Bangladesh Situation: ‘কারোর পৌষমাস, কারোর সর্বনাশ’-বাংলাদেশ কি আস্তে আস্তে পাকিস্তানের দিকে এগোচ্ছে, লাভবান হবে ভারতের একাধিক শহর

: বাংলাদেশের একসময়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাসনের পর সেই দেশের পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসেনি৷ একের পর এক ধরনের হিংসার ঘটনা চলছেন৷ মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন সরকার এখনও পর্যন্ত দেশ পরিচালনার সঠিক পথ খুঁজে পায়নি৷ সেদেশের হিন্দু সংখ্যালঘুদের উপর একের এক হামলার ঘটনা ভারতও একেবারে পছন্দ করছে না৷ প্রতিবেশী দেশ মুখ ফেরানোয় একাধিক অন্য দেশের দিকে তাঁরা সাহায্যের হাত বাড়ানোর জন্য আবেদন-নিবেদনের রাজনীতি করছে৷ এরই মধ্যে সূত্রের খবর অস্থিতিশীল থাকায় বাংলাদেশ বর্তমানে পাকিস্তানের মতো দেউলিয়া সংকটের দিকে এগোচ্ছে৷ Photo- AP

বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি পোশাক শিল্প বা গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি৷ এই অস্থির অবস্থার জেরে সেই সেক্টরটিই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংখ্যালঘুদের উপর ক্রমবর্ধমান আক্রমণ, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর, শিল্পের মধ্যে উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি ইতিমধ্যেই বন্ধ হওয়ার পথে।

গার্মেন্টস শিল্পের উপর প্রভাববাংলাদেশের পোশাক শিল্প বা গারমেন্টস ইন্ডাস্ট্রি সারা পৃথিবীতে চিনের পর দ্বিতীয় বৃহত্তম। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিখ্যাত ইন্টারন্যাশানাল ব্র্যান্ড বাংলাদেশ থেকে পোশাক তৈরি করায়। পরে এসব পোশাক সারা পৃথিবীর বিভিন্ন বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়।

পরে এসব পোশাক দেশের বড় বড় শোরুমে বিক্রি হয়। তবে দেশে চলমান অস্থিরতার প্রভাব পড়ছে এসব ব্র্যান্ডের ব্যবসায়। ক্ষয়ক্ষতি কমাতে, অনেকেই এখন তাদের চাহিদা মেটাতে ভারতীয় নির্মাতাদের দিকে মনোনিবেশ করছে।

বাংলাদেশের জিডিপিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাবশালীগার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জিডিপিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখে, যা ২০২৪ সালের হিসাবে ১১ শতাংশ। খাতের আয়ের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে রফতানি থেকে। Photo- AP

গার্মেন্টস শিল্প বাংলাদেশের জিডিপি-র একটা বড় অংশ, যা ১১ শতাংশ (২০২৪)। রাজস্বের প্রায় ৮০ শতাংশ আসে রফতানি থেকে। গার্মেন্টস শিল্প আরও ক্ষতির সম্মুখীন হলে এটি বড় ধরনের চাকরি হারাতে পারে, যা দেশকে ভারী ঋণ নিতে বাধ্য করবে। এ ধরনের পরিস্থিতি বাংলাদেশকে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক পতনের কাছাকাছি নিয়ে যেতে পারে। Photo- AP

গুজরাতের সুরাত লাভবান হতে পারেবিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলি তাদের পণ্য তৈরি বা উত্স করার জন্য একটি নতুন জায়গা খুঁজছে, ভারতের সুরাত শহর একটি বিকল্প হিসাবে আবির্ভূত হতে পারে। মজার বিষয় হল, ইকোনমিক টাইমস জানিয়েছে যে সুরাতের পোশাক শিল্পে ব্র্যান্ডগুলির আগ্রহ বেড়েছে।

ইন্ডাস্ট্রির অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের মতে, বিশ্বব্যাপী ব্র্যান্ডগুলি পরিধানের জন্য প্রস্তুত পোশাক উত্পাদন এবং সরবরাহ সম্পর্কে অনুসন্ধান করছে। যদি এই অনুসন্ধানগুলি আদেশে পরিণত হয়, সুরাটের পোশাক শিল্পের বৃদ্ধির হার প্রতি বছর বর্তমান ১২ শতাংশ থেকে ২০-২৫ শতাংশে বাড়তে পারে। Photo- AP

এটি ভারতীয় শহরের জন্য সুবিধাদক্ষিণ গুজরাত চেম্বার অফ কমার্সের প্রাক্তন সভাপতি আশিস গুজরাতি বলেছেন যে নতুন এই বদল কেবল সুরাত নয়, টেক্সটাইল হাব সহ অন্যান্য ভারতীয় শহরগুলিকেও উপকৃত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। Photo- AP

তামিলনাড়ুর তিরুপুর এবং কোয়েম্বাটুর, পঞ্জাবের লুধিয়ানা এবং উত্তর প্রদেশের নয়ডার মতো শহরগুলিও গারমেন্ট প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির পছন্দের তালিকায় রয়েছে৷