China Coronavirus: করোনার রক্তচক্ষু ফের চোখ রাঙাচ্ছে চিনে! রাতারাতি 'বিরাট' সিদ্ধান্ত নিল মরিয়া প্রশাসন...

একসময় চীনের ইউহান প্রদেশ থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছিল মারণ করোনা ভাইরাস। এবার ফের চিনে (China) মাথাচাড়া দিয়েছে কোভিড ১৯ (Coronavirus) সংক্রমণ। তা যাতে ফের নাগালের বাইরে না যায় সেজন্য ইতিমধ্যেই সতর্ক প্রশাসন। বাতিল হয়েছে বহু উড়ান। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্কুল। সেই সঙ্গে বহু এলাকাতেই ফের লকডাউন শুরু হয়েছে। মূলত উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম চিনেই বেড়েছে ভাইরাসের প্রকোপ।

প্রশ্ন উঠছে কেন হঠাৎ এভাবে আবার করোনার বাড়াবাড়ি শুরু হল চিনে? প্রশাসনের দাবি, বাইরে থেকে আসা পর্যটকদের থেকেই নতুন করে সংক্রমণের গ্রাফের এই ঊর্ধ্বগতি। তাঁদের একটি বড় অংশই প্রবীণ বৃদ্ধ বৃদ্ধারা। অভিযোগ, তাঁদের থেকেই ফের বাড়তে শুরু করেছে সংক্রমণ।

তবে এই পরিস্থিতিতে প্রশাসন ফের অত্যন্ত কড়াকড়ি শুরু করেছে করোনা মোকাবিলায়। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বিনোদন পার্ক এবং পর্যটন ক্ষেত্রগুলি। সকলেরই করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে করে হোক, সংক্রমণকে ফের নিয়ন্ত্রণে আনতে মরিয়া বেজিং।

রিপোর্ট বলছে, গত পাঁচ দিন ধরেই লাগাতার বেড়ে চলেছে সংক্রমণ। দেখা গিয়েছে যে পর্যটকদের থেকে সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে তাঁরা সাংহাই থেকে জিয়ান, গান্সু প্রদেশে গিয়েছিলেন। মঙ্গোলিয়ার অভ্যন্তরেও গিয়েছিলেন তাঁরা। তাই ওই এলাকাগুলির দিকে আলাদা নজর রাখা হচ্ছে।

ওই পর্যটক ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা বিভিন্ন ব্যক্তিদের করোনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। যে সব অঞ্চলে লকডাউন চলছে, সেখানে সমস্ত জনগণকে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে না বেরনোর কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাঁরা বেরোচ্ছেন, তাঁদের সঙ্গে রাখতে হচ্ছে করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট।

বিভিন্ন প্রদেশের সীমান্তরেখা বন্ধ রাখা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে করোনা পরীক্ষার সংখ্যাও। অন্যান্য দেশগুলি যেখানে কোভিড বিধি অনেক ক্ষেত্রেই শিথিল করে স্বাভাবিক জনজীবন ফেরাতে পদক্ষেপ নিয়েছে, সেখানে চিন বরাবরই অনেক বেশি সাবধানী ছিল করোনাবিধি আরোপে। আর সেই কারণেই এবার আবার কঠোরতা বাড়াচ্ছে চিন।

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চিনের ইউহান শহর থেকেই প্রথম ছড়াতে শুরু করেছিল কোভিড-১৯ সংক্রমণ। এরপর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই তা ছড়িয়ে পড়ে গোটা বিশ্বে। শুরু হয় অতিমারী।

কিন্তু কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে চিন দ্রুত সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছিল। কিন্তু একবার ফের, সেদেশে করোনার সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে সতর্ক হয়েছে প্রশাসন।