আমেরিকান ক্রেতার ফোন এসেছিল যে আমরা ২৫ শতাংশ ট্যারিফের পর বাড়তি খরচ বহন করতে প্রস্তুত। আমার না বলার পর আমেরিকান ক্রেতা তার অর্ডার বাংলাদেশে স্থানান্তর করার কথা বলেছে। আমেরিকায় প্রতি বছর আমদানি হওয়া মোট কাপড় শিল্পের ২৮ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৮৭,৫২৫ কোটি টাকার পণ্য শুধুমাত্র ভারত থেকেই যায়। ভারতীয় কাপড় রপ্তানি উন্নয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় আগরওয়াল বলেছেন, যে বর্তমানে এই শিল্প ৫০ শতাংশ ট্যারিফ সহ্য করার অবস্থায় নেই।
advertisement
6/6
কাপড় রফতানি উন্নয়ন পরিষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান পরিমল উডানি বলেছেন যে আমরা উৎপাদন কমাতে শুরু করেছি। ৫০ শতাংশ শুল্ক বসতে পারে এমন অনুমান করা হয়নি। জেমস জুয়েলারি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আদিল কোটওয়াল জানিয়েছেন যে আমেরিকান ক্রেতারা তাদের অর্ডার হোল্ডে রেখেছে। যদি এ বিষয়ে দ্রুত কোনো পদক্ষেপ না নেওয়া হয় তাহলে আমেরিকায় ২০ হাজার কোটি টাকার রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে এবং এই খাতের ১ লাখেরও বেশি কর্মীর উপরও সংকট আসবে। সুরাটের ডায়মন্ড ইন্ডাস্ট্রিতে প্রায় ৮ লাখ লোক কাজ করে। তাদের ভবিষ্যতও বিপদে পড়তে পারে।