Bangladesh: আরও খারাপ অবস্থা হবে বাংলাদেশের...যে কোনও মুহূর্তেই পদত্যাগ করতে পারেন ইউনূস! তাহলে এবার সেনা অভ্যুত্থান?
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
জানা গিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে নাহিদ ইসলাম রাতে বিবিসি বাংলাকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন।’
advertisement
1/10

ঢাকা: কিছুতেই যেন সামলে উঠতে পারছে না বাংলাদেশ৷ এবার খোদ উপদেষ্টার আসনেরই টলোমলো অবস্থা৷ শোনা যাচ্ছে, বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের দেওয়া ‘চাপের’ আবহে নাকি পদত্যাগ করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন সে দেশের নোবেলজয়ী বর্ষীয়ান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস৷ তাহলে কি ইউনূসের পদত্যাগ এখন সময়ের অপেক্ষা?
advertisement
2/10
বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। যদি ঠিকভাবে কাজ করতে না পারেন, তাহলে প্রধান উপদেষ্টার পদে থেকে কী লাভ, সে কথাও বলেছেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ কী হল ইউনূসের?
advertisement
3/10
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস এবং সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে। সেনাপ্রধান কড়া সুরে জানিয়ে দিয়েছেন যে, দেশের ভবিষ্যৎ একটি অনির্বাচিত সরকার দ্বারা নির্ধারিত হবে না এবং ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে সাধারণ নির্বাচনের আয়োজন করার জন্য চাপ দিয়েছেন তিনি৷ যাতে ২০২৬ সালের প্রথম দিকে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করতে পারে
advertisement
4/10
বাংলাদেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের সঙ্গে সংঘাতের আবহেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ছিল উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক৷ বাংলাদেশের সংবাদপত্র প্রথম আলোর প্রতিবেদন সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই বৈঠকে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে অন্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে কথা বলেন অধ্যাপক মহম্মদ ইউনূস। সেখানে ক্ষোভ ও হতাশার কথা তুলে ধরেন তিনি।
advertisement
5/10
জানা গিয়েছে, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় যান। সেখান থেকে বেরিয়ে নাহিদ ইসলাম রাতে বিবিসি বাংলাকে বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন।’
advertisement
6/10
বিবিসি বাংলার সাথে কথা বলতে গিয়ে নাহিদ বলেন যে, ইউনূস জানিয়েছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তিনি কাজ করতে পারছেন না৷ বলেছেন, ‘‘আমি যদি কাজই করতে না পারি, তাহলে থাকার অর্থ কী?’’ নাহিদ ইউনূসকে জনগণের আন্দোলন এবং জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে এবং সকল দলের সাথে ঐক্য বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
advertisement
7/10
ইউনূস নির্বাচন পরিচালনা করছেন না৷ নাহিদ বলেন, ‘‘আমরা চাই ইউনূস জাতীয় ঐক্যের জন্য দৃঢ় থাকুন এবং দেশের ভবিষ্যতের জন্য সংস্কার বাস্তবায়ন করুন।’’ তবে, ইউনূস স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, যদি রাজনৈতিক দলগুলি তাঁর উপরে আস্থা ও সমর্থন না জানায়, তাহলে তিনি এই পদে থাকার কোনও মানে দেখছেন না।
advertisement
8/10
আসলে, শেখ হাসিনার অভ্যুত্থানের পর, মহম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তিকালীন সরকার গঠন করেছিলেন। অন্তর্বর্তিকালীন সরকারের কাজ ছিল দেশে নির্বাচন পরিচালনা করা এবং তারপর নতুন সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। কিন্তু নির্বাচন করানোর পরিবর্তে, মহম্মদ ইউনূস মৌলবাদীদের জেল থেকে বের করে আনতে ব্যস্ত।
advertisement
9/10
গত বুধবার, সে দেশের সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান তাঁর অফিসারদের সাথে এক বৈঠকে বলেছেন যে সেনাবাহিনী কোনও ধরনের 'রক্তাক্ত করিডোর' সহ্য করবে না। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে, দেশে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া উচিত এবং ভবিষ্যতের সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত একটি নির্বাচিত সরকারের। সূত্রের খবর, গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় অন্তর্বর্তিকালীন সরকার সশস্ত্র বাহিনীর সাথে পরামর্শ না করায় সেনাপ্রধান ক্ষুব্ধ।
advertisement
10/10
জেনারেল ওয়াকার আরও সতর্ক করে বলেন যে সেনাবাহিনী আর জনতার সহিংসতা বা বিশৃঙ্খলা সহ্য করবে না এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঢাকার সূত্রগুলো CCN News18 কে জানিয়েছে যে সেনা কর্মকর্তারা তাদের প্রধানের পাশে রয়েছেন এবং প্রয়োজনে তার নির্দেশ পালন করতে প্রস্তুত। এ কারণে বাংলাদেশে সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।