'এই একটা কথাতেই...' ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ রুখেছিলেন ট্রাম্প! ঠিক কী সেই কথা? অবশেষে সামনে এল কোন সত্যি?
- Published by:Tias Banerjee
Last Updated:
US President Donald Trump: ট্রাম্প প্রায়ই নিজেকে শান্তি প্রতিষ্ঠার ‘নেগোশিয়েটর’ হিসেবে তুলে ধরতেন, যদিও ভারত সরকারের বারবার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল — ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক একটি “দ্বিপাক্ষিক ইস্যু”, এবং কোনও তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার প্রয়োজন নেই।
advertisement
1/9

যেখানে যুদ্ধ সেখানেই তিনি। সদ্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (US President Donald Trump) নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবি কৌতুকের উদ্রেগ করেছে নানা মহলে। ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে দিয়েই ট্রাম্পের দাবি ছিল, 'আমার নোবেল পাওয়া উচিত'। যদিও বাস্তবতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
advertisement
2/9
যুদ্ধের উস্কানির নেপথ্যেও কি ট্রাম্প নন? যুদ্ধ লাগিয়ে দিয়ে যুদ্ধ মেটানোর পর নোবেলের দাবি কী ভাবে করা যায়? এ নিয়েও চর্চার শেষ নেই। এরই মধ্যে আর এক মন্তব্য করে ফেললেন ট্রাম্প। এবার ভারত-পাকিস্তান শত্রুতা নিয়ে।
advertisement
3/9
আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ফের দাবি করলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধ তিনি রুখেছিলেন — কারণ তিনি দুই দেশকেই হুমকি দিয়েছিলেন যে, সব বাণিজ্যিক সম্পর্ক (trade ties) বন্ধ করে দেবেন।
advertisement
4/9
ট্রাম্পের দাবি, সেই হুমকির জেরেই দুই দেশের মধ্যে শত্রুতার অবসান ঘটে। হোয়াইট হাউসে শুক্রবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ট্রাম্প বলেন: “আমরা দারুণ কিছু কাজ করেছিলাম। ভারত ও পাকিস্তান — ওটা হয়তো পারমাণবিক যুদ্ধেই গড়াতে পারত। কিন্তু আমরা সেটা থামিয়েছিলাম।”
advertisement
5/9
২৭ জুন ডোনাল্ড ট্রাম্প হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের বলেন, তিনি ভারত ও পাকিস্তানকে “সব চুক্তি বাতিলের” (cancel all deals) হুমকি দিয়ে তাদের পারমাণবিক সংঘর্ষ থেকে বিরত রেখেছেন। তিনি জানান, যখন ভারত ও পাকিস্তান “এক বড় সংঘাতের মধ্যে ছিল,” তখন তিনি তার শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন যেন ভারতের দিল্লি এবং পাকিস্তানের ইসলামাবাদের সঙ্গে সব বাণিজ্য চুক্তি বাতিল করে দেওয়া হয়।
advertisement
6/9
ট্রাম্প আরও বলেন: “সার্বিয়া ও কসোভো তখন যুদ্ধের দিকে এগোচ্ছিল। আমি ওদের বলি — যদি যুদ্ধ করো, তবে আমেরিকার সঙ্গে আর কোনও ট্রেড থাকবে না। ঠিক এই জিনিসটাই ঘটেছিল ভারত ও পাকিস্তানের ক্ষেত্রেও। আমি তখন দুই দেশের সঙ্গেই আলোচনা করছিলাম এবং আমি (তৎকালীন ট্রেজারি সেক্রেটারি) স্কট বেসেন্ট ও (কমার্স সেক্রেটারি) হাওয়ার্ড লুটনিককে বলি— ভারতের সঙ্গে ও পাকিস্তানের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করে দাও। তারা যুদ্ধে আছে মানে তারা আমাদের সঙ্গে ট্রেড করতে পারবে না।”
advertisement
7/9
ভারত-পাকিস্তানের মীমাংসা প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন: “কী করলাম? বললাম, তোমরা যদি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে চাই, তাহলে আমেরিকার সঙ্গে তোমাদের বাণিজ্য বন্ধ হয়ে যাবে… এবং তারা সম্মত হল।” তিনি আরও দাবি করেন, সির্বিয়া–কসোভো দ্বন্দ্বেও একইভাবে মার্কিন হুমকি কাজে এসেছে!
advertisement
8/9
যদিও, ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ট্রেড বা চুক্তি বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি । ডিএসজিএমও-দের সরাসরি ফোন কথোপকথনে আলোচ্য হয়েছে পারস্পরিক আটকা-বিরতির দরকার — কোনও তৃতীয় পক্ষের ভূমিকা নেই ।
advertisement
9/9
আন্তর্জাতিক কূটনীতি বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের বক্তব্য “অত্যুক্তি” (self-aggrandizement) বা নির্বাচনী প্রচারের জন্য কটা ছবি মনে হচ্ছে । ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে ট্রাম্প সরাসরি জানতে চেয়েছিলেন, কিন্ত মোদি ফেসবুক বা ট্রেড হুমকির কথা অস্বীকার করেছেন ।